Saturday, July 22, 2017

মুফতি আমিনী রহ. এর রাজনীতি নিয়ে চুলকানিওয়ালাদের চুলকানী

মুফতি আমিনী রহ. এর রাজনীতি নিয়ে চুলকানিওয়ালাদের চুলকানী আবার চরমে পৌছেছে। কি লাভ হয় তাদের এইসব করে! দলের কর্মী কি দুয়েকজন বাড়ে!
মাঝখানে যাও একটু চুপ ছিল। আমাদের নেতাদের আওয়ামী প্রীতি আবার সেই দরজা ভালমতই খুলে দিল।

আসলে শাসনতন্ত্রের ভাইদের দোষ দিয়েই বা কি লাভ! মুফতি আমিনী রহ. এর আদর্শের রাজনীতি থেকে সরে আসার কারণেই তারা এভাবে পুনরায় গলাবাজি করার সুযোগ করে দিয়েছে। 

কিন্তু ভাইয়েরা! আপনাদের শাসনতন্ত্রের সাথে ঐক্যজোটের সাবেক কর্মীদের একটা মৌলিক পার্থক্য ধরিয়ে দেই। সাবেক এই জন্য বললাম, ঐক্যজোটে এখন কোন কর্মী নেই। নেতারা জোট থেকে বের হয়ে আসার পর এর সঠিক কোন ব্যাখ্যা না দিতে পারায় অনেকেই ছাত্র খেলাফতের রাজনীতি থেকে সরে এসেছে। কেউ নিষ্ক্রিয়তাকে বেছে নিয়েছে কেউবা ছাত্র জমিয়তে যোগ দিয়েছে নয়তো অন্যকোন ইসলামী রাজনৈতিক দলে। এখন কেন তারা শাসনতন্ত্রে গেল না এটা বুঝতে হলে আপনাদের সাথে তাদের মৌলিক পার্থক্যটা বুঝতে হবে।

আপনাদের অবগতির জন্য বলছি, যেদিন থেকে ঐক্যজোট নেতারা আওয়ামী সুরে দলীয় কার্যক্রম শুরু করেছে ঠিক সেদিন থেকেই দলের কর্মীরা সবাই তাদের সাথে দ্বিমত পোষণ করা শুরু করেছে। এই দ্বিমত পোষণের তালিকায় অধিকাংশ নেতারাই আছেন। কেউ কেউ পদত্যাগও করেছেন। তবে ফিতনার আশংকায় কেউ তেমনভাবে মুখ খোলেননি। কিন্তু এটা সত্য যে লালবাগের অনেক ছাত্র সাহস করে নেতাদের গিয়ে বলে এসেছে, "এটা আমিনীর আদর্শের রাজনীতি না, এটা শুধুই দালালী।"

অথচ নিজেদের দিকে দেখেন আমিনীকে নিয়ে অতীতেও আপনাদের বহুনেতা নেতারা ঘরোয়া মিটিংয়ে যা তা বলে বেড়িয়েছে তাদের কথার কোন প্রতিবাদ একটা কর্মীও করেনি। এটাই আপনাদের সাথে আমাদের মৌলিক পার্থক্য।

শুধুমাত্র এই কারণেই অনেকে আপনাদের কিছু দিক পছন্দ করার পরও আপনাদের সাথে যোগ দেয়ার কথা চিন্তা করেনা। আর এইসব ইখতেলাফি বিষয় নিয়ে যখন আপনারা দুনিয়া কাপানো পোষ্ট দেন তখন আবার একই মুখে ঐক্যের কথা বলাটাও স্ববিরোধী হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া হেফাজতের বৃহত্তর ঐক্যের প্লাটফর্মে আপনারা যা করেছেন সে ইতিহাস জাতি এত জলদি ভুলে যাবেনা।

একটু ঠান্ডা মাথায় একটা বিষয় বুঝার চেষ্টা করেন। সবসময় এইভাবে যুক্তি দিয়ে বারবার নিজেদের সঠিক দাবী করার মাধ্যমে যে আপনারা দুনিয়ার সবার কাছে সঠিক বলে প্রমাণিত হয়ে যাবেন বিষয়টা কিন্তু মোটেও এমন না। এবং রাজনীতির নামে আপনারা যা করেন সেটাও তো অনেকের কাছেই দোষনীয়। তখন কতটা মজা পান আপনারা সেটা তো অন্যের সমালোচনা করার সময় মনে রাখা উচিত।

মুফতি আমিনী রহ. আমাদেরকে এসব নেতিবাচক এবং আক্রমণাত্মক সমালোচনা থেকে বিরত থাকতে শিখিয়ে গেছেন। সে কারণে আমরা পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সিয়াসী মানহাজের হক্কানীয়্যত নিয়ে নেতিবাচক কোন প্রশ্ন তুলেছি এর নজির দেখাতে পারবেন না।

আসলে শাসনতন্ত্রের কর্মী পর্যায়ে ইদানীং ওলামায়ে কেরামের পদচারনা বাড়লেও দীর্ঘ একটা সময় এটা শূন্যতায় ভুগেছে। যার কারণে তাদের মানহাজী সিয়াসতের ইলমী জায়গাগুলোতে ব্যাপক কিছু সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। তাদের প্রবল বিশ্বাস যে দুনিয়ার সব মানুষকে শুধু শাসনতন্ত্রের সিয়াসী মানহাজ মেনেই রাজনীতি করতে হবে। অথচ একথা যে কুরআন হাদিসের কোথাও লেখা নেই এই ব্যাপারটা তাদের জ্ঞানের গন্ডিতে ধরতো না। তাই তারা এ কথাও বুঝতে সক্ষম হতোনা যে আজকে ওলামায় কেরামের ভেতর তাদের ব্যাপারে এতটা বিরূপ মনোভাব কেন।

রাজনীতির ন্যূনতম মোরাল এথিক্সগুলোও যদি জানা থাকে তাহলে এটাও জানা উচিত ছিল যে হকের পথে থাকা যেকোন ভিন্নমতকেও সম্মান প্রদর্শন করতে হয়। আর যদি আলেমদের বিশাল একটা অংশ এই মানহাজের অনুসরণ করে থাকে তাহলে তো তার হক্কানীয়্যত নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন যৌক্তিকতাই নেই। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হল, বিগত দেড় যুগ ধরে তারা এর বিপরীত নীতির চর্চাই করে আসছেন। এভাবে নিজেরটা পুরা দুনিয়ার মানুষের উপর চাপিয়ে দিতে গিয়ে শুধু বিভেদ সৃষ্টি ছাড়া আর কিছুই হয়নি।

মুফতি আমিনীর রাজনীতির মানহাজটা যে শাসনতন্ত্র থেকে ভিন্ন ছিল আর কত যুগ গেলে তারা এটা বুঝবে আল্লাহ ভাল জানেন। জোটের রাজনীতি করেই কেন আমিনী তার ইসলামী রাজনীতির ইতিহাসে অমর ব্যক্তিত্ব হয়ে রয়েছেন এবং থাকবেন এর কোন ব্যাখ্যাই কোনদিন তাদের মনে ধরবে বলে মনে হয়না। ফলাফলে যা দাঁড়াবে, সংঘাত বাড়বে। কারণ মুফতি আমিনী একমাত্র ব্যক্তি না যিনি জোটের রাজনীতি করেছেন। এখন বাংলাদেশে জমিয়তে ইসলামের মত একটি উল্লেখযোগ্য ইসলামীক দলও জোটের রাজনীতি করছে। এবং তারা নিজেদের জায়গায় সফলভাবে এগিয়েও যাচ্ছে।

হাস্যকর ব্যাপার হল, মুফতি আমিনীর ইন্তেকালের পর জায়গায় জায়গায় শাসনতন্ত্রী অনেক নেতাই মুফতি আমিনীর নাম নিয়ে তার জন্য মায়াকান্না করেছেন। হয়তো সেটা ছিল নিজের ওয়াজের কাটতি বাড়ানোর জন্য। তা নাহলে তার ছোট্ট কোন একটা অবদানের কথাও ইন্তেকালের আগে স্বীকার করতে এত কষ্ট কেন হত তাদের! এমনকি ২০১১ সালের ৪ই এপ্রিল কুরআনী আইন রক্ষার জন্য আমিনী সাহেব যখন হরতাল ডেকেছিলেন সেসময় "হরতাল হারাম" টাইপের আরো কত ফাতওয়া পোস্টারিং করে পর্যন্ত প্রচার করেছিল তারা। এসব কি মানুষ এত জলদি ভুলে গেছে!!!

এই মরা মানুষটাকে নিয়ে আর কতদিন বললে তাদের ক্ষোভ কমবে জানিনা। বলুক, যতখুশি বলতে থাকুক। সাথে এটাও লিখে রাখতে পারেন। তাদের এহেন গলাবাজিতে আমিনীর গায়ে কলংকের কোন দাগ লাগেনি, লাগবেনা কোনদিন।

No comments:

Post a Comment

The word of Shaykhul Azhar about Corona victim

সামর্থ্যবান প্রত্যেক ব্যক্তির উপর ওয়াজিব তাদের কিছু ব্যয়ভার বহন করা যারা এই রোগে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ লকডাউনে ঘরে আটকা পড়ার কারণে হ...