Tuesday, October 31, 2017

কায়রোর দিনলিপি ১২


মন ভাল না থাকায় ইদানীং কিছু মধুর স্মৃতি রোমন্থন করে সান্ত্বনা নেয়ার প্রচেষ্টায় আছি। নিকট অতীতে দেশীয় মিষ্টান্ন প্রস্তুতকালে কিছু ভিডিও ক্লিপ ধারণ করে রেখেছিলাম।

আগেই বলে রাখি, আমি কিন্তু কখনোই সেই পর্যায়ের মিষ্টিখোর ছিলাম না। তবে সবধরনের প্রতিবন্ধকতাই যে একটা নেশাতুর আসক্তি সৃষ্টি করে সেটা ডায়বেটিসের রোগীদের দেখলে ভাল বুঝা যায়। তারা কেন এত মিষ্টির পাগল হয় বিলেতে না আসলে বিষয়টা আমার উপলব্ধিতে আসার সম্ভাবনা খুবই কম ছিল। এখন তো অবাক হই! কি করে সম্ভব, পাঁচ পাঁচটি মাস মিষ্টি না খেয়ে কাটিয়ে দেয়া!

কালোজাম বরাবরই আমার পছন্দের তালিকায়। বিদেশে বসে বসে সেই তালিকার কথা স্মরণে এনে বিশেষ ফায়দা নেই। কিন্তু "স্মরণবাবু" আসার সময় কি আর সেইসব লাভ লোকসানের হিসেব কষে আসে! সে তো তার খুশি মত আসবে এবং আমার ভেতরে মিষ্টির যে লোভাতুর অংশটা আছে সেটাকে নিয়ে ঘুরতে যাবে ঢাকার অভিজাত কোন এক মিষ্টির দোকানে। এমন অসহায় পরিস্থিতিতে আপাতত কালোজাম প্রস্তুতপ্রণালীর সেই ক্লিপগুলোর মধ্যে সান্ত্বনা খোজার চেষ্টা করছি। দেখছিলাম আরকি, এগুলোও কি এডিট করা যায়!

কাহিনী হল, সেদিন যখন মিষ্টি খেতে খুব মন চাইছিল তখন আমাদের বড় ভাইয়ের নেতৃত্বে বাসার সকল সদস্য মিলে কোমর বেধে কালোজাম "নির্মাণে" নেমে পড়লাম। যা হবার তাই হল না অবশ্য। তার চেয়ে একটু ভালই হল। সব মিলিয়ে মিষ্টির নির্মাণশৈলী যে অতটাও খারাপ হয়নি তার প্রমাণ চাইলে কষ্ট করে তিন মিনিটের এই সংক্ষিপ্ত ভিডিওটি দেখতে হবে।


বিঃদ্রঃ যারা খুব সহজেই এমন সুস্বাদু ও "আবেদনময়ী" কালোজাম বানানো শিখতে চান তাদের জন্য রিকমান্ডেশন হল, আমার তৈরী করা ক্রিয়েটিভ এই ভিডিওটি আপনারা সকাল বিকাল রুটিন করে ততদিন পর্যন্ত দেখতে থাকুন, যতদিন পর্যন্ত আমার মত মিষ্টি "নির্মাণ" করার দক্ষতা অর্জন না হবে।

No comments:

Post a Comment

The word of Shaykhul Azhar about Corona victim

সামর্থ্যবান প্রত্যেক ব্যক্তির উপর ওয়াজিব তাদের কিছু ব্যয়ভার বহন করা যারা এই রোগে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ লকডাউনে ঘরে আটকা পড়ার কারণে হ...