Tuesday, January 12, 2016

বি-বাড়িয়া সংঘর্ষ, মৌলোভীরা প্রতিপক্ষ

বি-বাড়িয়া সংঘর্ষ, মৌলোভীরা প্রতিপক্ষ 

গত সন্ধার কথা,
তখন নিউজে দেখাচ্ছিলো, বি. বাড়িয়ায় পুলিশ ছাত্রলীগ ও মাদরাসা ছাত্রদের ত্রিমুখী সংঘর্ষ চলছে। প্রথমে বুঝতে পারছিলামনা, এই ত্রিমুখীর তৃতীয় মুখটা কাদের।
পরে একজন বুঝালো, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য যে আইন আর শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী এসেছিল, তাদেরকে মিডিয়া তৃতীয়পক্ষ আকারে হাজির করেছে।
আচ্ছা! তাও তো দুইটা পক্ষই হয়, পুলিশ তো আইন শৃংখলা রক্ষার্থে লীগের"সুশৃংখল" ক্যাডারদের পক্ষ নিয়েই  মাদরাসার "উশৃংখল" ছাত্রদের উপর বুলেট ছুড়ছিলো। পক্ষ তো নিয়েই ফেললো পুলিশ। তাই না?
ত্রিমুখীর হিসেব তো মিলছেনা।
এক্ষেত্রে অনেক হিসেব অবশ্য ফেসবুক অনেকসময় মিলিয়ে দেয়। আর সেই অপরাধে ফেসবুককে একাধিকবার আমাদের অধিকারসচেতন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার ব্যর্থচেষ্টাও করা হয়েছে। এই ব্যর্থতার লজ্জা ঢাকতেই হয়তো সেরকম কোন পদক্ষেপ এবার এখনো নেয়া হয়নি।
তাই ফেসবুকের মাধ্যমে সঠিক খবরটা অনেকেই পেয়ে যাচ্ছেন। প্রতি মুহুর্তে আপডেট দিয়ে সেখানকার খবর সারা দেশবাসীকে জানিয়ে দিচ্ছে বি.বাড়িয়ার ভাইয়েরা। সারাদেশ জুড়ে এর প্রতিবাদ হচ্ছে। ইসলামিক দলগুলো বিক্ষোভ সমাবেশ করছে। ফলাফল হিসেবে ওসি ও এসপির অপসারণও ইতিমধ্যে হয়ে গেছে।
কিন্তু কথা হচ্ছে,
সবার নিউজফিডে এই আপডেট যাবে না। কারন সবার ফ্রেন্ডলিস্টে এ ঘটনা নিয়ে স্ট্যাটাসদাতা হুজুর বা ঘটনার ভুক্তভোগী থাকবেননা।
তাছাড়া হুজুরদের ঘটনায় এত সিম্প্যাথি দেখানোর টাইমও অনেকের নাই। কারন হুজুররা তো আর ব্যাংক কর্মকর্তা না, যে তারা পুলিশী নির্যাতনে ভুক্তভুগী হয়ে নোট লিখবেন আর সেই নোট বিভিন্ন পোর্টালে পাবলিশ হবে, আর মজা লসের এডমিনের মত এলিট শ্রেণীর ফলোয়ারও হুজুরদের নেই।
তবুও হুজুররা মানুষ, আর একটা নিরপরাধ মানুষ মেরে ফেলাটাকে সাধারণ ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়াটা বেশ কঠিন। এবং যদি সেখানে প্রশাসন জড়িয়ে যায় তাহলে তো বিশাল ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। তখন প্রায় সবাই ঘটনা একটু আধটু জানতে চায়।
সবাই সত্য জেনে গেলে সমস্যা। তাই
মিডিয়া তখন বাকি সবার জন্য উপরের নির্দেশ মোতাবেক খবর সাজায়।  সাজাতে গিয়ে ধরাও খায়, কেউ বলে ব্যবসায়ী আর ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ আর কেউ বলে সিএনজির ভাড়া নিয়ে সিএনজিওয়ালার সাথে সংঘর্ষ। একটার সাথে আরেকটার মিল নাই। হয়তো এসবের মধ্যে কোন একটার সত্যতা রয়েছে। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য তো হচ্ছে এই পুরো ব্যাপারটাকে প্রশাসনের দোষমুক্ত করে একটি তুচ্ছ ঘটনা বানিয়ে উপস্থাপন করা। যে ঘটনায় বিশেষভাবে আগ্রহ দেখানোর মত কোন কারণ নেই।
এসব কিছুর আড়ালে থেকে যায় সরকারী এক মন্ত্রীর নির্দেশে দুটি মাদ্রাসা ও একটি মসজিদ বন্ধ করে দেয়ার মত ন্যক্কারজনক ঘটনা। এর প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করতে নেমে মাদরাসার ছাত্রদের অকারণে গুলি খেয়ে অর্ধশত নিরপরাধ তালিবে এলেমের আহত হবার ঘটনা। গুলিবিদ্ধ হয়ে এক বাড়িতে আশ্রয় নেয়ার পরও তাকে আহত অবস্থায় সেখান থেকে বের করে নিয়ে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে শহিদ করার মত নির্মম ঘটনা।
আর সেই শহিদ মাসউদ ভাই, হাফেযে কুরআন, কেবল মাত্র হেদায়াতুন্নাহু পড়ছিলেন। জানাযার সময় দুপুর তিনটায় ঘোষনা হবার পরও পুলিশ তার লাশ দীর্ঘসময় আটকে রেখেছিল। এত্তো কিছু ঘটে যাবার পরও যখন মিডিয়া নিহতের ঘটনাকে দিনভর শুধু "কর্তৃপক্ষের দাবী" বলে এড়িয়ে যায়, এবং এত বড় একটা সত্য স্বীকার করতে পুরো একটাদিন সময় নিয়ে ফেলে, তখন আর বুঝার কি বাকি থাকে?
কত নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া। কতটা ভয় পেলে সরকার এভাবে নিয়ন্ত্রণ চালায় মিডিয়ার উপর। এসব শুনে যদি মানুশের ধর্মীয় অনুভূতি জাগ্রত হয়ে ওঠে? আবার যদি ছয় শহিদের রক্তের জবাবের পুনরাবৃত্তি ঘটে?
সত্যিই খুব ভয়ের ব্যাপার।

The word of Shaykhul Azhar about Corona victim

সামর্থ্যবান প্রত্যেক ব্যক্তির উপর ওয়াজিব তাদের কিছু ব্যয়ভার বহন করা যারা এই রোগে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ লকডাউনে ঘরে আটকা পড়ার কারণে হ...