Friday, November 20, 2015

একদা বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ হয়েছিল

আমি সেবার ফ্রান্সে গিয়েছিলাম। কিন্তু ফ্রান্সের অলিগলি থেকে শুরু করে মহাসড়ক কোনটাই আমার দেখার ভাগ্য হয়নি। কারণ ভিপিএন বলেছিল শুধুমাত্র সে আমাকে সেইখানে বসবাসকারী হিসেবে তাঁর ঠিকানা ধারণ করতে দেবে। তাও শুধু সেই সুবিধাটুকুই গ্রহণ করতে পেরেছিলাম।

তখনকার দেয়া একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস... 

দুইদিন কত্তো আরামসে চালাইলাম, ভিপিএন টিপিএন কিচ্ছুই লাগলো না, আজকে সকালে তাহারা টের পাইলো যে আমি দেশে বইসা দেশদ্রোহী কার্যকলাপ সম্পাদন করিয়া যাইতেছি। বাধা এলো, বিপত্তি এল, বাধ্য হয়ে আশ্রয় চাইলাম ভিপিএনের কাছে। কিন্তু হায় হায়, উনি দেখি আমারে একই সাথে ফ্রান্স আর প্যারিসে পাঠায় দিছেন। 
যাক সমস্যা নাই, আমি কিন্তু পুরাই নিউট্রাল, প্যারিস হামলার পক্ষে বিপক্ষে আমি কোন স্ট্যাটাস দেই নাই, বাইচ্চা গেছি ..

Monday, November 16, 2015

যার যা খুশি লিখতেই পারে, তবে যদি নোংরা হয় অন্যের নিউজফিড...

কোন এক কবি একটু আগে বলছিলেন, হৃদয় নাকি এখন বুক থেকে ফেসবুকে এসে গেছে। তাই বেগ আর আবেগ দুইটাই এখন ফেসবুকের নিয়ন্ত্রণে। বুক বলতে তো কিছুই নাই, যাহা আছে সবই ফেস। এবং এই ফেস যখন যেই এক্সপ্রেশান দিবে, কোন রকম চিন্তা ভাবনা ছাড়া সেটাই আপনি উগ্রে দিবেন অন্যের নিউজফিডে। কখনো কমেন্টবক্সে আর কখনো ইনবক্সে। কারণ আপনি ফ্রীডম অফ স্পিচে বিশ্বাস করেন। এতে কার কতটুকু মান গেল বা জাত গেল তা দেখে আপনার কাজ নেই। 

পরিক্ষা শেষে এক কাজে এলিফ্যান্ট রোড যাচ্ছি, রিকসায় ফেসবুকিং চলছে। হঠাৎ একটা পোস্টে চোখ আটকে গেল : "মাওলানা হাসান জামিল সাহেব বিদায় নিচ্ছেন ফেসবুক থেকে"...
হাসান জামিল সাহেবকে আমি প্রথম চিনেছি ইউটিউব থেকে। উনার আলোচনাগুলা ভাল লাগে, প্রায়ই শোনা হয়। তাই এই বিদায়ী পোস্টটা ভাল লাগলো না। উনার মত একজন ব্যক্তির বিদায়টা মোটেও কোন সুসংবাদ না। এদিক দিয়েই যখন যাচ্ছি, ভাবলাম একবার দেখাটা করেই যাই।

বিদায়ের কারণটা উনি স্ট্যাটাসে কিছুটা উল্লেখ করেছেন, তবে সরাসরি শুনে বুঝতে পারলাম কস্টটা একটু বেশীই পেয়েছেন। আমি উনাকে একটু এলিটিজমে বিশ্বাস করার পরামর্শ দিলাম। ফ্রেন্ডলিস্টে প্রবেশ ও পোস্টে কমেন্টাধিকার সংরক্ষিত বাকি সবাইকে ফলোয়ারের কাতারে রাখা যেতে পারে। তবে এতে উনার আপত্তি ছিল কারণ উনি কখনোই এভাবে অন্যের মতপ্রকাশের স্বাধিনতায় হস্তক্ষেপের পক্ষে ছিলেন না। হয়তো তার খেসারতই এখন দিতে হচ্ছে।

বৃদ্ধ বণিতার সংখ্যা সে হারে টের না পাওয়া গেলেও আবালরা কিন্তু নিয়মিতই ভার্চুয়ালি তাদের অস্তিত্বের জানান দিয়ে যাচ্ছে। এবং আশংকাজনক হারে এ সংখ্যা বেড়ে চলছে। ইদানিং বুদ্ধিজীবি হয়ে ওঠার যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে এটা যে কোন দিকে মোড় নিবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। হ্যা, সচেতনতা অবশ্যই দরকার, বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞান চর্চা, চিন্তার চর্চা সবই প্রয়োজন। কিন্তু সেটা অবশ্যই নিয়ম মেনে। একজন একটা অপিনিয়ান দিলো, এটা আপনার ভাল না লাগাটা অস্বাভাবিক না। কিন্তু তাকে আক্রমণ করে "আমারটাই সঠিক" বুঝানোটা খুবই অস্বাভাবিক। আর তাতেই বিপত্তিটা বাধে যখন কেউ ভাবে যে, আমি বুঝি আর না বুঝি এখানে একটা পন্ডিতি দেখিয়ে যে কোন মুল্যে নিজকে বুদ্ধিজীবি আকারে হাজির করতেই হবে। কার সাথে কথা বলছি বা কার স্ট্যাটাসে কমেন্ট করছি এ নিয়ে মাথা ঘামাতে গেলে তো আমার আর বুদ্ধিজীবি হয়ে ওঠা হবে না। 
তাই না!!!

Saturday, November 7, 2015

সাইকেল হারালো, দুঃখের অনুভূতি টের পেলাম একমাস পর

অনেকদিন পর টাইমলাইনের খুব পেছনে যাইতে মন চাইলো। আগের আমিটারে খুজতে। তখন আমার একটা সাইকেল ছিল। প্রথম তারে পায়া আমি সুইটহার্ট ডাকসিলাম। স্ট্যাটাস দিসিলাম। তার জন্য আমার মায়া ছিল।

একদিন সে বুঝলো মায়াগুলা হারিয়ে যাচ্ছে। তাই সে না বইলা চইলা গেলো। তারে হারায়া আমার একটুও কষ্ট লাগলোনা সেদিন। নিজেরে হারানোর বয়েস তখনো একদিন হয়নাই। তাই হয়তো। আমার আর তার বিচ্ছেদের বয়স গতরাতে একমাস পূর্ণ হইলো। ভালো থাকিস ...

The word of Shaykhul Azhar about Corona victim

সামর্থ্যবান প্রত্যেক ব্যক্তির উপর ওয়াজিব তাদের কিছু ব্যয়ভার বহন করা যারা এই রোগে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ লকডাউনে ঘরে আটকা পড়ার কারণে হ...