কোন এক কবি একটু আগে বলছিলেন, হৃদয় নাকি এখন বুক থেকে ফেসবুকে এসে গেছে। তাই বেগ আর আবেগ দুইটাই এখন ফেসবুকের নিয়ন্ত্রণে। বুক বলতে তো কিছুই নাই, যাহা আছে সবই ফেস। এবং এই ফেস যখন যেই এক্সপ্রেশান দিবে, কোন রকম চিন্তা ভাবনা ছাড়া সেটাই আপনি উগ্রে দিবেন অন্যের নিউজফিডে। কখনো কমেন্টবক্সে আর কখনো ইনবক্সে। কারণ আপনি ফ্রীডম অফ স্পিচে বিশ্বাস করেন। এতে কার কতটুকু মান গেল বা জাত গেল তা দেখে আপনার কাজ নেই।
পরিক্ষা শেষে এক কাজে এলিফ্যান্ট রোড যাচ্ছি, রিকসায় ফেসবুকিং চলছে। হঠাৎ একটা পোস্টে চোখ আটকে গেল : "মাওলানা হাসান জামিল সাহেব বিদায় নিচ্ছেন ফেসবুক থেকে"...
হাসান জামিল সাহেবকে আমি প্রথম চিনেছি ইউটিউব থেকে। উনার আলোচনাগুলা ভাল লাগে, প্রায়ই শোনা হয়। তাই এই বিদায়ী পোস্টটা ভাল লাগলো না। উনার মত একজন ব্যক্তির বিদায়টা মোটেও কোন সুসংবাদ না। এদিক দিয়েই যখন যাচ্ছি, ভাবলাম একবার দেখাটা করেই যাই।
বিদায়ের কারণটা উনি স্ট্যাটাসে কিছুটা উল্লেখ করেছেন, তবে সরাসরি শুনে বুঝতে পারলাম কস্টটা একটু বেশীই পেয়েছেন। আমি উনাকে একটু এলিটিজমে বিশ্বাস করার পরামর্শ দিলাম। ফ্রেন্ডলিস্টে প্রবেশ ও পোস্টে কমেন্টাধিকার সংরক্ষিত বাকি সবাইকে ফলোয়ারের কাতারে রাখা যেতে পারে। তবে এতে উনার আপত্তি ছিল কারণ উনি কখনোই এভাবে অন্যের মতপ্রকাশের স্বাধিনতায় হস্তক্ষেপের পক্ষে ছিলেন না। হয়তো তার খেসারতই এখন দিতে হচ্ছে।
বৃদ্ধ বণিতার সংখ্যা সে হারে টের না পাওয়া গেলেও আবালরা কিন্তু নিয়মিতই ভার্চুয়ালি তাদের অস্তিত্বের জানান দিয়ে যাচ্ছে। এবং আশংকাজনক হারে এ সংখ্যা বেড়ে চলছে। ইদানিং বুদ্ধিজীবি হয়ে ওঠার যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে এটা যে কোন দিকে মোড় নিবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। হ্যা, সচেতনতা অবশ্যই দরকার, বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞান চর্চা, চিন্তার চর্চা সবই প্রয়োজন। কিন্তু সেটা অবশ্যই নিয়ম মেনে। একজন একটা অপিনিয়ান দিলো, এটা আপনার ভাল না লাগাটা অস্বাভাবিক না। কিন্তু তাকে আক্রমণ করে "আমারটাই সঠিক" বুঝানোটা খুবই অস্বাভাবিক। আর তাতেই বিপত্তিটা বাধে যখন কেউ ভাবে যে, আমি বুঝি আর না বুঝি এখানে একটা পন্ডিতি দেখিয়ে যে কোন মুল্যে নিজকে বুদ্ধিজীবি আকারে হাজির করতেই হবে। কার সাথে কথা বলছি বা কার স্ট্যাটাসে কমেন্ট করছি এ নিয়ে মাথা ঘামাতে গেলে তো আমার আর বুদ্ধিজীবি হয়ে ওঠা হবে না।
তাই না!!!
পরিক্ষা শেষে এক কাজে এলিফ্যান্ট রোড যাচ্ছি, রিকসায় ফেসবুকিং চলছে। হঠাৎ একটা পোস্টে চোখ আটকে গেল : "মাওলানা হাসান জামিল সাহেব বিদায় নিচ্ছেন ফেসবুক থেকে"...
হাসান জামিল সাহেবকে আমি প্রথম চিনেছি ইউটিউব থেকে। উনার আলোচনাগুলা ভাল লাগে, প্রায়ই শোনা হয়। তাই এই বিদায়ী পোস্টটা ভাল লাগলো না। উনার মত একজন ব্যক্তির বিদায়টা মোটেও কোন সুসংবাদ না। এদিক দিয়েই যখন যাচ্ছি, ভাবলাম একবার দেখাটা করেই যাই।
বিদায়ের কারণটা উনি স্ট্যাটাসে কিছুটা উল্লেখ করেছেন, তবে সরাসরি শুনে বুঝতে পারলাম কস্টটা একটু বেশীই পেয়েছেন। আমি উনাকে একটু এলিটিজমে বিশ্বাস করার পরামর্শ দিলাম। ফ্রেন্ডলিস্টে প্রবেশ ও পোস্টে কমেন্টাধিকার সংরক্ষিত বাকি সবাইকে ফলোয়ারের কাতারে রাখা যেতে পারে। তবে এতে উনার আপত্তি ছিল কারণ উনি কখনোই এভাবে অন্যের মতপ্রকাশের স্বাধিনতায় হস্তক্ষেপের পক্ষে ছিলেন না। হয়তো তার খেসারতই এখন দিতে হচ্ছে।
বৃদ্ধ বণিতার সংখ্যা সে হারে টের না পাওয়া গেলেও আবালরা কিন্তু নিয়মিতই ভার্চুয়ালি তাদের অস্তিত্বের জানান দিয়ে যাচ্ছে। এবং আশংকাজনক হারে এ সংখ্যা বেড়ে চলছে। ইদানিং বুদ্ধিজীবি হয়ে ওঠার যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে এটা যে কোন দিকে মোড় নিবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। হ্যা, সচেতনতা অবশ্যই দরকার, বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞান চর্চা, চিন্তার চর্চা সবই প্রয়োজন। কিন্তু সেটা অবশ্যই নিয়ম মেনে। একজন একটা অপিনিয়ান দিলো, এটা আপনার ভাল না লাগাটা অস্বাভাবিক না। কিন্তু তাকে আক্রমণ করে "আমারটাই সঠিক" বুঝানোটা খুবই অস্বাভাবিক। আর তাতেই বিপত্তিটা বাধে যখন কেউ ভাবে যে, আমি বুঝি আর না বুঝি এখানে একটা পন্ডিতি দেখিয়ে যে কোন মুল্যে নিজকে বুদ্ধিজীবি আকারে হাজির করতেই হবে। কার সাথে কথা বলছি বা কার স্ট্যাটাসে কমেন্ট করছি এ নিয়ে মাথা ঘামাতে গেলে তো আমার আর বুদ্ধিজীবি হয়ে ওঠা হবে না।
তাই না!!!
No comments:
Post a Comment