Thursday, October 20, 2016

লালবাগ জামেয়ায় মুসা আল হাফিয


আগেই বলে নিচ্ছি, এটা একটা দাওয়াতনামা। আগামীকাল ২০ অক্টোবর ২০১৬ ইং, বাদ মাগরীব লালবাগ জামেয়ার ইফতা বিভাগে আপনার দাওয়াত। সুযোগ হলে চলে আসবেন। দেখা হবে। এবার কিসের দাওয়াত এটা বুঝতে চাইলে স্ট্যাটাসখানা কষ্ট করে পড়তে হবে। 

মুসা আল হাফিজ সাহেবের গবেষণামূলক গ্রন্থ "প্রাচ্যবিদদের দাতের দাগ"। পড়া হয়েছিল গত বছর। তখন থেকেই ওরিয়েন্টালিজমের ব্যাপারটা একটু আধটু বোঝা শুরু করেছি। আরবীতে যেটাকে বলে ইস্তেশরাক। এরপর পড়া হয়ছিল এডওয়ার্ড সাইদের ওরিয়েন্টালিজম। বিষয়টা হলো, আরব সভ্যতা ও ইসলাম নিয়ে পশ্চিমা গবেষকগণ নানানরকম কল্পকাহিনী সাজিয়েছে। এরসাথে নিজস্ব কিছু গলদ ধারণা ও অনুমানকে যোগ করে ইচ্ছাকৃত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিজেদের মধ্যে এসব ভুল ধারণার চর্চা করে বেড়িয়েছে। উদ্দেশ্য হল, ইসলামকে পশ্চিমাদের কাছে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা। দুঃখজনক বিষয় হল, ষড়যন্ত্রটা তারা আমাদের নিয়ে করলেও গভীর জ্ঞানগত জায়গায় এধরণের সুচারু আক্রমণের বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের জানাশোনা একেবারেই শূন্যের কোঠায়। ঘটনাটা অনেকটা এমন যে চিন্তা আমাদের, সভ্যতাও আমাদের, তবে সেটা ব্যাখ্যা করে দেবে অন্য কেউ। এবং তাও হবে তাদের নিজস্ব বুঝ ও ভাষা অনুযায়ী। 

এই কাজটা তারা বেশ নীরবে নিভৃতে ঘটিয়ে ফেললেও ইসলামের উপর এই আঘাতটা অত্যন্ত মারাত্মক। তবে যেহেতু এ আঘাতে মুসলমানদের দেহে জখম হয়না, জখমটা হয় গিয়ে দেমাগে, মানে একেবারে মগজের ভেতর তাই ইসলামের উপর এই আঘাতের ফলে ক্ষরণ হয়ে বেয়ে পড়া রক্তের স্রোত অনেকেই দেখতে পায় না। অসচেতন মুসলমানদের খুব বিচক্ষণতার সাথে ব্রেইনওয়াশ করা হয় এই অপকৌশলের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ হল, আরব দেশগুলো সহ ভারত পাকিস্তানের ওলামাগণ ব্যাপক সচেতনতা তৈরীর লক্ষ্যে বহু আগ থেকেই এ বিষয়ের উপর লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছেন। এবং একাডেমিকভাবে এই প্রাচ্যবিদের চক্রান্তকে পাঠ করার ব্যবস্থাও সচেতন ওলামা সমাজে জারি আছে।

আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের বাংলাদেশেও পাশ্চাত্যের এসব চক্রান্ত সম্পর্কে সচেতনতা তৈরী করার লক্ষ্যে বেশ দীর্ঘ সময় যাবত গভীর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন আমাদের অমূল্য রত্ন, জীবন্ত কিংবদন্তী মাওলানা মুসা আল হাফিজ সাহেব। এ বিষয়ের উপর তার বেশ গবেষণাধর্মী ও মূল্যবান লেখাজোখা রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বক্তৃতা সেমিনারের মাধ্যমেও সচেতনতা গড়ে তোলার ব্যাপক প্রয়াস চালাচ্ছেন তিনি। তারই ধারাবাহিতায় তিনি দুইদিনের সফরে ঢাকা এসেছেন। এবং গতকাল বাসাবো মাদরাসাতুল হুদায় তার ইস্তেশরাক বা ওরিয়েন্টালিজম নিয়ে বেশ সারগর্ভ আলোচনা করেন তিনি। আগামীকাল বাদ মাগরিব লালবাগ জামেয়ার ইফতা বিভাগের ছাত্রদের সাথে তিনি কিছু সময় ব্যয় করবেন। মূল্যবান আলোচনা রাখবেন ওরিয়েন্টালিজম বা প্রাচ্যবাদ নিয়ে। আশেপাশের মাদরাসা থেকে আরো অনেকেই আসবেন। যাদের পক্ষে আসা সম্ভব হয় অবশ্যই অংশগ্রহণের চেষ্টা করবেন।




লালবাগ জামেয়ার দারুল ইফতায় আয়োজিত ওরিয়েন্টালিজম শীর্ষক সেমিনারে সারগর্ভ আলোচনা রাখছেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মাওলানা মুসা আল হাফিজ সাহেব

Thursday, October 6, 2016

বদরুলের বিচার চাইতে গেলেও হুমকি!

"খাদিজা নির্যাতন প্রতিরোধ মঞ্চ" থেকে বদরুল সাহেব কর্তৃক সংগঠিত সেই নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে একটা আন্দোলন হচ্ছিলো। নেতৃত্বে ছিলো ফজিলাতুন্নেসা নামে এক শিক্ষার্থী। সে কোন রাজনৈতিক দলের কর্মী না। আজ তার মায়ের ফোনে ফোন করে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে "যেখানেই তোকে পাবো সেখানেই খাদিজার মতো কুপিয়ে মারবো।" ফজিলাতুন্নেসার বাবা নেই। এবং তার পরিবারেও এমন কেউ নেই যে এখন তাদের নিরাপত্তা দিতে পারে।
ক্ষমতাসীনদের অন্যায়ের প্রতিবাদে ন্যায় বিচার চাওয়ার পর এ ধরণের পরিণামগুলো আজকাল স্বাভাবিকই বলা চলে। কারণ এসব ঘটনার পর আসামী যে উনাদের দলের কেউ না এটা প্রমাণ করতে তাদের বেশ ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। কে কালে হুমকি দিলো এতসব দেখার সময়টা কোথায়?
এদিকে আমরা পুরুষরা যখন চুড়ি পরে ঘরে বসে থাকার দায়িত্ব নিয়েই নিয়েছি তখন তো ফজিলতুন্নেছাদের ঝুকি নিয়ে মাঠে নেমে আসার কোন বিকল্পও নেই। কাল তাকে যদি আরেকটি খাদিজা হতে হয়? সেই ভয় অবশ্যই তার আছে। তাই আত্মরক্ষার তাগীদে হলেও বিচারের দাবীতে তাদের মাঠে নামতে হচ্ছে। তবে এটা স্পষ্ট যে, এতে তার কোন ব্যক্তিগত স্বার্থ ছিলো না। সে এখানে সমাজ ও রাষ্ট্রের স্বার্থেই ঝুকিটা নিয়েছিলো। সরকার মহোদয়ের কাছে দাবী শুধু এতটুকুই যে এই অন্যায়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিটা একবার দিন। এরপর দেখুন তারা এসব ধৃষ্টতা প্রদর্শনের সাহস পুনরায় দেখাতে পারে কিনা!
জানিনা বর্তমান সময়ের করুণ বাস্তবতাকে অতিক্রম করে সরকার মহোদয়ের কানে তাদের এই বিচার চাওয়ার আর্তনাদ আদৌ পৌছবে কিনা। তবে এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে ফজিলাতুন্নেসারা এই বাস্তবতার আদলেই এভাবে হুমকির স্বীকার হয়ে যাবেন। এবং বাকিরা তার থেকে মুখে কুলুপ এটে বসে থাকার সবক নিবেন। আজ যদি আপনার পরিবারে কারো সাথে এর চেয়েও মারাত্মক কিছু ঘটে, কিছু বলার আগে আপনি দুর্ঘটনা পরবর্তী সময়ে সম্ভাব্য হুমকীর কথা ভাববেন। আপনিও প্রতিবাদ করবেন না। ভাববেন যে বিপদ একটা এসেছে, সহ্য করে কাটিয়ে দেই। কথা বললে বিপদ আরো বাড়বে।
তো বেশ ধারাবাহিকতার সহিত অন্যায়ের প্রতিবাদ করার সাহস, ক্ষমতা অথবা এধরণের কোন প্রবণতা না থাকাটা এখন সহনীয় পর্যায়ে চলে এসেছে। এখন সব কিছু দেখে নির্বাক তাকিয়ে থাকা ছাড়া তেমন বিশেষ কিছু হয়তো করারও নেই। তবে আমরা একটা কাজ করতে পারি। আমাদের সর্বোচ্চ ঘৃণাটুকু বরাদ্দ রাখতে পারি সেইসব নরপিশাচ ও তাদের মদতদানকারী সম্প্রদায়ের জন্য। যাতে সেই ঘৃণা থেকে এসব অন্যায়ের প্রতিরোধের কিছু পরিকল্পনা উঠে আসে। তাহলে হাদিসে বর্ণিত অন্যায়ের প্রতিবাদের সর্বশেষ ধাপটুকু অন্তত মেনে চলা হবে। "ওয়াজালিকা আজআফুল ইমান"। এতে হয়তো একটা সময় প্রতিবাদের প্রথম ধাপ "ফাবিয়াদিহ" এর উপর আমল করার তৌফিকও আল্লাহ দিয়ে দিবেন।

Tuesday, October 4, 2016

বদরুলের ছাত্রলীগীয় কোপের ক্ষমতার উৎস

এতো বড় সাহস কোথায় পেলো খাদিজা?  ছাত্রলীগ সহ-সম্পাদকের সাথে ছলনা! এতো স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকাণ্ড থেকেও জঘন্য অপরাধ। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে তো এই ছলনাময়ী নারীকে কোপানোটা বদরুল সাহেবের একান্ত কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে। বদরুল সাহেবরা এখনো যে এইসব দায়িত্ব পালনকে নিত্যদিনের ঘটনা বানিয়ে ফেলেননি এটাই তো এসব "ছলনাময়ী নারী"দের উপর উনার বিরাট মেহেরবানী।
দেখেন ভাই, বদরুল সাহেবরা এখন ক্ষমতায়। উনাকে দোষ দিতে গিয়ে অযথা বিপদে পড়ে কোনই লাভ নাই। তার চেয়ে আসেন ক্ষমতা নিয়া আলাপ করি।
ক্ষমতা যখন নিজেই নিরাপত্তার বলয় সেজে তার অধীনস্থদের আশ্রয় দিয়ে বেড়ায় তখন এর ছায়াকে কেউ ব্যবহার করলে তাকে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী বলা যায়না।
কারণ সংকটগুলোকে ক্ষমতা নিজেই তৈরী করে রেখেছে। আজকে ক্ষমতা যদি ছায়াময় বটবৃক্ষ  আকারে বদরুল সাহেবের ওপরে হাজির না হতো তাহলে কি তিনি পারতেন এইভাবে জনসম্মুখে চাপাতিবাজী করার সাহস দেখাতে?
পৃথিবীটা যেহেতু নৈতিকতার আবরণে মোড়ানো না তাই এসব ঘটবেই। অতঃপর সেখানে আপনার আমার কিছু করণীয় থাকবে। এটাই তো নিয়ম। তবে কখনো প্রেক্ষাপট বিবেচনায় কিছু ফ্যাক্টস আমলে নিতে গিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত এই নিয়মগুলো ভেঙে ফেলি। ফ্যাক্টগুলো হলো,
আপনি যখন অন্যায়ের প্রতিপক্ষ আকারে দাড়ানোর সাহস করবেন তখন প্রতিবাদের ধরনটা নির্ভর করবে আপনার ক্ষমতার উপর। রাষ্ট্র যতই স্বার্থপর হোক, কখনোই সে এই সত্যকে অস্বীকার করতে পারবেনা যে নৈতিকতার জায়গা থেকে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার ক্ষমতা সে তার প্রত্যেকটা নাগরিককে দেয়। সমস্যাটা হয়, যখন অন্যায়ের ছোটখাটো কোন প্রতিবাদ করতে গিয়েও আপনি নিজের প্রতিবাদী সত্ত্বাকে ঘুমন্ত দেখেন। তখন বুঝে নিতে হয় যে অবচেতনভাবেই আপনার পিঠের ওপর আপনি ক্ষমতার চাপাতি ঠেকিয়ে রাখাকে অনুভব করছেন। ক্ষমতার সাম্রাজ্য তখন একচেটিয়াভাবে আধিপত্য বিস্তার করতে থাকে। এবং ধীরে ধীরে তা এতটাই প্রকট হয় যে নাগরিক অধিকারের জায়গা থেকে নৈতিকতার তাগিদে আপনি মুখ খোলার সাহস এবং চিন্তার মত দুটো বিপ্লবী অনুভূতি হারিয়ে ফেলেন।
এইখানেই ক্ষমতার বিশাল এক সংকটের বহু আলাপ জমা হতে থাকে। অনেক প্রতিভাবানরা মাঝে মাঝে নিজ কাধে দায়িত্ব তুলে নিয়ে সচেতন সমাজকে কিছু আলাপ বুঝিয়ে দেয়। ধরিয়ে দেয় সংকটগুলো আসলে কোথায়। ইফতেখার জামিল তাদেরই একজন। সত্যিকার অর্থে একজন ইফতেখার জামিলে অভাব অনুভব করছি।
তুই যেখানেই থাকিস, যে অবস্থাতেই থাকিস, আল্লাহ তোকে সবরে জামিল এখতিয়ারের তৌফিক দিক।

The word of Shaykhul Azhar about Corona victim

সামর্থ্যবান প্রত্যেক ব্যক্তির উপর ওয়াজিব তাদের কিছু ব্যয়ভার বহন করা যারা এই রোগে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ লকডাউনে ঘরে আটকা পড়ার কারণে হ...