১০ই এপ্রিল ২০১৬।
সবক শেষে মিষ্টি খাওয়ানোর দিন ...
আচ্ছা, যাদের পর্যন্ত বক্স পৌঁছাইতে পারিনাই তারা আপাতত দেইখাই চোখের ক্ষুধাটা মিটায় রাখেন। 
তবে আজকে বিশেষ আফসোস করার মত কোন ঘটনা ঘটে নাই। টাঙ্গাইলের সামান্য চমচম, এই আর কি।
আগামী ২৯ তারিখ স্পেশাল দাওয়াত আছে। সেদিন আমাদের বিদায় দেয়া হবে। সেইদিন আসবেন। কিছু আনন্দ আর বিরহ ভাগাভাগি করবোনে।
তবে টেনশনের বিষয় হইলো আরও একটা দিন এইভাবে যাবে।
একটা দিন যে এখন কত মূল্যবান সেটা বুঝি যখন সারাদিনে একটাবারও নিউজফিড চেক করার কথা মনে পড়ে না। আসলে এইসব বিদায়ের ফরমালিটির জন্য আলাদা একটা বছর দরকার। আর সেইটা অবশ্যই আফটার অর বিফোর বেফাক। মিষ্টি খাওয়াইতে গিয়া আজকে আধাদিন ওয়েস্ট, একমাসও নাই পরিক্ষার।
দোয়ার দরখাস্ত

তবে আজকে বিশেষ আফসোস করার মত কোন ঘটনা ঘটে নাই। টাঙ্গাইলের সামান্য চমচম, এই আর কি।
আগামী ২৯ তারিখ স্পেশাল দাওয়াত আছে। সেদিন আমাদের বিদায় দেয়া হবে। সেইদিন আসবেন। কিছু আনন্দ আর বিরহ ভাগাভাগি করবোনে।
তবে টেনশনের বিষয় হইলো আরও একটা দিন এইভাবে যাবে।
একটা দিন যে এখন কত মূল্যবান সেটা বুঝি যখন সারাদিনে একটাবারও নিউজফিড চেক করার কথা মনে পড়ে না। আসলে এইসব বিদায়ের ফরমালিটির জন্য আলাদা একটা বছর দরকার। আর সেইটা অবশ্যই আফটার অর বিফোর বেফাক। মিষ্টি খাওয়াইতে গিয়া আজকে আধাদিন ওয়েস্ট, একমাসও নাই পরিক্ষার।
দোয়ার দরখাস্ত
এরপর ২২শে এপ্রিল। খতমে বুখারীর দাওয়াতের কার্ড হাতে আসলো...
এইগুলা খতমে বুখারীর দাওয়াতের কার্ড। মাত্র দশটা আছে এখানে। সবাইকে দিতে গেলে আরো অনেকগুলা লাগবে। কার্ডগুলা সুন্দর হইছে। নিজের কাছেই রাইখা দেওয়ার মত। ছোটবেলায় এমন সুন্দর কার্ড পাইলে জমাইতাম।
আচ্ছা গল্প বাদ। এখন পড়ালেখায় ব্যস্ত আছি, দাওয়াতের কার্ড পৌছানোর সময়টাও নাই।
যদি আমি ফোন দিয়ে দাওয়াত দেয়ার সময় না পাই তাহলে কার্ড দেখে নিজ দায়িত্বে দাওয়াতটা গ্রহণ কইরা নিবেন কিন্তু...
আচ্ছা গল্প বাদ। এখন পড়ালেখায় ব্যস্ত আছি, দাওয়াতের কার্ড পৌছানোর সময়টাও নাই।

যদি আমি ফোন দিয়ে দাওয়াত দেয়ার সময় না পাই তাহলে কার্ড দেখে নিজ দায়িত্বে দাওয়াতটা গ্রহণ কইরা নিবেন কিন্তু...
এরপর খতমে বুখারী, পরিক্ষা।
এরপর...
বিদায়...
২০শে মে
শাহী মসজিদের বড় গেটের সামনে দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় পথচারীরা হয়তো আজকে বেশ অবাকই হয়েছে। হয়তো ভাবছিলো, হুজুররা এভাবে কাঁদছে কেন? কেউ মারা গেছে নাকি?
এখন আর মাত্র কয়েকজন আছে, বাকিরা সবাই একে একে বিদায় নিয়ে গেছে সকাল থেকে। একটু আগে যখন দুজনকে এগিয়ে দিতে গিয়ে বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে রিকশা ঠিক করছিলাম, তখন মনে হচ্ছিলো আকাশ বুঝি আমাদের দেখেই কাঁদছে। তখন যারা বিদায় দিচ্ছিলো কিছুক্ষণ পর তারা নিজেরাই বিদায় নিয়ে ফেলেছে। একজন বলছিলো, "যাওয়ার সময় এত খারাপ লাগবে জানলে জীবনে কারো সাথে হয়তো এতটা বন্ধুত্বই করতাম না।" তাহলে কি শুধু ঝগড়াই করতাম? কিন্তু আজকের এই সময়টায় এসে তো সেই ঝগড়াঝাঁটি আর খুনসুটিগুলোই বেশি মনে পড়ছে।
গতরাতে কেউ ঘুমায়নি। সারারাত বসে শেষবারের মত একটু গল্প করেছিলাম। কত স্মৃতি, কত হাসিকান্না, দৃশ্যপটে পুরো সময়টা ভেসে বেড়াচ্ছিল। এই স্মৃতিচারণের ব্যাপারটা বোধহয় কিছুটা আত্মঘাতী ছিল। যার ফলে সবার এভাবে চলে যাওয়াটা কিছুতেই মেনে নেয়া যাচ্ছে না। সম্পর্কের গভিরতাগুলো আগে কখনো এতটা উপলব্ধি করার সুযোগ পাইনি। আপন কোন ভাই নেই আমার। তাই জানিনা যে নিজের আপন ভাইয়ের বিচ্ছেদেও মানুষ এভাবে কাঁদে কিনা।
এতগুলো বছর একসাথে পড়ালেখা, ক্লাসের ফাঁকে মাসআলার ইখতেলাফ নিয়ে হুজুরের তাকরীরের উপর ঝগড়া বাধিয়ে দেয়া, আবার কখনো আড্ডাবাজি, ক্লাস না থাকলে সেই সুদূর সোহরাওয়ার্দীর "আবুধাবী"তে গিয়ে ক্রিকেট খেলা, কুরবানীর বন্ধে দলবেধে দূরের সফরে যাওয়া, আর অল্পতেই খুনসুটি, মারামারি, এসব কিছুর সেই সোনালী মুহুর্তগুলো নিয়ে এখন চাইলেও আর কারো সাথে গল্প করা যাবে না। চাইলেও এই দীর্ঘ সময়ের বন্ধুত্বগুলোকে এখন আর প্রাণবন্ত করে তুলতে পারবোনা। স্বার্থপর দুনিয়াটা কিছুদিনের মধ্যে সবাইকে ব্যস্ত করে ফেলবে। দীর্ঘ সময়ের এ স্মৃতিগুলোকে মলিন করে ফেলবে। এটাই সত্য কথা। এটাই বাস্তবতা। যাওয়ার সময় সান্তনা দিতে গিয়ে অনেকেই বলছিলো "আরেহ! কিসের বিদায়! আবার তো দেখা হবেই"। কিন্তু এই মিথ্যা কথাটা তো মানুষ শেষ দেখার সময়ও বলে।
এরপর সিলেট... শেষ সফর... বিদায়ী সফর
কয়েকটা দিন বৃষ্টির ছোয়া পাওয়ার পর বিছানাকান্দি আর রাতারগুল যে ভয়ংকর সুন্দর রূপটা ধারণ করে সেটা দেখার সুযোগ আসার পরও মিস করার মত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা আমার জীবনে ঘটতে দিতে চাইনা বলেই কেবল মাত্র ৩০০ দিনেরও কম ব্যবধানে একই জায়গায় তিন তিনটা সফর.... কান্ট হেইট ইউ সিলট.....
ট্যুরের সিদ্ধান্তটা হুট করেই হয়েছে। কথা হচ্ছে, পরিক্ষার পর এই হালকা রিফ্রেশমেন্টটা দরকার ছিল খুব। এসে মনে হচ্ছে না খুব বেশী লস করে ফেলেছি। সিলেটের আকাশটা সত্যিই অসম্ভবরকম সুন্দর লাগছ আজকে। ঢাকার ঝড় বৃষ্টির তেমন প্রভাব নেই এখানে। তবে হালকা মেঘ জমবে মনে হচ্ছে। যেটা খুব করে চাচ্ছি।
ক্লাসমেট ফ্রেন্ডগুলোর সাথে এটাই হয়তো শেষ সফর। থাক.. দুঃখটা ফেরার সময় করবোনে। আই বেটার ট্রাই টু লিভ ইন দা মোমেন্ট। দিনটা ভাল যাবে মনে হচ্ছে...
এরপর সিলেট... শেষ সফর... বিদায়ী সফর
কয়েকটা দিন বৃষ্টির ছোয়া পাওয়ার পর বিছানাকান্দি আর রাতারগুল যে ভয়ংকর সুন্দর রূপটা ধারণ করে সেটা দেখার সুযোগ আসার পরও মিস করার মত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা আমার জীবনে ঘটতে দিতে চাইনা বলেই কেবল মাত্র ৩০০ দিনেরও কম ব্যবধানে একই জায়গায় তিন তিনটা সফর.... কান্ট হেইট ইউ সিলট.....
ট্যুরের সিদ্ধান্তটা হুট করেই হয়েছে। কথা হচ্ছে, পরিক্ষার পর এই হালকা রিফ্রেশমেন্টটা দরকার ছিল খুব। এসে মনে হচ্ছে না খুব বেশী লস করে ফেলেছি। সিলেটের আকাশটা সত্যিই অসম্ভবরকম সুন্দর লাগছ আজকে। ঢাকার ঝড় বৃষ্টির তেমন প্রভাব নেই এখানে। তবে হালকা মেঘ জমবে মনে হচ্ছে। যেটা খুব করে চাচ্ছি।
ক্লাসমেট ফ্রেন্ডগুলোর সাথে এটাই হয়তো শেষ সফর। থাক.. দুঃখটা ফেরার সময় করবোনে। আই বেটার ট্রাই টু লিভ ইন দা মোমেন্ট। দিনটা ভাল যাবে মনে হচ্ছে...
No comments:
Post a Comment