Thursday, January 30, 2020

বাল্যবিবাহ কখন অপরাধ নয়

বাল্যবিবাহবিরোধী আইনের কিছু ধারার ক্ষেত্রে বিশেষ কারণে বিশেষ বিধান মতে অপরাধ বলে গণ্য হবে না।


বিশেষ বিধান আইনের ধারায় এভাবে উল্লেখ করে হয়েছেঃ

"এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিধি দ্বারা নির্ধারিত কোন বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্ত বয়স্কের সর্বোত্তম স্বার্থে, আদালতের নির্দেশ এবং পিতা-মাতা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিভাবকের সম্মতিক্রমে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণক্রমে, বিবাহ সম্পাদিত হইলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে না।"

আইনের পরিচয় সম্পর্কে বলা হয়েছেঃ 
"এই আইন বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ নামে অভিহিত হইবে।
ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।"


আইনে উল্লেখিত শব্দগুলোর ব্যাখ্যাঃ 

“অপ্রাপ্ত বয়স্ক” অর্থ বিবাহের ক্ষেত্রে ২১ (একুশ) বৎসর পূর্ণ করেন নাই এমন কোনো পুরুষ এবং ১৮ (আঠারো) বৎসর পূর্ণ করেন নাই এমন কোনো নারী।

“অভিভাবক” অর্থ Guardians and Wards Act, 1890 (Act No. VIII of 1890) এর অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত বা ঘোষিত অভিভাবক এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির ভরণ-পোষণ বহনকারী ব্যক্তিও এর অন্তর্ভুক্ত হবে।

“প্রাপ্ত বয়স্ক” অর্থ বিবাহের ক্ষেত্রে ২১ (একুশ) বৎসর পূর্ণ করিয়াছেন এমন কোনো পুরুষ এবং ১৮ (আঠারো) বৎসর পূর্ণ করিয়াছেন এমন কোনো নারী।

“বাল্যবিবাহ” অর্থ এইরূপ বিবাহ যার কোন এক পক্ষ বা উভয় পক্ষ অপ্রাপ্ত বয়স্ক।

“বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি।


বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটি গঠন করেছে সরকার।
বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জাতীয়, জেলা উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা এবং স্থানীয় পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তি সমন্বয়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটি গঠন এবং কার্যাবলি নির্ধারণ করতে পারবে।

বাল্যবিবাহ বন্ধে কতিপয় সরকারি কর্মকর্তা এবং স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধির সাধারণ ক্ষমতা     
ধারা ৫ এর বিধানের সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ন না করে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক বা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি কোন ব্যক্তির লিখিত বা মৌখিক আবেদন অথবা অন্য কোন মাধ্যমে বাল্যবিবাহের সংবাদ প্রাপ্ত হলে তিনি উক্ত বিবাহ বন্ধ করবেন অথবা বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।


বাল্যবিবাহের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের শাস্তি     
(১) আদালত, স্ব-উদ্যোগে বা কোন ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে বা অন্য কোন মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে, যদি এই মর্মে নিশ্চিত হন যে, কোন বাল্যবিবাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইয়াছে অথবা বাল্যবিবাহ অত্যাসন্ন তাহা হইলে আদালত উক্ত বিবাহের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করিতে পারিবে।

(২) আদালত স্বেচ্ছায় বা অভিযোগকারী ব্যক্তির আবেদনের ভিত্তিতে উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ প্রত্যাহার করিতে পারিবে।

(৩) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করিলে তিনি অনধিক ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ে অনধিক ১ (এক) মাস কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
মিথ্যা অভিযোগ করিবার শাস্তি     
৬। কোন ব্যক্তি ধারা ৫ এর অধীন মিথ্যা অভিযোগ করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৩০ (ত্রিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ে অনধিক ১ (এক) মাস কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

বাল্যবিবাহ করার শাস্তি     
(১) প্রাপ্ত বয়স্ক কোন নারী বা পুরুষ বাল্যবিবাহ করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ে অনধিক ৩ (তিন) মাস কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

(২) অপ্রাপ্ত বয়স্ক কোন নারী বা পুরুষ বাল্যবিবাহ করিলে তিনি অনধিক ১ (এক) মাসের আটকাদেশ বা অনধিক ৫০,০০০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় ধরনের শাস্তিযোগ্য হইবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ৮ এর অধীন কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের বা দণ্ড প্রদান করা হইলে উক্তরূপ অপ্রাপ্ত বয়স্ক নারী বা পুরুষকে শাস্তি প্রদান করা যাইবে না।

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন বিচার ও শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে শিশু আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৪ নং আইন) এর বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে।
বাল্যবিবাহ সংশ্লিষ্ট পিতা-মাতাসহ অন্যান্য ব্যক্তির শাস্তি     
৮। পিতা-মাতা, অভিভাবক অথবা অন্য কোন ব্যক্তি, আইনগতভাবে বা আইনবহির্ভূতভাবে কোন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির উপর কর্তৃত্ব সম্পন্ন হইয়া বাল্যবিবাহ সম্পন্ন করিবার ক্ষেত্রে কোন কাজ করিলে অথবা করিবার অনুমতি বা নির্দেশ প্রদান করিলে অথবা স্বীয় অবহেলার কারণে বিবাহটি বন্ধ করিতে ব্যর্থ হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর ও অন্যূন ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ে অনধিক ৩ (তিন) মাস কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
বাল্যবিবাহ সম্পাদন বা পরিচালনা করিবার শাস্তি     
৯। কোন ব্যক্তি বাল্যবিবাহ সম্পাদন বা পরিচালনা করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর ও অন্যূন ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ে অনধিক ৩ (তিন) মাস কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
বাল্যবিবাহ বন্ধে উদ্যোগী হইবার শর্তে বাল্যবিবাহের অভিযোগ হইতে অব্যাহতি     
১০। এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আদালতের নিকট উপযুক্ত বলিয়া বিবেচিত হইলে বাল্যবিবাহের উদ্যোগের সহিত জড়িত বিবাহ সম্পন্ন হয় নাই এইরূপ অভিযুক্ত যে কোন ব্যক্তি, বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে, যদি এই মর্মে মুচলেকা বা বণ্ড প্রদান করেন যে, তিনি ভবিষ্যতে বাল্যবিবাহের সহিত সম্পৃক্ত হইবেন না এবং তাহার নিকটবর্তী এলাকায় বাল্যবিবাহ বন্ধে উদ্যোগী হইবেন তাহা হইলে মুচলেকা বা বণ্ডের শর্তানুযায়ী তাহাকে তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ হইতে অব্যাহতি প্রদান করা যাইবে।
বাল্যবিবাহ নিবন্ধনের জন্য বিবাহ নিবন্ধনের শাস্তি, লাইসেন্স বাতিল     
১১। কোন বিবাহ নিবন্ধক বাল্যবিবাহ নিবন্ধন করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর ও অন্যূন ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ে অনধিক ৩ (তিন) মাস কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং তাহার লাইসেন্স বা নিয়োগ বাতিল হইবে।

ব্যাখ্যা: এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, “বিবাহ নিবন্ধক” অর্থ Muslim Marriages and Divorces (Registration) Act, 1974 (Act No. LII of 1974) এর অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত নিকাহ্‌ রেজিষ্ট্রার এবং Christian Marriage Act, 1872 (Act No. XV of 1872), Special Marriage Act, 1872 (Act No. III of 1872) ও হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৪০ নং আইন) এর অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত বিবাহ নিবন্ধক।
বয়স প্রমাণের দলিল     
১২। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ বা আবদ্ধ হইতে ইচ্ছুক নারী বা পুরুষের বয়স প্রমাণের জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ, জাতীয় পরিচয় পত্র, মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষার সার্টিফিকেট, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষার সার্টিফিকেট, প্রাইমারি স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষার সার্টিফিকেট অথবা পাসপোর্ট আইনগত দলিল হিসাবে বিবেচিত হইবে।
ক্ষতিপূরণ প্রদান     
১৩। (১) এই আইনের অধীন আরোপিত অর্থদণ্ড হইতে প্রাপ্ত অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে প্রদান করিতে হইবে।
ব্যাখ্যা: উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে “ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ’’ অর্থ বাল্যবিবাহের যে পক্ষ অপ্রাপ্ত বয়স্ক।
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ৭ এর উপ-ধারা (২) এর অধীন আরোপিত জরিমানা হইতে প্রাপ্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হইবে।
অপরাধের আমলযোগ্যতা, জামিনযোগ্যতা এবং অ-আপোষযোগ্যতা     
১৪। এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য, জামিনযোগ্য এবং অ-আপোষযোগ্য হইবে।
বিচার পদ্ধতি     
১৫। এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের বিচার সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হইবে এবং এতদুদ্দেশ্য Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর Chapter XXII এ বর্ণিত পদ্ধতি প্রযোজ্য হইবে।
সরেজমিনে তদন্ত     
১৬। আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন কোন অভিযোগ বা কার্যধারা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ঘটনার সত্যতা নিরূপণের নিমিত্ত আদালত সরেজমিনে তদন্ত করিতে পারিবে অথবা কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি বা অন্য কোন ব্যক্তিকে উক্তরূপ তদন্ত করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ তদন্ত কাজ ৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে সম্পন্ন করিতে হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, যুক্তিসঙ্গত কারণে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে তদন্তকার্য সমাপ্ত করার সম্ভব না হইলে কারণ উল্লেখপূর্বক অতিরিক্ত ১৫ (পনের) কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তকার্য সম্পন্ন করিতে হইবে এবং তৎসম্পর্কে আদালতকে লিখিতভাবে অবহিত করিতে হইবে।
মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর প্রয়োগ     
১৭। আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে, মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সালের ৫৯ নং আইন) এর তফসিলভুক্ত হওয়া সাপেক্ষে, মোবাইল কোর্ট দণ্ড আরোপ করিতে পারিবে।
অপরাধ আমলে নেয়ার সময়সীমা     
১৮। এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইবার ২(দুই) বৎসরের মধ্যে অভিযোগ দায়ের করা না হইলে আদালত উক্ত অপরাধ আমলে গ্রহণ করিবে না।
বিশেষ বিধান     
১৯। এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিধি দ্বারা নির্ধারিত কোন বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্ত বয়স্কের সর্বোত্তম স্বার্থে, আদালতের নির্দেশ এবং পিতা-মাতা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিভাবকের সম্মতিক্রমে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণক্রমে, বিবাহ সম্পাদিত হইলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে না।
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা     
২০। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
রহিতকরণ ও হেফাজত     
২১। (১) Child Marriage Restraint Act, 1929 (Act No. XIX of 1929), অতঃপর উক্ত Act বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও উক্ত Act এর অধীন -

(ক) কৃত কোন কাজ বা গৃহীত কোন ব্যবস্থা এই আইনের অধীনকৃত বা গৃহীত বলিয়া গণ্য হইবে;

(খ) দায়েরকৃত কোন মামলা বা কার্যধারা কোন আদালতে চলমান থাকিলে উহা এমনভাবে নিষ্পত্তি করিতে হইবে যেন উক্ত Act রহিত হয় নাই।
ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ     
২২। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে।


-শামসুল আরেফিন মনজু

Friday, January 10, 2020

মুরসিকে ২০১৯ এর ম্যান অফ দা ইয়ার ঘোষণা

ইটালিয়ান নিউজপেপার লা লিউস মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মুরসিকে ২০১৯ সালের ম্যান অফ দ্য ইয়ার ঘোষণা করেছে। এবং এর কারণ ব্যাখ্যা করে বলেছে "মৃত্যু পর্যন্ত সে তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে"। সে তার শেষ বক্তব্যে বলেছিল,
আমরা সবাই আমাদের দেশের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত। এবং আমিই হবো প্রথম ব্যক্তি। শরিয়ত রক্ষায় ত্যাগ শিকার করতে গিয়ে যদি আমার রক্ত দিতে হয় তাহলে আমি রক্তকে বিনিময়ে হিসেবে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি।" 
সে তার আদর্শের সাথে আপোষ না করায় শেষ পর্যন্ত তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে স্বৈরাচার সিসি প্রশাসন। 

২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে মিসরের অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে ওঠার পেছনে মুরসির অবদান ও দূর্নীতি বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের প্রশংসা করেছে লা লিউস। 

জেনারেল কাসেম সুলেমানীকে হত্যার পর বার্নি স্যান্ডারসের বক্তব্য

কাসেম সুলেমানীকে হত্যার পর পরই এক বক্তব্যে আগামী নির্বাচনের ডেমোক্রেটের প্রেসিডেন্ট ক্যান্ডিডেট বার্নি স্যান্ডার্স বলে,
"ট্রাম্প বলেছিল সে প্রেসিডেন্ট বুশের ঘোষিত অনন্ত যুদ্ধকে শেষ করবে। কিন্তু ট্র‍্যাজিকলি তার সিদ্ধান্ত আমেরিকাকে মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি ধংসাত্মক যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে৷ আমি যখন ২০০২ সালে ইরাক যুদ্ধের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলাম তখন এই আশংকা করেছিলাম যে আমেরিকার হস্তক্ষেপ ইরাকে চরম অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী করবে। দুঃখজনকভাবে আজ ১৭ বছর পর তা সত্য বলে প্রমাণ হয়েছে৷ দূর্নীতি আর দারিদ্রের চরম ভয়াবহ প্রকোপের পর এখন ইরাকিরা এখন চাচ্ছে আমেরিকা ইরাক থেকে তাদের সৈন্য সরিয়ে নিক।
 
আমি যুদ্ধ থেকে ফেরা অনেক আমেরিকা  সেনাদের ফিউনারেলে গিয়েছি। নিহত সেনাদের মায়েদের সাথে কথা বলেছি। সেসব সেনাদের সাথেও কথা বলেছি যারা যুদ্ধে পঙ্গু হয়ে দেশে ফিরেছে। আমি খুব ভাল করেই জানি যেসব পরিবারগুলো আমেরিকার বেপরোয়া পররাষ্ট্রনীতির ফলে চরম ভুক্তভোগী হচ্ছে তাদের মধ্যে ধনি পরিবারের সংখ্যা একেবারেই কম। 
আমাদের এখন যুদ্ধ শেষ করে নিজেদের দেশের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত৷ যেখানে হোমলেস জনগণের সংখ্যা পাচ লাখ। আমাদের ডলার নিজেদের জনগণের প্রয়োজনে খরচ করতে হবে। আরো ট্রিলিয়ন ডলার খরচের অনন্ত যুদ্ধে নয়।"

৩ জানুয়ারি ২০২০ 

Friday, January 3, 2020

পর্দায় মুখ ঢাকার ব্যাপারে হানাফি মাযহাবের মত

পর্দা ইস্যুতে কালকে দেখলাম একজন শায়েখ জমহুর আর জমহুরে ফুকাহার পার্থক্য গুলিয়ে ফেলেছেন। যেসব হাদীস দিয়ে ইবনে হুমাম ইমাম আবু হানীফার মতের পক্ষে ইসতেদলাল করেছেন, সেইসব হাদীস দলীল হবে কি না সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আজকে দেখলাম আরেকজন সুপরিচিত সুযোগ্য শায়েখ লিখেছেন, 

‘মজার ব্যাপার হলো, ফিকহের কিতাবে মহিলাদের চেহারা, হাতের ও পায়ের পাতাকে ‘আওরাত’ বলা হয়নি। বয়ানে দেখলাম, এটাকে আজহারী সাহেব মুখ খোলা রাখার পক্ষের দলিল হিসেবে উপস্থাপন করছেন। অথচ ফিকহের প্রাথমিক স্তরের একটা ছেলেও জানে, এখানে মুখ-হাতের ও পায়ের পাতা ঢাকতে হবে না বলতে বুঝানো হয়েছে, নামাজের মধ্যে এই অংশগুলো খোলা থাকলে নামাজ ভংগ হবে না।’

এই কথাটা খুবই হাস্যকর লাগলো। ফেকাহর কিতাবে নামাযের অধ্যায়ে সতরের আলোচনা হয়। এর বাইরে নজর বা নারীর কতটুকু দেখা বৈধ ওই আলোচনা যে করা হয় সেটা কিসের আলোচনা? সেটাও কি নামাযের আওরাতের আলোচনা? 
দেখুন কওমি মাদরাসায় পাঠ্য হানাফী ফিকাহর বিখ্যাত কিতাব হেদায়ার মুসান্নিফ কী লিখেছেন:

قَالَ ( وَلَا يَجُوزُ أَنْ يَنْظُرَ الرَّجُلُ إلَى الْأَجْنَبِيَّةِ إلَّا وَجْهَهَا وَكَفَّيْهَا ) لِقَوْلِهِ تَعَالَى { وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا } قَالَ عَلِيٌّ وَابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا ؛ مَا ظَهَرَ مِنْهَا الْكُحْلُ وَالْخَاتَمُ ، وَالْمُرَادُ مَوْضِعُهُمَا وَهُوَ الْوَجْهُ وَالْكَفُّ ، كَمَا أَنَّ الْمُرَادَ بِالزِّينَةِ الْمَذْكُورَةِ مَوْضِعُهَا ، وَلِأَنَّ فِي إبْدَاءِ الْوَجْهِ وَالْكَفِّ ضَرُورَةً لِحَاجَتِهَا إلَى الْمُعَامَلَةِ مَعَ الرِّجَالِ أَخْذًا وَإِعْطَاءً وَغَيْرَ ذَلِكَ ، وَهَذَا تَنْصِيصٌ عَلَى أَنَّهُ لَا يُبَاحُ النَّظَرُ إلَى قَدِمَهَا .
وَعَنْ أَبِي حَنِيفَةَ أَنَّهُ يُبَاحُ ؛ لِأَنَّ فِيهِ بَعْضَ الضَّرُورَةِ .
وَعَنْ أَبِي يُوسُفَ أَنَّهُ يُبَاحُ النَّظَرُ إلَى ذِرَاعِهَا أَيْضًا ؛ لِأَنَّهُ قَدْ يَبْدُو مِنْهَا عَادَةً

গায়রে মাহরাম নারীর চেহারা এবং দুই হাতের পাতা ছাড়া অন্য কোনো অঙ্গ দেখা পুরুষের জন্য বৈধ নয়। দলিল কুরআনের আয়াত: ‘তারা তাদের অলঙ্কার প্রকাশ করবে না তবে যা আপনাতেই প্রকাশিত হয়ে পড়ে’। আলী ও ইবনে আব্বাস রা. বলেছেন, আপনাতেই প্রকাশিত হয়ে পড়ে শুরমা ও আঙটি। উদ্দেশ্য হলো শুরমা ও আঙটির জায়গা অর্থাৎ চেহারা এবং হাতের পাতা। যেনো অলঙ্কার বলে অলঙ্কার পরিধানের জায়গা উদ্দেশ্য। আকলী দলিল হলো: চেহারা এবং হাতের পাতা প্রকাশ করার প্রয়োজন পড়ে পুরুষের সাথে তার মুআমালা, লেন-দেন ইত্যাদি প্রয়োজনে। এই কথা থেকে স্পষ্টভাবে বোঝা যায় পুরুষের জন্য নারীর পা দেখা বৈধ নয়। তবে ইমাম আবু হানীফা থেকে এক বর্ণনায় আছে যে পা দেখাও বৈধ। কারণ মাঝে মাঝে পা খুলে রাখারও প্রয়োজন পড়ে। ইমাম আবু ইউসুফ থেকে বর্ণিত, নারীর হাতের নলা দেখাও বৈধ। কারণ কখনও কখনও স্বভাবত তা প্রকাশিত হয়ে পড়ে। 

এর শরাহ করতে গিয়ে ফতহুল কাদীরে ইবনে হুমাম লিখেছেন,

فَالْأَوْلَى فِي الِاسْتِدْلَالِ عَلَى ذَلِكَ هُوَ الْمَصِيرُ إلَى مَا جَاءَ مِنْ الْأَخْبَارِ فِي الرُّخْصَةِ فِي النَّظَرِ إلَى وَجْهِهَا وَكَفَّيْهَا: مِنْهَا مَا رُوِيَ «أَنَّ امْرَأَةً عَرَضَتْ نَفْسَهَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَنَظَرَ إلَى وَجْهِهَا وَلَمْ يَرَ فِيهَا رَغْبَةً» . وَمِنْهَا مَا رُوِيَ «أَنَّ أَسْمَاءَ بِنْتَ أَبِي بَكْرٍ دَخَلَتْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَعَلَيْهَا ثِيَابٌ رِقَاقٌ، فَأَعْرَضَ عَنْهَا رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَقَالَ: يَا أَسْمَاءُ إنَّ الْمَرْأَةَ إذَا بَلَغَتْ الْمَحِيضَ لَمْ يَصْلُحْ أَنْ يُرَى مِنْهَا إلَّا هَذَا وَهَذَا وَأَشَارَ إلَى وَجْهِهِ وَكَفَّيْهِ» وَمِنْهَا مَا رُوِيَ " أَنَّ فَاطِمَةَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا - لَمَّا نَاوَلَتْ أَحَدَ ابْنَيْهَا بِلَالًا أَوْ أَنَسًا قَالَ: رَأَيْت كَفَّهَا كَأَنَّهَا فَلْقَةُ قَمَرٍ ": أَيْ قِطْعَتُهُ، فَدَلَّ عَلَى أَنْ لَا بَأْسَ بِالنَّظَرِ إلَى وَجْهِ الْمَرْأَةِ وَكَفِّهَا

উত্তম হলো এই মতের পক্ষে চেহারা এবং দুই হাত দেখার বৈধতা সম্বলিত হাদীস দিয়ে দলীল দেওয়া; এরকম একটি হাদীস হলো, একজন নারী নিজেকে রসূল সা.-এর জন্য পেশ করেছিলো তিনি তার চেহারার দিকে তাকিয়েছিলেন কিন্তু তার প্রতি আগ্রহী হননি। আরও একটি হাদীস হলো, আসমা বিনতে আবী বকর রা. রসূল সা.-এর কাছে গেলেন। তার গায়ে পাতলা কাপড় ছিলো। রসূল সা. মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং বললেন, হে আসমা একজন নারী যখন প্রাপ্তবয়স্ক হয় তখন তার এটা এবং এটা ছাড়া প্রকাশিত থাকতে পারে না এবং তিনি হাতের পাতা ও চেহারার দিকে ইশারা করলেন। আরেকটি বর্ণনায় আছে, ফাতেমা রা. যখন তার কোনো ছেলেকে বিলাল বা আনাসের কাছে দিতেন তিনি বলেন, আমি তার হাতের পাতা দেখেছি যেনো তা চাঁদের একটি টুকরা। এ থেকে বোঝা যায় চেহারা এবং হাতের পাতার দিকে তাকলে সমস্যা নাই। 

দেখেন ইবনে হুমামও প্রাথমিক ছাত্রদের মতো না বুঝে কোন কথার পক্ষে কী দলিল দিলেন! হায়্রে!

ফারুক ফেরদাউস

Wednesday, January 1, 2020

জান্নাত জাহান্নামকে স্মরণে রেখে জীবনে লক্ষ্য উদ্দেশ্য কি হওয়া উচিত

আপনার ২০২০ সালের resolution আপনাকে সফলতা দিবে না ব্যর্থতা দিবে যখন আপনি সৃৃষ্টিকর্তার কাছে পৌছাবেন?

“শেখ আব্দুল্লাহ আল শাংকিতি যিনি মদিনার অন্যতম আলেম, এবং তিনি তাফসির ও উসুল ( ইসলামি আইনের মূলনীতি) এর একজন অভিজ্ঞ শিক্ষক। তিনি জাহান্নামে যাওয়ার ৪ টি কারণ এবং জান্নাতে যাওয়ার ৪ টি কারণ ব্যাখ্যা করেছেন

তিনি পড়লেন-

আল-মুদ্দাসসির ৭৪:৪২
مَا سَلَكَكُمْ فِى سَقَرَ

‘তোমাদেরকে কিসে ‘সাকার’(জাহান্নামে) - এ নিক্ষেপ করেছে?’

এবং তাঁর আঙ্গুল দেখিয়ে গুনতে বললেন, 

আল-মুদ্দাসসির ৭৪:৪৩

قَالُوا۟ لَمْ نَكُ مِنَ ٱلْمُصَلِّينَ
তারা বলবে ‘আমরা সালাত (নামাজ) আদায়কারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না 
তিনি বললেন- এটাই প্রথম কারণ। 

আল-মুদ্দাসসির ৭৪:৪৪
وَلَمْ نَكُ نُطْعِمُ ٱلْمِسْكِينَ

আর আমরা অভাবগ্ৰস্তকে খাদ্য দান করতাম না 
তিনি বললেন- এটা দ্বিতীয় কারণ।

আল-মুদ্দাসসির ৭৪:৪৫
وَكُنَّا نَخُوضُ مَعَ ٱلْخَآئِضِينَ
এবং আমরা অর্থহীন বিনোদন কারীদের মধ্যে থাকতাম।
তিনি বললেন- এটাই তৃতীয় কারণ।

আল- মুদ্দাসিসর ৭৪:৪৬
وَكُنَّا نُكَذِّبُ بِيَوْمِ ٱلدِّينِ
আমরা কিয়ামতের দিন কে অস্বীকার করেছিলাম।

তিনি বললেন- এটিই চতুর্থ কারণ।

জান্নাতে যাওয়ার চারটি কারণঃ

আল-মু’মিনূন ২৩:১
 قَدْ أَفْلَحَ ٱلْمُؤْمِنُونَ 
অবশ্যই মু'মিনগণ বিশ্বাসী।

আল-মু’মিনূন ২৩:২
 ٱلَّذِينَ هُمْ فِى صَلَاتِهِمْ خَٰشِعُونَ 
যারা তাদের সালাত আদায়ে বিনয়ী।

আল-মু’মিনূন ২৩:৩
 وَٱلَّذِينَ هُمْ عَنِ ٱللَّغْوِ مُعْرِضُونَ 
আর যারা অর্থহীন কর্মকাণ্ডে বিমুখ।

আল-মু’মিনূন ২৩:৪
 وَٱلَّذِينَ هُمْ لِلزَّكَوٰةِ فَٰعِلُونَ 
এবং যারা যাকাত আদায়ে করে।

এরপর তিনি বললেন- একদল গরীবদের যাকাত দান করতেন এবং আরেকদল গরীবদের অভুক্ত রাখত। এবং 

একদল সমালোচনা থেকে বিরত থাকত এবং আরেকদল অর্থহীন সমালোচনায় লিপ্ত থাকত।
 এবং একদল তাদের ইবাদতে মনোযোগী ছিলেন অন্যদিকে আরেকদল কখনোই ইবাদতে শামিল হত না।
এবং একদিকে বিশ্বাসীগণ সফল,
অন্যদিকে একদল আখিরাতে বিশ্বাসী না।
তারপরে তিনি হেসে বললেন, "কুরআন ধনসম্পদে পরিপূর্ণ, আমাদের কেবল তাতে ডুবে যেতে হবে!"

-ইয়াহইয়া আমিন

The word of Shaykhul Azhar about Corona victim

সামর্থ্যবান প্রত্যেক ব্যক্তির উপর ওয়াজিব তাদের কিছু ব্যয়ভার বহন করা যারা এই রোগে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ লকডাউনে ঘরে আটকা পড়ার কারণে হ...