Friday, August 26, 2016

কওমী স্বীকৃতির আলাপ নিয়ে একরাত

এখানে সবকটা কওমীয়ান। মাঝে মাঝে তারা এমন আলাপ জমায়। আজকে নিজেদের বিষয় নিয়েই জমিয়েছিল।
বহুলালোচিত স্বীকৃতি তারা নিবে কি নিবেনা সেই সুদীর্ঘ আলোচনায় এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল যে শুধুমাত্র একটা সেলফির জন্য পোজ দেয়ার সময়টা বের করতে রাত একটা বেজে গেলো।


সেদিনের আলোচনা জমেছিল বেশ। ভিডিওগুলো আরেকটু সাজিয়ে গুছিয়ে করলে ইউটিউব বা ফেসবুকে আপলোড দেয়া যেত। 



Friday, August 12, 2016

তিনমাসের জায়গায় তো এক বছর হতে চললো!

১২ই আগস্ট
সারাদিন কিছু ভাল কাজ করার চেষ্টা করে দিনের শেষে যখন নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে খুব বাজে রকম কিছু ঘটে যায় তখন সেটাকে কি দুর্ঘটনা বলা যায়? হয়তো যায়। কিন্তু খুব কাছের মানুষরা যে সেটাকে অত সহজে মেনে নিতে পারবেনা এটাই নিয়ম।

সত্যি Farhad ভাইয়া! আগে যদি বুঝতাম এমন কিছু ঘটবে তাহলে আমি গতকাল ঢাকার বাইরে যাওয়ার প্রোগ্রামটা একেবারে বাদই দিয়ে দিতাম। আসলে ভালমত নিশ্চিত হয়েই গিয়েছিলাম যে আজকে সন্ধার আগে আমি ঢাকা থাকতে পারবো। কিন্তু আমাদের দেশের রাস্তাঘাটের অবস্থা তো জানোই। যেখানে আমার তোমার সাথে বসে বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার কথা সেখানে আমি রাত নয়টায় বসে ছিলাম গাবতলির জ্যামে।
জানি এইসব ওজর আপত্তিতে এখন আর কোন কাজ হবে না। জীবনে কোনদিন যেই পরিমাণ রাগ কারো সাথে করোভনাই সেটা আজকে আমার সাথে করবা এটাই স্বাভাবিক। আমার নিজের কাছে সত্যিই কিন্তু অনেক খারাপ লাগতেছে। সেই ছোট্টবেলা থেকে সবসময় এত একসাথে থাকার পরও এই বিশেষ দিনটায় তোমার সাথে থাকবোনা এটা ভাবিও নাই কোনদিন।

আচ্ছা বাদ দাও না! এটা একটা দুর্ঘটনা ছিল তো! এই শুভ দিনেও কেউ এত রাগ কইরা থাকে? আচ্ছা তুমি ভাবীর সাথে পরামর্শ কইরা আমার জন্য যতটা সম্ভব কঠিন একটা শাস্তির সিদ্ধান্ত নিতে পারো। আমি পরামর্শ সভার যে কোন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে প্রস্তুত। 
একটু কি কমলো রাগটা? আরেহ, আমার সাথে রাগ কইরা থাকতে পারবানা জানি। আর ধইরা নাও যে আমি বিয়েতে ছিলাম। অনেক ব্যস্ততার কারণে হয়তো দেখা হয়নাই। এইবার একটু হাসো না ভাই! খুশি হও এবং অনেক সুখী হও। অনেক কাছের মানুষ হিসাবে আমার পক্ষ থেকে শুভকামনাটাও কিন্তু অনেক অনেক বেশী।


১৪ই আগস্ট
ওলিমায় এসে খাওয়া দাওয়া শেষে 
সব মেহমানরা বসে 
একটাই প্রশ্ন করলেন মুরুব্বির বেশে।
"মাহদি!তোমারটা কবে?" 
আমিও একটাই উত্তর দিয়েছি, 
"আপনারা তো মুরুব্বী,
দিন তারিখ ঠিক করার দায়িত্ব তো আপনাদেরই নিতে হবে।"

সাথে মনে করিয়ে দিলাম
বরের জন্মের তিনমাস পরই আমি এসেছিলাম ভবে,
নিয়ম বলে, বিয়ের ব্যাপারেও এ তফাৎটা অবশ্যই ঠিক রাখতে হবে।
সবশেষে গাড়ির পেছন সিটে নববধূর মাথা নিজ কাধে নিয়ে যখন রওনা হয়ে গেল তার বর,
আমি বুঝলাম, খুব বেশী দেরী করা ঠিক হবেনা।
ভেতরে তো শুরু হয়েই গেছে তুমুল বেগে ঝড়। 


আসহাবে কাহাফের ইভেন্টে বন্যার্তদের পাশে

ট্রেন যখন থামলো। মনে পড়লো যে আমাদের তো একটা সেলফিও তোলা হল না। শেষ মুহূর্তে তোলা হয়েছিল এই একখনাআ ছবি।





এক ট্রলারে ত্রাণ পাঠিয়ে আরেক ট্রলারে আমরা যমুনার কড়া রোদের সাথে একটু প্রেম চর্চা করে নিচ্ছি। কিছুক্ষণের মধ্যেই জামালপুরের বন্যার্তদের মাঝে ভালবাসা বিতরণ শুরু করতে হবে যে!








স্থানটা কালিরচর, ইসলামপুর। ট্রলারে দুইঘন্টার পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হয়েছে বন্যার্ত অসহায় মানুষগুলোকে খুজতে। এটা আজকের প্রথম স্পট ছিল। সেখানে তিনশো পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। এরপর দুটি স্পটে আরো দুইশো পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শেষে আসহাবে কাহফ টিম এখন ঢাকার পথে।

যাইহোক, এই ছবিতে আমার সুরতে যেই ছেলেটাকে দেখতে পারছেন তাকে আমি ভেবে ভুল করবেন না। আমি কিন্তু আমার পকেটে। ছবিতে গলায় ঝুলানো কার্ডটি ভাল করে দেখুন। এই ছেলেটি নেসার উদ্দিন রুম্মান। এই মহৎ ইভেন্টের মূল উদ্যোক্তা


Monday, August 8, 2016

ইফতেখারের গ্রেফতার ও সুযোগসন্ধানী মন্তব্যের জবাব

এই সময়টার অপেক্ষায় ছিলাম। যখন প্রশাসন নিজ মুখে স্বীকার করবে যে ইফতেখার নির্দোষ।

নিখোঁজ হওয়ার পরদিন সকালেই কাউসার ভাইয়ের সাথে যখন মোহাম্মাদপুর থানায় ইফতেখারের খোজ নিতে গিয়েছিলাম পুলিশ তখন সরাসরি অস্বীকার করে বসেছিলো। ভেতর থেকে এক বন্দির ইশারায় ইফতি ভেতরে আছে বুঝতে পেরে যখন দ্বিতীয়বার ডিউটি অফিসারকে একটু খোজ নেয়ার অনুরোধ করতে গেলাম তখন আমাকেই ভেতরে ভরে দেয়ার ভয় দেখালো। পরিচয় দেয়ার পর খাতা খুলে দেখালো। আগেররাতে আটক করা বারোজনের মধ্যে ইফতেখারের নাম নেই। তাহলে কি ইফতেখারকে তারা গুম করর ফেলতে চেয়েছিল? করতে চাইলেও এটা এখন বলা যাবেনা। এই ছিল ঘটনার শুরু। এরপর থেকে এমন আরো বহু ঘটনা ঘটে চলছে যেগুলো শুধু চুপচাপ দেখেই যেতে হচ্ছে। চাইলেই বলা যাবেনা, লিখাও যাবেনা।

কিন্তু খুবই খারাপ লাগে, যখন আপনি ইফতেখারের সাথে দুএকদিনের পরিচয়ে অতিদরদ নিয়ে তারপক্ষে প্রতিবাদ করতে গিয়ে কিছু না জেনেই সরকার বিরোধী স্ট্যাটাস লিখতে বসে যান। এটা তো আজকাল একটা ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছে। অনেক অনেক লাইক কমেন্ট পেয়ে সহজে আপনার এই সেলেব্রিটি হওয়ার লোভ যে ইফতেখারের জন্য বিপদ ডেকে আনবে এটা আপনাকে কে বুঝাবে? আর কেউ তো ফরহাদ মাজহারকে এখানে টেনে এনে গালি দিয়ে প্রমাণ করতে চাচ্ছেন ইফতেখার তার দ্বারা প্রভাবিত। 

একটা সত্যি ঘটনা বলি। হেফাজতের সময় যখন ফরহাদ মাজহার হেফাজতের পক্ষে লিখতো এবং হেফাজত নেতা কর্মী সমর্থক নির্বিশেষে সবাই মযহার সাহেবের প্রশংসা পারলে পাচমুখ দিয়ে করতো তখন আমি ইফতেখারকেই একমাত্র দেখেছি ফরহাদ মযহারের ভুলের দিকগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে। 

ভাই, দশ বছ ধইরা একসাথে পড়ি। ক্লাসে পাশাপাশি বসি। এইসব নিয়া আমার থেকা তর্ক কেউ বেশী করেনাই। তর্কে বিরোধিতা করতে গিয়া আমি তারে অনেক ট্যাগ দিতে পারলেও কখনো জামাত ট্যাগ দিয়ে পারিনাই। তার চিন্তায় জামাতের সমস্যাগুলা খুব স্পষ্ট ছিল।
অতএব সে কি দ্বারা প্রভাবিত আর কি চিন্তা লালন করে এটা দুইদিনের পরিচয়ে আপনে খুব বেশি বুইঝা ফেলার ভাব যখন নেন তখন বিষয়টা খুব বেশী ফালতু টাইপ কিছু হয়া দাঁড়ায়।

এইসব কিন্তু আসলে কোন কাহিনী না। এই যে তাকে জামাতী বলে মামলা দেয়া এটার পিছনে আসল কাহিনীটা কি জানার চেষ্টা করেছেন? দোষটা কি আসলেই সরকারের বা কোন বিপ্লবীর যে তারে প্রভাবিত করতে চাইছিল? সেটা জানতে হলে তো কাওসার ভাই (ওর বড় ভাই)এর সাথে কথা বলতে হবে। আর যারা এই কেসটা নিয়ে দিনরাত দৌড়াচ্ছে তাদের কাছ থেকে শুনতে হবে। আর যদি আপনার অত সময় না থাকে তাহলে এই ***মার্কা স্ট্যাটাস দিয়া আলগা দরদ আপনে দেখাইতে আইসেন না।

কিছু দুষ্টচক্র চাচ্ছেই তাকে সরকার বিরোধী প্রমাণ করে নিজেদের দল ভারী করতে। এইটা একটা গেম। আপনি নিজের অজান্তে এতে অংশ নিচ্ছেন। 
যদি ইফতেখারের জন্য আসলেই কিছু করতে চান তাহলে তার ভাল যেই দিকগুলা জানেন সেগুলো নিয়ে স্ট্যাটাস দিন। ইতিমধ্যেই কয়েকজন ইফয়েখারের প্রতিভা, মেধা, চিন্তার শুদ্ধতা নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। উপর মহল থেকে বহু তদবীরের পর আজকে যেই সুসংবাদ আসলো, এতে এই ইতিবাচক স্ট্যাটাসগুলোরও বেশ ভাল একটা ভূমিকা ছিল বলে আমি মনে করি। অনেক কৃতজ্ঞতা তাদের সবার প্রতি।

Friday, August 5, 2016

বন্যাদুর্গতদের পাশে লালবাগ জামেয়ার সাথে


২রা আগস্ট,২০১৬

এইতো তিনদিন আগের কথা। বন্যার্ত মানুষগুলোর দুঃখ কষ্ট দেখে কেবল হাহাকার ছাড়া করার মত তেমন কিছুই পাচ্ছিলাম না। ওদিকে রুম্মান ভাই একলাই বন্যা ইস্যুতে সবাইকে সক্রিয় করার অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এরপর আওয়াজ তুললেন মুসা ভাই। জানতে পারলাম অপু ভাই আর জুবায়ের ভাইও ভিক্টিমদের নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। এতগুলো মানুষ পাশে পেয়ে মনে হলো কিছু একটা করার সুযোগ এসেছে। যোগ দিলাম কাহাফ ব্যাটেলিয়নে। সাকিব ভাই, সাইফ ভাই, ফায়সাল ভাই, মাহমুদ ভাই, এবিসি ভাই ও এমদাদ মামা সহ আরো অনেকে এগিয়ে এলেন। রোকন ভাই তার মিডিয়া আওয়ার ইসলামকে আমাদের পার্টনার বানিয়ে দিলেন। প্রচুর সাপোর্ট আসতে লাগলো সবদিক থেকে। 

বন্যার্তদের নিয়ে কিভাবে কাজ করা যায় এ নিয়ে কাহফিয়ানদের চ্যাটগ্রুপে পরামর্শ শুরু হলো। সিদ্ধান্ত হলো সবাই প্রাথমিকভাবে নিজ নিজ মাদরাসায় ক্যাম্পেইন করবে। সে মোতাবেক গতকাল আমি মাদরাসার ভেতর কাজ করার জন্য অনুমতি নিতে গেলাম দায়িত্বশীল হুজুরদের কাছে। কথা বলতে বসে বন্যার প্রসঙ্গ তুলতেই হুজুররা জানালেন লালবাগ মাদরাসা ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে এই সপ্তাহে ত্রাণ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর আমাকে লিফলেট বানাতে পাঠানো হলো আমাকে। আসহাবে কাহাফের রুম্মান ভাইয়ের লেখা এত সুন্দর ডেসক্রিপশন থাকতে আবার কষ্ট করে কেন লিখতে যাবো? শুধু নামটা চেঞ্জ করে দিলাম কপি মেরে। 

এইভাবেই মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে একই সাথে দুইটা গ্রুপের সাথে কাজ করার সুযোগ হয়ে গেলো। ব্যাপারটা বেশ উপভোগ করছি। আসলে ভেতরের মানবতাবোধটাকে জাগিয়ে তুলতে পারলে একটা মানুষ যে কতটা অসাধারণ হয়ে উঠতে পারে এটা দেখতে পাচ্ছি। সত্যিই অভিভূত হচ্ছি। এখনো এমন কিছু ভাল মানুষ বেচে আছে যারা সুযোগ পেলে মানুষের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিতে জানে। কালেকশন করতে নেমে মনে হচ্ছে সবাই টাকা হাতেই বসে ছিল। শুধু দেওয়ার জায়গাটাই পাচ্ছিলোনা।

আপাতত এই শুক্রবার পর্যন্ত মাদরাসার কাজ নিয়ে অফলাইনে একটু ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। তবে আসহাবে কাহাফের কাজটাও চলতে থাকবে পাশাপাশি। কাহাফের জন্য আমার যেই বিকাশ নাম্বারটা আছে এখন পর্যন্ত সেই একাউন্টের সংগ্রহ দশ হাজার টাকা। সাকিব ভাইয়ের একাউন্টেও আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভাল অংকের টাকা জমা হয়েছে।



সবকাজ বেশ তাড়াহুড়োর বধ্যেই করেছিলাম। তখনকার লিফলেট দিয়ে পোষ্ট যেটা দিয়েছিলাম ফেসবুকেঃ
লালবাগ জামেয়ায় ছাত্র শিক্ষক ও এলাকাবাসীর ব্যবস্থাপনায় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাড়ানোর। আগামী শুক্রবার বাদ আসর ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে দুর্যোগ কবলিত এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা করা হবে।
যারা শরিক হতে চান সহায়তা পাঠাতে পারেন লিফলেটে উল্লেখিত বিকাশ নাম্বারে।





৬ই আগস্ট ২০১৬ এর স্ট্যাটাসঃ
রওনা হয়ে গেলাম বন্যার্তদের ত্রাণ নিয়ে। গন্তব্য গাইবান্ধা। এবারের বন্যায় সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর একটি। খোজ খবর নিয়ে বিতরণকেন্দ্র চূড়ান্ত করতে ও ত্রাণ তহবিলে আরো কিছু যোগ করতে বড়দের পরামর্শে নির্ধারিত দিবসের একদিন পরই রওনা হতে হলো। কেবলমাত্র চারদিনের কালেকশন। প্রথম দুইদিনে তো আমি নিজেও নিশ্চিত ছিলাম না যে আসলেই নিয়ে যাওয়ার মত ত্রাণ হবে কিনা। কারণ লাখ দেড়েক যা উঠেছিলো তার অর্ধেক তো যাওয়া আসাতেই খরচ হয়ে যাবে। কিন্তু ফয়সালাটা যে উপর থেকেই করা হয়েছিল সেটা গতকাল জুমার পর বেশ ভালভাবে উপলব্ধি করলাম। কারণ জুমার পরের সংগ্রহে বেশ বড় একটা অংক ত্রাণ তহবিলে জমা পড়ে গেল। এবং তখন এলাকার অনেকেই আরো একটা দিন সময় চাইলো। আলহামদুলিল্লাহ, সবার সহযোগিতায় লালবাগ টিম আগামীকাল প্রায় চারশত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করতে যাচ্ছে।

গত কয়েকদিনে খোজখবর নিয়ে যা মনে হলো, দেশের বন্যাপ্লাবিত এলাকাগুলোর পরিস্থিতি যতটা ভয়াবহ তার সিকিভাগও মিডিয়া তুলে ধরছেনা। দেশের জনগণকে হতাশ করতে চায়না বলেই হয়তো এসব বন্যার্তদের অসহায়ত্বের প্রদর্শন একটু কম করে প্রদর্শন করছে তারা। তাছাড়া মিডিয়ার কাছে তো রামপাল ও জঙ্গি ইস্যুসহ আরো বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি পড়ে আছে খেয়াল করার মত। যেসব মানুষদের রান্না করার ব্যবস্থাটা পর্যন্ত নেই, কলা বা বাশের ভেলায় বিকল্প পদ্ধতিতে রান্না করে কোনও রকম জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করছে তারা আর যাই হোক মিডিয়ার লাখ টাকার ক্যামেরার লেন্সগুলোর দৃষ্টি নিজেদের দিকে ফেরানোর ক্ষমতা রাখেনা। কারণ আজকাল অসহায়ের আর্তনাদ শোনাতে যতটুকু ক্ষমতার প্রয়োজন ততটুকু ক্ষমতা তাদের নেই।

গাইবান্ধার একটা উপজেলার কিছু তথ্য দেই। শুধু ফুলছড়ি উপজেলায় ভেঙ্গে গেছে প্রায় ছয়টি ব্রীজ। সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলায় ৪০টি কাঁচা-পাকা সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আরো তলিয়ে গেছে তিন হাজার চার শত ৪০ হেক্টর জমির আউস, রোপা আমন, আমন বীজতলা ও শাকসবজি। ফলে বাজারে শাকসবজির দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও বন্ধ হয়ে গেছে ২৫৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 

আসলে এতকিছুর মাঝে আমাদের এতটুকু প্রচেষ্টা সত্যিই খুব সামান্য। কিন্তু এতটুকু করার সামর্থ্য থাকার পরও যদি একেবারেই কিছু না করতাম তাহলে যিনি এই সামর্থ্যটুকু দিয়েছিলেন তার কাছে অবশ্যই এর জবাবদিহিতা করতে হতো।





চলছে বিতরণ
ঠিক যেখানটায় দাঁড়িয়ে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে তিনদিন আগেও তার অনেকটাই পানিতে ডুবে ছিল। দেয়ালগুলোতে কোমর পর্যন্ত পানির দাগ এখনো খুব স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। আর মানুষগুলোর চেহারায় যে ছাপ পরিস্ফুটিত হচ্ছিলো সেটাকে অসহায়ত্ব বললে যথেষ্ট হবে কিনা জানিনা। কারণ এই মলিন চেহারাগুলোকে বোঝাতে কোন শব্দ যদি ব্যবহার করতে চাই তাহলে সে শব্দের প্রকাশ ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। খুব কঠিন হয়ে গেল মনে হয়। 
আমার কাছে তাদের জীবনটা এর চেয়ে বহুগুণ বেশী কঠিন মনে হয়েছে। তাও তো তারা বেচে আছে। একটু সাহায্যের আশায়। একটু ভালবাসার আশায়। 

ফুলছড়ির একশত ত্রিশ পরিবার ও বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত এক মাদরাসায় ত্রাণ বিতরণ শেষে এখন লালবাগ টিম যাচ্ছে মুন্সিপাড়া স্পটে।




আরেক স্পটের ছবি
লালবাগ টিমের আজকের দ্বিতীয় স্পট ছিল মুন্সিপাড়া মাদরাসা প্রাঙ্গণ। এই পর্বে গ্রামের দুইশত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

Wednesday, August 3, 2016

মুসলিম নারীদের রোল মডেল

অনেক দিন আগে আমেরিকার লাসভেগাস শহরে ইসলামি উগ্রবাদ বিষয়ে এক সেমিনারে কিছু ইসলামবিরোধী উদ্ধত প্রগলভ ব্যক্তির মুখোমুখি হয়েছিলাম। ওই সেমিনারে ইসলামকে উগ্র ও অসহিষ্ণু ধর্ম হিসেবে অভিহিতকারীদের মধ্যে সবার আগে ছিল রবার্ট স্পন্সর, যে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিরুদ্ধে বই লিখে সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের চেষ্টা করেছিল। সেমিনার ছিল উগ্রবাদের বিরুদ্ধে, অথচ রবার্ট স্পন্সরের পুরো বক্তব্য ছিল ইসলামের বিরুদ্ধে। সুতরাং আমাকে আমার বক্তৃতায় ইসলাম ধর্মের ওপর কৃত অভিযোগগুলোর বিস্তারিত জবাব দিতে হয়। আমি স্বল্পজ্ঞানের অধিকারী হয়েও রবার্ট স্পন্সরকে মিথ্যা প্রমাণিত করলাম।

কিছু স্থানীয় টিভি চ্যানেল সেমিনার যথাযথ প্রচার করে। এ প্রচারের ফলে আমেরিকার বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ও দফতর থেকে লেকচারের নিমন্ত্রণ আসে। আমি যেখানেই গেছি, সেখানেই বেশির ভাগ নারী ইসলামে নারীর অধিকার সম্পর্কে জানতে চেয়ে প্রশ্ন করেছেন। আত্মসম্মানবোধের নামে হত্যা, জোরজবরদস্তিমূলক বিয়ে, নারীশিক্ষা ও রোজগার করার ওপর বিধিনিষেধ সম্পর্কে পাশ্চাত্য মিডিয়ায় প্রচার করা সংবাদ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়।

ওইসব প্রশ্নের জবাবে এ অধম বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হজরত খাদিজা রা:-এর ঈমান ও বিশ্বস্ততা এবং হজরত আয়েশা রা:-এর জ্ঞানগরিমার দৃষ্টান্ত পেশ করে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করতে সফল হয়েছি।
যখন আমি এ কথা বললাম, আমাদের প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রথম স্ত্রী হজরত খাদিজা রা: একজন মহিলা ব্যবসায়ী ছিলেন। তার দু’বার বিয়ে হয়েছিল। আগের স্বামীর তিন সন্তানের জননী ছিলেন। বয়সেও বড় ছিলেন। তা সত্ত্বেও হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে তার দাম্পত্য জীবন সফল ও সুখকর ছিল। তার জীবদ্দশায় নবী করিম সা: দ্বিতীয় বিয়ে করেননি। তখন প্রশ্নকারীরা আরো জানার জন্য এ সংক্রান্ত গ্রন্থ সম্পর্কে জানতে চান।
এ অধম তখন মুহাম্মদ হুসাইন হায়কাল, মার্টিন লিংস ও ক্যারন আর্মস্ট্রংয়ের নবী করিম সা:-এর ওপর লিখিত গ্রন্থগুলোর উদ্ধৃতি পেশ করি। যখন মুহাম্মদ ডোগার সাহেবের রচনা আল আমিন আমার নজরে পড়ল, তখন আরো বেশি জানার আগ্রহ সৃষ্টি হলো।
আল্লামা শিবলী নোমানী ও আল্লামা সাইয়েদ সুলাইমান নদভীর সীরাতুন্নবী গ্রন্থে পড়েছি, হজরত খাদিজা রা:-এর পিতা আগেই ইন্তেকাল করেছিলেন। তবে তার চাচা আমর বিন আসাদ বেঁচেছিলেন। হজরত খাদিজা রা: চাচা থাকা সত্ত্বেও নবী করিম সা:-এর কাছে বিয়ের পয়গাম নিজেই প্রেরণ করেছিলেন।

পীর মুহাম্মদ করমশাহ আল আজহারি তার জিয়াউন্নবী গ্রন্থে লিখেছেন, বিশ্বনবী সা:-এর বাহ্যিক ও আধ্যাত্মিক পরিপূর্ণতা হজরত খাদিজা রা:কে তার গুণগ্রাহী বানিয়ে দেয়। সুতরাং তিনি রাসূলুল্লাহ সা:-এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি রাসূলুল্লাহ সা:-এর মতামত জানার জন্য অন্তরঙ্গ বান্ধবী নাফিসাকে তাঁর কাছে পাঠান। নাফিসা রাসূলুল্লাহ সা:-এর মতামত অবগত হন এবং ফিরে এসে হজরত খাদিজা রা:কে খোশখবর শোনান। এরপর তিনি রাসূলুল্লাহ সা:কে দাওয়াত করেন।
রাসূলুল্লাহ সা: তাশরিফ আনলেন। কথাবার্তা হলো। উভয়ে রাজি হওয়ার পর হজরত খাদিজা রা: রাসূলুল্লাহ সা:-এর কাছে আবেদন করেন, তিনি যেন তাঁর চাচা আবু তালেবকে তার কাছে পাঠিয়ে দেন। চাচা আবু তালেব পরের দিন তার কাছে গেলে তিনি তার কাছে অনুরোধ করেন, আপনি আমার চাচার কাছে গিয়ে আমার সাথে আপনার ভাতিজার সম্বন্ধের আবেদন করুন। এভাবে পাত্রপাত্রীর মুরব্বিদের অনুমতিতে বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। অপর কিছু গ্রন্থেও এ বর্ণনা বিদ্যমান রয়েছে। হজরত খাদিজা রা:-এর জীবন ও কর্মের আলোকে ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করা ও ওপরে তুলে ধরা আরো বেশি সহজ হয়ে গেছে।

কিছু দিন আগে ইসলামি নজরিয়্যাতি কাউন্সিলরের সদস্য ও জামায়াতে ইসলামি পাকিস্তানের ওমেন অ্যান্ড ফ্যামিলি কমিশনের প্রেসিডেন্ট ড. সাবিহা রাহিল কাজী তার এক পত্রের সাথে আমাকে জুবায়ের মানসুরির হজরত খাদিজা রা. : ঈমান ওয়া ওয়াফা কি সাথী (হজরত খাদিজা রা. : ঈমান ও বিশ্বস্ততার সঙ্গী) গ্রন্থ প্রেরণ করেন। তার উদ্দেশ্য ছিল ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে উম্মুল মুমিনিন খাদিজা রা:-এর ভূমিকা সবার সামনে তুলে ধরা। ওই গ্রন্থেও এ কথা লেখা আছে, হজরত মুহাম্মদ সা:-এর সাথে হজরত খাদিজা রা:-এর বিয়ের কথাবার্তা নাফিসার মাধ্যমে শুরু হয়। অতঃপর বড়রা কথাবার্তাকে এগিয়ে নিয়ে যান।

এ ঘটনা এবং অপর কিছু হাদিস এ কথা প্রমাণ করে যে, ইসলামে পছন্দের বিয়ে নিষেধ নয়। এ জন্য ১৬ জুন, ২০১৬ (নয়া দিগন্তে প্রকাশ ২৮ জুলাই, ২০১৬) আমি আমার কলামে এ কথা লিখেছিলাম যে, হজরত খাদিজা রা: তার বান্ধবী নাফিসার মাধ্যমে নবী করিম সা:-এর মতামত জানেন। অতঃপর উভয় পরিবারের বড়রা বিয়ের বন্দোবস্ত করেন। এটাকে পছন্দের বিয়ে অভিহিত করেছি।
কিছু ব্যক্তি এ বিষয়ে তাদের অমনঃপুতের কথা প্রকাশ করেছেন এবং উল্লেখিত কলামকে ঘর থেকে পালানো মেয়েদের সহায়তাকারী বলে অভিহিত করেছেন। আপত্তিকারীদের প্রতি অনুরোধ কলামের শিরোনাম লক্ষ করুন। মূলত ‘মেকি আত্মসম্মানবোধ’ শিরোনামের এ কলাম ছিল বোন ও কন্যাদের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে। ওই কলামে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের আলোকে বলা হয়েছে, একজন বুদ্ধিসম্পন্ন প্রাপ্তবয়স্ক বালেগ মুসলমান নারী তার পছন্দমতো বিয়ের অধিকার রাখে।
সুপ্রিম কোর্টের এ রায় সায়েমা নামের এক নারী ও আরশাদ নামের এক যুবকের বিয়ে সম্পর্কে ছিল। সায়েমা ঘর থেকে পালিয়ে বিয়ে করেননি। তার পিতা কন্যাকে তার অমতে বিয়ে দিতে চাচ্ছিলেন। জোরজবরদস্তিমূলক বিয়ে থেকে বাঁচার জন্য সায়েমা পাঁচজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে আরশাদকে বিয়ে করেন। এরপর তিনি স্বীয় পিতার ঘরে ফিরে যান। মাকে বিয়ের কথা জানানোর পর সায়েমাকে নির্যাতন ভোগ করতে হয়।

আমার কলাম নারী নির্যাতন ও তাদের জীবন্ত পুড়িয়ে মারার বিরুদ্ধে ছিল। হজরত খাদিজা রা:-এর উদাহরণ পেশ করার কারণ শুধু এটাই ছিল যে, আমি উম্মুল মুমিনিন খাদিজা রা:কে মুসলিম নারীদের জন্য রোলমডেল মনে করি। তিনি ইসলামের প্রথম নারী। তিনি প্রতিটি কঠিন সময়ে স্বামী হজরত মুহাম্মদ সা:-এর পাশে ছিলেন।

আমি স্পষ্টত লিখেছি যে, নবী করিম সা:কে পছন্দ করা এবং তার মতামত জানার পর উভয় পরিবারের বড়রা বিয়ের কার্যক্রম চূড়ান্ত করেন।

১৬ জুনের কলাম নিয়ে একটি পত্রিকা কিছু বিরোধিতামূলক বক্তব্য প্রকাশ করলে অনেক বিজ্ঞ আলেম আমার সাথে যোগাযোগ করেন এবং পরিপূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তবে ওইসব আলেমকে এক অপ্রয়োজনীয় বিতর্কে জড়িয়ে পড়া থেকে দূরে থাকতে বললাম।
আমার আবেদন, যদি কারো কোনো মতবিরোধ থাকে, তাহলে এ বিষয়ে যৌক্তিক আলোচনা ও তথ্যনির্ভর যুক্তি উপস্থাপনের সুযোগ রাখা উচিত। একজন আরেকজনের সাথে লড়াইয়ে লিপ্ত হওয়াতে কোনো ফায়দা নেই। ফায়দা সেই উঠাবে, যে ইসলামের বদনাম করতে চায়। আপনি আব্দুল মালেক মুজাহিদের বেশ সুন্দর গ্রন্থ হজরত খাদিজা রা: কি জিন্দেগি কে সুনাহরি ওয়াকিয়াত (হজরত খাদিজা রা:-এর জীবনের সোনালি ঘটনাবলি) পড়–ন অথবা ড. মুহাম্মদ আজম রেজা তাবাসসুমের গ্রন্থ খাদিজাতুল কুবরা অধ্যয়ন করুন। আপনি জানতে পারবেন, উম্মুল মুমিনিন খাদিজা রা: তার সব কিছু আল্লাহর রাসূল সা:-এর কাছে কোরবান করে দিয়েছিলেন।
জীবনের শেষ তিনটি বছর মক্কার বাইরে গারে হেরার সন্নিকটে পাহাড়ি উপত্যকা শেয়াবে আবি তালিবে ক্ষুৎ-পিপাসায় দিন অতিবাহিত করেন। ৬৫ বছর বয়সে রমজানুল মোবারকে তার ইন্তেকাল হয়। হজরত আয়েশা রা: বর্ণনা করেন, নবী করিম সা: তার প্রথম বিবিকে বেশ সুন্দর শব্দ দিয়ে স্মরণ করতেন।

এ বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, নবী করিম সা:-এর সব সন্তান হজরত খাদিজা রা:-এর গর্ভ থেকে জন্মগ্রহণ করেন। দুই পুত্র হায়াত লাভ করেননি। চার কন্যা ছিলেন পিতার চক্ষুশীতল নয়নমণি। রাসূলুল্লাহ সা: নিজের সন্তানদের পাশাপাশি হজরত খাদিজা রা:-এর প্রাক্তন স্বামীর সন্তানদেরকেও বুকে আগলে রেখেছিলেন।
স্বীয় কন্যাদের খুব ভালোবাসতেন। কন্যা সাইয়েদা জয়নব রা: মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের সফরের প্রাক্কালে হাব্বার বিন আসওয়াদ তার ওপর আক্রমণ করে বসে। জয়নব রা: উট থেকে পড়ে গিয়ে আহত হন। (ওই সময় তিনি গর্ভবতী ছিলেন) তার দেবর তাকে উদ্ধার করেন। কন্যার ওপর আক্রমণের খবর শুনে নবী করিম সা: খুব কষ্ট পান। আবু হুরায়রা রা: বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সা: আমাদেরকে (তাদের বিরুদ্ধে) অভিযানে প্রেরণ করে বললেন, যদি অমুক অমুককে পেয়ে যাও, তাহলে তাদেরকে আগুনে পুড়িয়ে মারবে।

যখন সাহাবায়ে কেরাম রা: রওনা হওয়ার জন্য রাসূলুল্লাহ সা:-এর কাছে বিদায় নিতে গেলেন, তখন তিনি বললেন, আমি তোমাদের অমুক অমুককে আগুনে পুড়িয়ে মারার আদেশ করেছিলাম, তবে আগুনের শাস্তি আল্লাহ তায়ালা ছাড়া আর কেউ দিতে পারে না, এ জন্য যদি তোমরা তাদের পেয়ে যাও, তাহলে তাদের হত্যা করবে।
এ কথাগুলো লিখে এটাই নিবেদন করতে চাই যে, আল্লাহর পেয়ারা নবী সা: স্বীয় কন্যার ওপর আক্রমণকারীদের আগুনে পুড়িয়ে মারার আদেশ ফিরিয়ে নিয়েছেন, আর আমাদের সমাজে নিজের মেয়েকেই পুড়িয়ে মারার ঘটনা রীতিমতো অব্যাহত রয়েছে।
মেয়েদের পুড়িয়ে মারা ও আত্মসম্মানবোধের নামে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন এবং বিশ্বকে জানান, আসল ইসলাম উগ্রপন্থী ও সন্ত্রাসীদের নয়, আসল ইসলাম হজরত মুহাম্মদ সা:-এর, যার ওপর সর্বপ্রথম একজন নারী ঈমান এনেছেন এবং ওই মহীয়সী নারীকেও খাতুনে জান্নাত আখ্যায়িত করা হয়েছে।
——————————————
মূললেখক : পাকিস্তানের প্রখ্যাত সাংবাদিক হামিদ মীর
অনুবাদ : ইমতিয়াজ আহমেদ

The word of Shaykhul Azhar about Corona victim

সামর্থ্যবান প্রত্যেক ব্যক্তির উপর ওয়াজিব তাদের কিছু ব্যয়ভার বহন করা যারা এই রোগে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ লকডাউনে ঘরে আটকা পড়ার কারণে হ...