পচাত্তর সালে আওয়ামীলীগের পতনকে 'বাংলাদেশী' জাতীয়তাবাদের উত্থানটা ছিলো এই দেশের মানুষের মুক্তি-সংগ্রামের চুড়ান্ত অর্জন বলে বলে করে জাতীয়তাবাদীরা। কিন্তু তারপর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশী আর বাঙালি হয়ে ওঠার দ্বিপাক্ষিক লড়াইটা চলছে। যারা বাঙ্গালী হতে চান তাদের মতে, বাংলাদেশী হতে চাওয়াটার মাধ্যমে পাকিস্তান আন্দোলনের ভিত্তি দ্বিজাতিতত্ত্বের দিকে ফিরে যাওয়া হইছিলো। কথাটা ঠিক না। এতো সরলভাবে দেখলে আসলে রাজনীতির সত্যিকার অর্থটা দেখা যায়না।
আসল কথাটা হলো এই অঞ্চলের মুসলমানদের নিজস্ব যেই ইসলাম-চিন্তা মেশানো আইডেন্টিটি আছে, সেই আইডেন্টিটিটাকে বাকশালী চিন্তা দিয়া ধামাচাপা দেয়ার একটা চেষ্টা ছিল। কিন্তু সমাজের আইডেন্টিটিরে আপনি ধামাচাপা দিয়া রাখতে পারবেন না।
এই বিষয়টারে পরিস্কার করছিলেন ডেনিস রাইট নামের এক ইতিহাসের প্রফেসর ভদ্রলোক। তিনি লেখছিলেনঃ 'যদিও আওমীলিগ ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে ভারতের কথা অনুযায়ী বাংলাদেশকে সেকুলার রাষ্ট্র নাম দিছিলো, কিন্তু বাংলাদেশীরা তাদের ইসলামী অতীত সবসময় মনে রাখছে। ... বরং ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দাড়াইয় গেছে বাংলাদেশের ইসলামিক আইডেন্টিটি। পাকিস্তানের সময় এইদেশে আসলে সেকুলারিজম কোন ইস্যই ছিলো না, আসল ইস্যু ছিলো ডেমোক্রেসি'( ভাবানুবাদ, ডেনিস রাইট, ইসলাম এন্ড বাংলাদেশী পলিটি, জার্নাল অফ সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ, ১০/২, ১৯৮৭, পৃ২১)।
এই উপমহাদেশের নিজস্ব আওয়ামী সেকুলারিজম (য়ুরোপিয়ান সেকুলারিজম না) যখন চাপায়া দেয়া হইলো, বাংলাদেশীরা স্বাভাবিকভাবেই তাদের আসল আইডেন্টিটির তাড়না বোধ করলো। একারণেই এই সময়ে আসা 'বাংলাদেশী' রাজনৈতিক চিন্তাটা একটা ইউনিক আইডিয়া। এর ধারাবাহিকতায় সাতাত্তর সালে জিয়াউর রহমান সংবিধান থেকে সেকুলারিজম কে বিদায় দিয়া আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস বসায়া দিলেন।
তার উপর ভিত্তি করে এরশাদ অষ্টাশি সালে রাষ্ট্রধর্ম বানাইলো ইসলাম।
দুইহাজার দশ সালে যখন সংবিধানে যখন আবার সেকুলারিজম বসাইলো, তখন জিয়ার দল বিএনপি এবং সকল ধর্মীয় দল হাওয়া খাইতেছিলো। পুরাপুরি সাধারণ মানুষের দোষ দেই না। বেশি দোষ হইলো রাজনীতিবিদ আর বুদ্ধিজীবিদের। তারা সেই সময় মানুষকে বুঝাইতে পারেনাই কত বড় শয়তানি হইতেছিলো। সম্ভবত তারা নিজেরাও বুঝতে পারেনাই। এবার যখন প্রতীকি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদের নাটক হইতেছে এখন সবার নাওয়া খাওয়া হারাম হৈ গেছে।
লেখাটা অন্য একজন লেখকের থেকে নেয়া কিন্তু এই আলোচনা যখন চলছিল তাঁর দুইদিন পরই রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহালের রায় আসলো। রিট খারিজ করে দিল আদালত। লেখাটা যিনি লিখেছেন তাঁর সব পয়েন্টের সাথে আমি একমত নই। কারণ উনি আইডেন্টিটির কথা বলে আবার শেষে সেই আইডেন্টিটিকেই সামান্য প্রতিকি বানিয়ে ছাড়তে চেয়েছেন। তবে তাঁর কিছু পয়েন্ট ভাল ছিল বিধায় টুকে রাখলাম।
রাষ্ট্রধর্ম বহাল থাকার ঘোষণা আসার পরের স্ট্যাটাসঃ
আলহামদুলিল্লাহ। মামলার রিট খারিজ করে দিয়েছে আদালত। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রয়েছে। আমরা এটাকে সুস্পষ্ট বিজয় বলতেই পারি।
একাত্তর টিভির ব্রেকিংটা দেখতে পারলে কি শান্তিটা যে লাগতো । আমি শুধু সেই উপস্থাপকগুলার এক্সপ্রেশনটা দেখতাম। আর গোলাম মোর্তজার কাছে জিজ্ঞেস করতাম " সংখ্যালঘুরা তো জিতা গেল। আপনারা সংখ্যাগুরুরা কি করবেন এখন?"
(এই লোক সেইদিন টকশো থেকা বের হয়া আমাদেরকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক বললেছিলেন)
কিন্তু বিজয়ের পরও কিছু কাজ বাকি থেকে যায়। ক্ষমার আযোগ্য শত্রুগুলোকে মুখোশ পালটে ফেলার আগেই সনাক্ত করে রাখতে হয়।
একাত্তর টিভির ব্রেকিংটা দেখতে পারলে কি শান্তিটা যে লাগতো । আমি শুধু সেই উপস্থাপকগুলার এক্সপ্রেশনটা দেখতাম। আর গোলাম মোর্তজার কাছে জিজ্ঞেস করতাম " সংখ্যালঘুরা তো জিতা গেল। আপনারা সংখ্যাগুরুরা কি করবেন এখন?"
(এই লোক সেইদিন টকশো থেকা বের হয়া আমাদেরকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক বললেছিলেন)
কিন্তু বিজয়ের পরও কিছু কাজ বাকি থেকে যায়। ক্ষমার আযোগ্য শত্রুগুলোকে মুখোশ পালটে ফেলার আগেই সনাক্ত করে রাখতে হয়।
No comments:
Post a Comment