বড় মসজিদে তারাবীহ পড়ানোর সুযোগ পাওয়াটা একদিকে যেমন সম্মানের,অন্যদিকে ঠেলাও কম না। এসব মসজিদ কমিটির চৌদ্দজনের চৌদ্দরকম বক্তব্য থাকে। যদি তারতীলের উপর আমল কখনো একটু বেশী হয়ে যায় তখন বলবে "আরে হাফেজ সাব! আজকে এত টাইম লাগলো যে? অসুস্থ নাকি আপনে?"
তবে আমাদের শাহী মসজিদের একটা ভাল দিক হল এখানে মুসল্লীরা তারাবীহ বলতে কেবলই তাড়াহুড়া করে নামাজ পড়াটাই বুঝে না। তাই এখানকার বেশিরভাগ মুসল্লিই তারতীলের সাথে পড়ার পক্ষে। এবং মসজিদ কমিটির মেজরিটির বক্তব্য হল "কারো জলদি পড়বার মুন চাইলে এখানে কিল্লেগা, আরো মোজ্জিদ আছে, অইখানে জাউজ্ঞা" (ঢাকাইয়া টোন হবে
)।
তাই কোনদিন স্পীড একটু বেড়ে গেলেই এসে জিজ্ঞেস করা শুরু করবে "কি অইলো হাফেসসাব? কেউ কি আপনেরে কিছু কইছে? কারো কথায় কান দিবেন না। আপনে আপনের "অই পড়াটাই" পড়বেন"।
আমার এই "অই পড়াটা" নাকি তাদের খুব পছন্দের। যেটা একটু তারতীলের সাথে পড়ার চেষ্টা করি। সমস্যা হল, প্রথম সাত বছর যেসব মসজিদে পড়িয়েছিলাম সেগুলোর প্রায় সবখানেই মুসল্লিদের কাছে তারাবীহর নামাজের অর্থ হচ্ছে "যে নামাজ তাড়াতাড়ি পড়া হয়"। তাই দুবছর আগে যখন এখানে পড়ানো শুরু করেছিলাম তখন তারতীলের উপর আমল করতে বেশ কষ্টই হয়ে গিয়েছিল। তার উপর আবার এখানে পিছনে মুসল্লিদের বড় একটা অংশ হাফেজ। আবার এমন এক জায়গায় দাড়ানোর সৌভাগ্য হয়েছে যেখানে হাফেজ্জী হুজুর আর ঢাকবী হুজুরদের মত ব্যক্তিত্বরা দাড়িয়েছিলেন। এটা আবার অনেকেই মনে করিয়ে দিত। যাতে শুকরিয়া আদায় করি। সেটা আদায় তো করতামই তবে সাথে নার্ভাসও হতে থাকতাম। তো সব মিলিয়ে প্রথম বছরটা পা কাপতে কাপতেই কেটে গিয়েছিল।
এরপর গত বছর থেকে আলহামদুলিল্লাহ কিছুটা অভ্যস্ত হতে শুরু করেছি। নার্ভাসনেসও কেটে গেছে অনেকটা।
এখন দোস্ত ও বুজুর্গদের কাছে দুআর আবেদন। দুআ করবেন, আল্লাহ যাতে এবছরও সুন্দরভাবে পড়ানোর তৌফিক দেয়।
তবে আমাদের শাহী মসজিদের একটা ভাল দিক হল এখানে মুসল্লীরা তারাবীহ বলতে কেবলই তাড়াহুড়া করে নামাজ পড়াটাই বুঝে না। তাই এখানকার বেশিরভাগ মুসল্লিই তারতীলের সাথে পড়ার পক্ষে। এবং মসজিদ কমিটির মেজরিটির বক্তব্য হল "কারো জলদি পড়বার মুন চাইলে এখানে কিল্লেগা, আরো মোজ্জিদ আছে, অইখানে জাউজ্ঞা" (ঢাকাইয়া টোন হবে

তাই কোনদিন স্পীড একটু বেড়ে গেলেই এসে জিজ্ঞেস করা শুরু করবে "কি অইলো হাফেসসাব? কেউ কি আপনেরে কিছু কইছে? কারো কথায় কান দিবেন না। আপনে আপনের "অই পড়াটাই" পড়বেন"।
আমার এই "অই পড়াটা" নাকি তাদের খুব পছন্দের। যেটা একটু তারতীলের সাথে পড়ার চেষ্টা করি। সমস্যা হল, প্রথম সাত বছর যেসব মসজিদে পড়িয়েছিলাম সেগুলোর প্রায় সবখানেই মুসল্লিদের কাছে তারাবীহর নামাজের অর্থ হচ্ছে "যে নামাজ তাড়াতাড়ি পড়া হয়"। তাই দুবছর আগে যখন এখানে পড়ানো শুরু করেছিলাম তখন তারতীলের উপর আমল করতে বেশ কষ্টই হয়ে গিয়েছিল। তার উপর আবার এখানে পিছনে মুসল্লিদের বড় একটা অংশ হাফেজ। আবার এমন এক জায়গায় দাড়ানোর সৌভাগ্য হয়েছে যেখানে হাফেজ্জী হুজুর আর ঢাকবী হুজুরদের মত ব্যক্তিত্বরা দাড়িয়েছিলেন। এটা আবার অনেকেই মনে করিয়ে দিত। যাতে শুকরিয়া আদায় করি। সেটা আদায় তো করতামই তবে সাথে নার্ভাসও হতে থাকতাম। তো সব মিলিয়ে প্রথম বছরটা পা কাপতে কাপতেই কেটে গিয়েছিল।
এরপর গত বছর থেকে আলহামদুলিল্লাহ কিছুটা অভ্যস্ত হতে শুরু করেছি। নার্ভাসনেসও কেটে গেছে অনেকটা।
এখন দোস্ত ও বুজুর্গদের কাছে দুআর আবেদন। দুআ করবেন, আল্লাহ যাতে এবছরও সুন্দরভাবে পড়ানোর তৌফিক দেয়।
No comments:
Post a Comment