লোকটা যখন পুলিশকে বললো "আমরা নামাজ পড়বো আপনি গুলি চালালে চালান" তখন তার কথায় বাংলাদেশের মুসলমানদের অসহায়ত্বের চিত্রই ফুটে উঠছিলো। কোথায় যেনো যুদ্ধটা চলছে কেউ ধরতেই পারছেনা। সবাই কিন্তু হেরে যাচ্ছে। আবার সেখানেই আরেকজন তখন বুকভরা সাহস নিয়ে বলে ওঠে "আরেহ, পিস্তল দেখায়েন না"। এ প্রতিবাদী বাক্যটা শেষমেশ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আমরা নিজেদের মাটিতেই দাঁড়িয়ে আছি।
সে এলাকায় হিন্দুদের সাতটা ঘরের জন্য সাতটা মন্দির থাকলেও মুসলমানদের পঞ্চাশটা ঘরের জন্য একটা মসজিদ ছিল না। তাই মুসলমানরা মিলে নিজেদের জায়গায় একটা মসজিদ নির্মাণ করে নামাজ আদায় শুরু করে দিয়েছিলো। এরপর হিন্দুরা এসে নামাজে বাধা দিলো। আচ্ছা এটাকে কি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বলা যাবে না? ওসিকে নিয়ে এসে পিস্তল দেখিয়ে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে মুসলমানদের মসজিদ থেকে বের করে দেওয়ার মত ন্যক্কারজনক ঘটনা দেখে খুব কষ্ট লাগা এবং এর প্রতিক্রিয়া হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। তাই এ ঘটনা যদি কোন দাঙ্গায় রূপ নেয় তখন ভালভাবে মনে রাখতে হবে যে সাম্প্রদায়িকতাটা আসলে কারা উষ্কে দিয়েছে!
যদি মেনেও নেই যে মসজিদটা হিন্দুদের জায়গার উপর করা হচ্ছিলো বলে তারা বাধা দিয়েছে তাহলে সেটা প্রমাণ করাটা বিচার-তদন্তসাপেক্ষ ব্যাপার না? কোন ধরনে সোর্স ছাড়াই পুলিশ এইভাবে মুসল্লিদের উপর এভাবে চার্জ করে কি করে? তাও আবার মসজিদে গিয়ে!
ঘটনা গতকাল জোহরের নামাজের সময়ের। আজ একদিন হতে চললো তাও এখন পর্যন্ত কোন টিভি চ্যানেল এই নিউজটাকে কাভার করার মত গুরুত্বপূর্ণ মনে করেনি। স্থানীয় লোকজনের মোবাইলের ক্যামেরায় ধারন করা দুএকটা ভিডিও দেখে কিছু জানা যাচ্ছে। পরিস্থিতি আসলে কোনদিকে যাচ্ছে? এ অপরাধের প্রতিবাদ বা নিন্দাবাদ কোনটা জানানোর ক্ষমতাই কি নেই আমাদের? নাকি অন্য কোন শক্তি আমাদের দেশে হস্তক্ষেপ করার পথ সুগম হয়ে যাওয়ার ভয়ে চুপ করে বসে আছি? হুম্ম ভয় তো আছেই। প্রতিবাদ, আন্দোলন এসব করলে এখন 'জঙ্গি' ফাতওয়া আসতে পারে। জমিটা হিন্দুদের এটা প্রমাণ করা তাদের জন্য তেমন কষ্টকর কিছুনা। যেহেতু প্রশাসন সাথে আছে।
তো আমরা চুপই থাকি। কারণ চুপ করে বসে থাকলেই তো ভারতের জন্য বাংলাদেশে আসার পথ খুব বেশী দুর্গম হয়ে যাবে। যেমনিভাবে 'জঙ্গি ফাতওয়া'র পর আমেরিকার পথ তো বেশ দুর্গম হয়ে গেছে। তাদের এসব পথ দুর্গম করার স্বার্থে আমাদের আর অনেক কিছু দেখে চুপ থাকতে হবে।
No comments:
Post a Comment