কায়রোতে রিকশা নেই বলে এত সুন্দর শহরটা খোলা আকাশের নিচে ঘুরে ঘুরে দেখারও কোন সুযোগ নেই। ব্যাপারটা দুঃখজনক। তবে এখানে ট্যাক্সি ভাড়া কম হওয়াতে ট্যাক্সিতে চড়ে শহর ঘুরে সেই দুঃখ কিছুটা কমিয়ে আনা সম্ভব। আর উবারের নতুন গাড়িগুলোতে যাতায়াত তো আরো সস্তা। নতুন গাড়ি না থাকলে আবার এখানকার ড্রাইভাররা উবার জয়েন করতে পারেনা। তাই ইদানীং ট্যাক্সিওয়ালাদের ভাত মেরে উবার জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এখানে।
হোসনি মোবারকের আমলে এদেশে স্বৈরতন্ত্র কায়েম থাকলেও সে সময় করা রাস্তাঘাট এখনো তার উন্নয়নের উৎকর্ষতার প্রমাণ বহন করছে। এখনো কায়রোর রাস্তা পুরো মিসরের মধ্যে নামকরা। তাছাড়া পরিকল্পিতভাবে করা ফ্লাইওভারগুলো শহরের সৌন্দর্য আরো বাড়িয়েছে। যানজট নেই বললেই চলে। তাই মাখনের মত মসৃণভাবে আস্তর করা রাস্তাগুলোতে একটু বেশিই বেপরোয়া হয়ে ওঠে ড্রাইভাররা। ১৪০-১৫০ গতিতে গাড়ি টানাটা যেমন খুব স্বাভাবিক ব্যাপার তেমনি এক্সিডেন্টও খুব স্বাভাবিক। এমন গাড়ি খুজে পাওয়া কঠিন যেটাতে কোন ডেন্ট পড়েনি, নেই হয়তো। অন্তত আমি গত একমাসে দেখিনি। গাড়ি যত নতুনই হোক না কেন, কোন না কোনদিকে একবার ধাক্কা খাওয়ার চিহ্ন থাকতেই হবে। এদের আরেকটা বদ অভ্যাস হচ্ছে এরা গাড়ি আর মোবাইল একসাথে চালায়। এক হাতে গাড়ির স্টেয়ারিং অন্যহাতে ফেসবুক নিউজফিড স্ক্রোলিং, নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপারস্যাপার এদের কাছে।
আগে উবারে উঠে এসি ছাড়তে বলা লাগতোনা। কিন্তু গত সপ্তাহে এখানে তেলের দাম এক পাউন্ড থেকে হুট করে পাচ পাউন্ড হয়ে যায়। এরপর থেকে এখন উবার ড্রাইভারদের এসি ছাড়ার অনুরোধ করলেও কাজ হয়না। পাচ পাউন্ড মানে কিন্তু মাত্র বিশ টাকা। কিন্তু মিসরীরা তো সারাজীবন পানির থেকেও কম দামে তেল কিনে এসেছে। অতএব পানির লিটার যেখানে চার পাউন্ড, সেখানে পাচ পাউন্ড দিয়ে এক লিটার তেল কিনতে এদের একটু তো গায়ে লাগবেই।
প্রচন্ড গরম পড়েছে। এমন গরম নাকি আরো সপ্তাহখানেক থাকবে। তবে শহরের বেশিরভাগ বিল্ডিংই শতবছর পুরানো হওয়াতে বাইরের গরম ঘরে খুব একটা ঢুকতে পারেনা। তো এ অবস্থায় প্রয়োজন ছাড়া দিনের বেলা বের হওয়ার সাহস না করাটাই স্বাভাবিক। এখন আমার নিত্যদিনকার রুটিন হচ্ছে
সকাল আটটায় বের হয়ে ক্লাসে যাওয়া, আর ক্লাস শেষে দুপুরে বাসায় ফিরে এসে নিজ রান্নায় মনোযোগী হওয়া। ছুটির দিনে অবশ্য সন্ধার পর বাইরে যাওয়া হয়।
ঈদের পর থেকে আমাদের বাসায় নতুন নিয়ম হয়েছে। যার যার রান্না সে সে করবে। কারণ সবার ডেইলি রুটিন ভিন্ন। এরপর থেকে প্রথম কয়েকদিন তো বাইরের খাবার খেয়ে চালিয়ে নিচ্ছিলাম। কিন্তু সেটাও আর কতদিন ভাল লাগে? বাসায় যেহেতু রান্নার সুব্যবস্থা আছে তাই রান্নাটা শিখে ফেলা উচিৎ।
প্রথমদিন ভিডিও কল দিয়ে আম্মুর থেকে শিখে শিখে রান্না করছি। ভালই হয়েছিল। বাসার রান্নার স্বাদ কিছুটা পেয়েছিলামও। খানিকটা সাহস হওয়াতে আজকে দ্বিতীয়দিন রান্নাঘরে ঢুকলাম। কিন্তু রান্না শেষে তরকারীর রঙ দেখে খুশি হতে পারলাম না। রান্না বোধহয় তেমন একটা ভাল হয়নি। পেয়াজ আর লাল মরিচের গুড়া পরিমাণে একটু বেশিই হয়ে গেছে মনে হচ্ছে। ধুর, এত কষ্ট করে রান্না করার পরও যদি ভাল না হয় তাহলে তো বাইরে খেয়ে নিলেই ভাল। এসব চিন্তা করতে করতে খেতে বসলাম।
নাহ, রান্না তো অতটাও খারাপ হয়নাই আসলে। খাওয়া যাচ্ছে।
হোসনি মোবারকের আমলে এদেশে স্বৈরতন্ত্র কায়েম থাকলেও সে সময় করা রাস্তাঘাট এখনো তার উন্নয়নের উৎকর্ষতার প্রমাণ বহন করছে। এখনো কায়রোর রাস্তা পুরো মিসরের মধ্যে নামকরা। তাছাড়া পরিকল্পিতভাবে করা ফ্লাইওভারগুলো শহরের সৌন্দর্য আরো বাড়িয়েছে। যানজট নেই বললেই চলে। তাই মাখনের মত মসৃণভাবে আস্তর করা রাস্তাগুলোতে একটু বেশিই বেপরোয়া হয়ে ওঠে ড্রাইভাররা। ১৪০-১৫০ গতিতে গাড়ি টানাটা যেমন খুব স্বাভাবিক ব্যাপার তেমনি এক্সিডেন্টও খুব স্বাভাবিক। এমন গাড়ি খুজে পাওয়া কঠিন যেটাতে কোন ডেন্ট পড়েনি, নেই হয়তো। অন্তত আমি গত একমাসে দেখিনি। গাড়ি যত নতুনই হোক না কেন, কোন না কোনদিকে একবার ধাক্কা খাওয়ার চিহ্ন থাকতেই হবে। এদের আরেকটা বদ অভ্যাস হচ্ছে এরা গাড়ি আর মোবাইল একসাথে চালায়। এক হাতে গাড়ির স্টেয়ারিং অন্যহাতে ফেসবুক নিউজফিড স্ক্রোলিং, নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপারস্যাপার এদের কাছে।
আগে উবারে উঠে এসি ছাড়তে বলা লাগতোনা। কিন্তু গত সপ্তাহে এখানে তেলের দাম এক পাউন্ড থেকে হুট করে পাচ পাউন্ড হয়ে যায়। এরপর থেকে এখন উবার ড্রাইভারদের এসি ছাড়ার অনুরোধ করলেও কাজ হয়না। পাচ পাউন্ড মানে কিন্তু মাত্র বিশ টাকা। কিন্তু মিসরীরা তো সারাজীবন পানির থেকেও কম দামে তেল কিনে এসেছে। অতএব পানির লিটার যেখানে চার পাউন্ড, সেখানে পাচ পাউন্ড দিয়ে এক লিটার তেল কিনতে এদের একটু তো গায়ে লাগবেই।
প্রচন্ড গরম পড়েছে। এমন গরম নাকি আরো সপ্তাহখানেক থাকবে। তবে শহরের বেশিরভাগ বিল্ডিংই শতবছর পুরানো হওয়াতে বাইরের গরম ঘরে খুব একটা ঢুকতে পারেনা। তো এ অবস্থায় প্রয়োজন ছাড়া দিনের বেলা বের হওয়ার সাহস না করাটাই স্বাভাবিক। এখন আমার নিত্যদিনকার রুটিন হচ্ছে
সকাল আটটায় বের হয়ে ক্লাসে যাওয়া, আর ক্লাস শেষে দুপুরে বাসায় ফিরে এসে নিজ রান্নায় মনোযোগী হওয়া। ছুটির দিনে অবশ্য সন্ধার পর বাইরে যাওয়া হয়।
ঈদের পর থেকে আমাদের বাসায় নতুন নিয়ম হয়েছে। যার যার রান্না সে সে করবে। কারণ সবার ডেইলি রুটিন ভিন্ন। এরপর থেকে প্রথম কয়েকদিন তো বাইরের খাবার খেয়ে চালিয়ে নিচ্ছিলাম। কিন্তু সেটাও আর কতদিন ভাল লাগে? বাসায় যেহেতু রান্নার সুব্যবস্থা আছে তাই রান্নাটা শিখে ফেলা উচিৎ।
প্রথমদিন ভিডিও কল দিয়ে আম্মুর থেকে শিখে শিখে রান্না করছি। ভালই হয়েছিল। বাসার রান্নার স্বাদ কিছুটা পেয়েছিলামও। খানিকটা সাহস হওয়াতে আজকে দ্বিতীয়দিন রান্নাঘরে ঢুকলাম। কিন্তু রান্না শেষে তরকারীর রঙ দেখে খুশি হতে পারলাম না। রান্না বোধহয় তেমন একটা ভাল হয়নি। পেয়াজ আর লাল মরিচের গুড়া পরিমাণে একটু বেশিই হয়ে গেছে মনে হচ্ছে। ধুর, এত কষ্ট করে রান্না করার পরও যদি ভাল না হয় তাহলে তো বাইরে খেয়ে নিলেই ভাল। এসব চিন্তা করতে করতে খেতে বসলাম।
নাহ, রান্না তো অতটাও খারাপ হয়নাই আসলে। খাওয়া যাচ্ছে।
No comments:
Post a Comment