মিসরীদের ঈদ উদযাপন চাঁদ উঠার পর থেকেই পুরোদমে শুরু হয়ে যায়। রাতভর চলে হৈ হুল্লোড়। ফজরের পর ঈদের জামাতের যাবতীয় কার্যক্রম বড়জোর ঘন্টা দেড়েকের মধ্যে শেষ করে এরা। তাই রাত থেকেই দলবেধে ঈদের জামাতে যাওয়ার একটা প্রস্তুতি চলতে থাকে।
তো আজকে ঈদের নামাজ আমরা আযহার মসজিদে আদায় করলাম। ফজর পড়ে আলো ফুটতে না ফুটতেই বের হলাম। যাওয়ার সময় রাস্তার দুপাশে তাকিয়ে দেখি এলাহী কারবার। এই সাঝ সকালে মানুষের এমন ভীড় দেখে অবাকই লাগছিল। আর এরা দেখছি একেবারে পুরো পরিবার নিয়ে চলে এসেছে ঈদের নামাজ পড়তে! এ যেন উৎসবের এক ভিন্ন আমেজ।
নামাজ শেষে খতিব সাহেবের খুতবা লম্বা হলেও একদম বিরক্ত লাগেনি। ফসীহ আরবিতে দেওয়া খুতবার প্রত্যেকটা শব্দ স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছিল। যদিও "জামায়াহ" বলতে গিয়ে বারবারই আঞ্চলিকতার টানে তিনি "গামায়াহ" বলে ফেলছিলেন।
খুতবা শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে প্রবাসী বাঙালি ভাইদের সাথে সাক্ষাৎ, কোলাকুলি ও কুশল বিনিময়ের আনন্দঘন একটা পর্ব চলে কিছুক্ষণ। এবং সেখান থেকে জানতে পারলাম যে, আযহারে কওমীর ছাত্র যারা আছেন তাদের পক্ষ থেকে রাতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সে উপলক্ষে আজ বিকেলে আমরা বাঙালি ছাত্ররা একত্রিত হচ্ছি।
মজার ব্যাপার হল, আমরা নামাজ শেষে যখন আযহার মসজিদ চত্বরে কোলাকুলি করছিলাম, আশেপাশের অনেকেই তাকিয়ে দেখছিল আমাদের। এখানে ঈদের পর এমন কোলাকুলির রেওয়াজ নেই। এরা সাধারণত গালেগাল লাগিয়ে এক ধরনের মুয়ানাকা করে থাকে। ঈদের জন্য এদের বিশেষ কোন কোলাকুলি নেই।
আযহার মসজিদ থেকে বাসায় হেটে আসতে হাজার বছর পুরানো মুঈয বাজার অতিক্রম করতে হয়। সাধারণত এ বাজারের পথঘাটগুলো বছরের প্রত্যেকটা বিকেলই উৎসবে জমজমাট থাকে। অনেক মিশরী নারীরা নিজ পোশাকের উপর শাড়ি জড়িয়ে ঘোমটা টেনে ছবি তুলতে আসে এখানে। এদের মধ্যে অনেককে দেখতে তখন আজব প্রকৃতির প্রাণির মত লাগে। এইসব রংঢংয়ের জন্য এখানে বিশেষ দোকান আছে। যে দোকান খুলতে চাইলে রসদ হিসেবে কয়েক টুকরো শাড়ির কাপড় আর একটা ক্যামেরা লাগে। ভাল ব্যবসা। এ বাজার দিয়ে হাটলে এমন আরো আজব কাণ্ডকারখানা দেখা যায়। আজ আবার এইসব কিছুর সাথে যোগ হয়েছে ঈদ আনন্দোৎসব।
বাসায় এসে সাথে সাথেই বের হতে হল। Luthferabbe Afnanমামার বাসায় ঈদের সকালের দাওয়াত। আগে যদি জানতাম উনি আমাদের জন্য চটপটি ও কাচ্চি মত দেশী খাবার তৈরী করে বসে আছেন তাহলে তো নামাজের পর কোনভাবেই দেরী করতাম না। মামার কাচ্চি রান্নার হাত সত্যিই অসাধারণ। আর এখন তো সাথে মামিও আছেন। আসার পরদিনই দাওয়াত করে কাচ্চি রান্না করে খাইয়েছিলেন। সেদিন আমি কাচ্চির কদর বুঝিনি। পুরান ঢাকা থেকে কেবল এসেছিলাম তো, তাই হয়তো। কিন্তু আজ যখন দেড় মাস পর দেশী খাবারের স্বাদ পেলাম তখন বুঝলাম আসলে পুরো দুনিয়ার হাজারো সুস্বাদু খাবার এনে দিলেও দেশী খাবারের উপর কোন খাবার হয়না।
আর সাথে ছিল মামির হোমমেইড স্পেশাল রসমলাই। স্বাদটা একেবারে মুখে লেগে আছে। মামি তাই একটা স্পেশাল ধন্যবাদ পাবেন।
ঈদের সকালটা তাহলে ভালই শুরু হল।
নাহ, সবমিলিয়ে ঈদটা খারাপ যাবেনা মনে হচ্ছে।
তো আজকে ঈদের নামাজ আমরা আযহার মসজিদে আদায় করলাম। ফজর পড়ে আলো ফুটতে না ফুটতেই বের হলাম। যাওয়ার সময় রাস্তার দুপাশে তাকিয়ে দেখি এলাহী কারবার। এই সাঝ সকালে মানুষের এমন ভীড় দেখে অবাকই লাগছিল। আর এরা দেখছি একেবারে পুরো পরিবার নিয়ে চলে এসেছে ঈদের নামাজ পড়তে! এ যেন উৎসবের এক ভিন্ন আমেজ।
নামাজ শেষে খতিব সাহেবের খুতবা লম্বা হলেও একদম বিরক্ত লাগেনি। ফসীহ আরবিতে দেওয়া খুতবার প্রত্যেকটা শব্দ স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছিল। যদিও "জামায়াহ" বলতে গিয়ে বারবারই আঞ্চলিকতার টানে তিনি "গামায়াহ" বলে ফেলছিলেন।

খুতবা শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে প্রবাসী বাঙালি ভাইদের সাথে সাক্ষাৎ, কোলাকুলি ও কুশল বিনিময়ের আনন্দঘন একটা পর্ব চলে কিছুক্ষণ। এবং সেখান থেকে জানতে পারলাম যে, আযহারে কওমীর ছাত্র যারা আছেন তাদের পক্ষ থেকে রাতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সে উপলক্ষে আজ বিকেলে আমরা বাঙালি ছাত্ররা একত্রিত হচ্ছি।
মজার ব্যাপার হল, আমরা নামাজ শেষে যখন আযহার মসজিদ চত্বরে কোলাকুলি করছিলাম, আশেপাশের অনেকেই তাকিয়ে দেখছিল আমাদের। এখানে ঈদের পর এমন কোলাকুলির রেওয়াজ নেই। এরা সাধারণত গালেগাল লাগিয়ে এক ধরনের মুয়ানাকা করে থাকে। ঈদের জন্য এদের বিশেষ কোন কোলাকুলি নেই।
আযহার মসজিদ থেকে বাসায় হেটে আসতে হাজার বছর পুরানো মুঈয বাজার অতিক্রম করতে হয়। সাধারণত এ বাজারের পথঘাটগুলো বছরের প্রত্যেকটা বিকেলই উৎসবে জমজমাট থাকে। অনেক মিশরী নারীরা নিজ পোশাকের উপর শাড়ি জড়িয়ে ঘোমটা টেনে ছবি তুলতে আসে এখানে। এদের মধ্যে অনেককে দেখতে তখন আজব প্রকৃতির প্রাণির মত লাগে। এইসব রংঢংয়ের জন্য এখানে বিশেষ দোকান আছে। যে দোকান খুলতে চাইলে রসদ হিসেবে কয়েক টুকরো শাড়ির কাপড় আর একটা ক্যামেরা লাগে। ভাল ব্যবসা। এ বাজার দিয়ে হাটলে এমন আরো আজব কাণ্ডকারখানা দেখা যায়। আজ আবার এইসব কিছুর সাথে যোগ হয়েছে ঈদ আনন্দোৎসব।
বাসায় এসে সাথে সাথেই বের হতে হল। Luthferabbe Afnanমামার বাসায় ঈদের সকালের দাওয়াত। আগে যদি জানতাম উনি আমাদের জন্য চটপটি ও কাচ্চি মত দেশী খাবার তৈরী করে বসে আছেন তাহলে তো নামাজের পর কোনভাবেই দেরী করতাম না। মামার কাচ্চি রান্নার হাত সত্যিই অসাধারণ। আর এখন তো সাথে মামিও আছেন। আসার পরদিনই দাওয়াত করে কাচ্চি রান্না করে খাইয়েছিলেন। সেদিন আমি কাচ্চির কদর বুঝিনি। পুরান ঢাকা থেকে কেবল এসেছিলাম তো, তাই হয়তো। কিন্তু আজ যখন দেড় মাস পর দেশী খাবারের স্বাদ পেলাম তখন বুঝলাম আসলে পুরো দুনিয়ার হাজারো সুস্বাদু খাবার এনে দিলেও দেশী খাবারের উপর কোন খাবার হয়না।
আর সাথে ছিল মামির হোমমেইড স্পেশাল রসমলাই। স্বাদটা একেবারে মুখে লেগে আছে। মামি তাই একটা স্পেশাল ধন্যবাদ পাবেন।
ঈদের সকালটা তাহলে ভালই শুরু হল।
নাহ, সবমিলিয়ে ঈদটা খারাপ যাবেনা মনে হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment