গতকাল দ্বিতীয় তারাবীহ পড়েছি কায়রোর সর্বপ্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী আযহার মসজীদে। গিয়ে দেখি মসজীদের ভেতর কানায় কানায় পরিপূর্ণ। নামাজ পড়তে হয়েছে মসজীদ চত্বরে। কায়রোর রাতের হিমেল হাওয়ার মাঝে দাঁড়িয়ে মিসরী ক্বারিদের তিলাওয়াত শোনার মুগ্ধতা বর্ণনা করার মত শক্তিশালি লিখনীর যোগ্যতা অর্জন করতে আমার আরো হাজার বছরের সাধনা প্রয়োজন। তাই সে অনুভূতি ব্যক্ত করতে ব্যর্থ হলাম।
বিস্ময়ের ব্যাপার হল, চারপাশে ঘেরা সুবিশাল দেয়ালগুলো এই হাজার বছরের ঐতিহ্যের ভারে একটুও নুয়ে পড়েনি। এখনো সিনা টানটান করে দাঁড়িয়ে আছে।
বলা হয়ে থাকে এই মসজিদটি নির্মাণের সময় এমন কিছু একটা করা হয়েছিল যাতে তার দেয়ালের উপর কোন ধরণের পাখি না বসতে পারে। সে তেলেসমাতির প্রভাব নাকি এখনো অক্ষুণ্য রয়েছে।
আল্লামা তাকি উসমানী সাহেবের লেখা থেকে সংক্ষিপ্ত যে ইতিহাসটুকু জানতে পারলাম তা হচ্ছেঃ
কায়রোতে সুপ্রসিদ্ধ জামেয়া বলে যে জামেয়াতুল আযহারকে আমরা চিনি তা গড়ে উঠেছিল এই আযহার মসজিদকে কেন্দ্র করে।
৯৭০ সাল অর্থাৎ আজ থেকে এক হাজার সাতচল্লিশ বছর আগের কথা। মুঈয লি দিনীল্লাহ তখন ফাতেমী খেলাফতের চতুর্থ খলিফা। তিনি নিজ গোলাম জাওহার আস সিকিল্লিকে আযাদ করে। এবং সেনাপতি বানিয়ে প্রেরণ করে মিসর ও উত্তর আফ্রিকা অভিযানে। জাওহার সিকিল্লি সফলভাবে সে অভিযান সম্পন্ন করলে খলিফা তাকে কায়রো নগরী আবাদ করার নির্দেশ দেন। উদ্দেশ্য ছিল কায়রোকে ফাতেমী খেলাফতের রাজধানী বানানো। তাই ঠিক তখনই নগর নির্মাণের সূচনালগ্নে খলিফা এই আযহার মসজিদের ভিত্তি স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবং আদর্শগত জ্ঞানচর্চার লক্ষ্যে নিজ পৃষ্ঠপোষকতায় অনন্য এক শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন।
তবে এরপর থেকে আযহার দেখেছে আরো বহু শতাব্দী। জগতের তাবৎ ঘটনার সাক্ষী হয়ে হাজার বছর ধরে টিকে থাকা এই আযহারকে জানতে হলে ইতিহাসের আরো কিছু পাতা উল্টাতে হবে
বিস্ময়ের ব্যাপার হল, চারপাশে ঘেরা সুবিশাল দেয়ালগুলো এই হাজার বছরের ঐতিহ্যের ভারে একটুও নুয়ে পড়েনি। এখনো সিনা টানটান করে দাঁড়িয়ে আছে।
বলা হয়ে থাকে এই মসজিদটি নির্মাণের সময় এমন কিছু একটা করা হয়েছিল যাতে তার দেয়ালের উপর কোন ধরণের পাখি না বসতে পারে। সে তেলেসমাতির প্রভাব নাকি এখনো অক্ষুণ্য রয়েছে।
আল্লামা তাকি উসমানী সাহেবের লেখা থেকে সংক্ষিপ্ত যে ইতিহাসটুকু জানতে পারলাম তা হচ্ছেঃ
কায়রোতে সুপ্রসিদ্ধ জামেয়া বলে যে জামেয়াতুল আযহারকে আমরা চিনি তা গড়ে উঠেছিল এই আযহার মসজিদকে কেন্দ্র করে।
৯৭০ সাল অর্থাৎ আজ থেকে এক হাজার সাতচল্লিশ বছর আগের কথা। মুঈয লি দিনীল্লাহ তখন ফাতেমী খেলাফতের চতুর্থ খলিফা। তিনি নিজ গোলাম জাওহার আস সিকিল্লিকে আযাদ করে। এবং সেনাপতি বানিয়ে প্রেরণ করে মিসর ও উত্তর আফ্রিকা অভিযানে। জাওহার সিকিল্লি সফলভাবে সে অভিযান সম্পন্ন করলে খলিফা তাকে কায়রো নগরী আবাদ করার নির্দেশ দেন। উদ্দেশ্য ছিল কায়রোকে ফাতেমী খেলাফতের রাজধানী বানানো। তাই ঠিক তখনই নগর নির্মাণের সূচনালগ্নে খলিফা এই আযহার মসজিদের ভিত্তি স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবং আদর্শগত জ্ঞানচর্চার লক্ষ্যে নিজ পৃষ্ঠপোষকতায় অনন্য এক শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন।
তবে এরপর থেকে আযহার দেখেছে আরো বহু শতাব্দী। জগতের তাবৎ ঘটনার সাক্ষী হয়ে হাজার বছর ধরে টিকে থাকা এই আযহারকে জানতে হলে ইতিহাসের আরো কিছু পাতা উল্টাতে হবে
No comments:
Post a Comment