পেনসেলভেনিয়া থেকে ট্রাম্পের বক্তব্য লাইভ দেখানো হচ্ছে। হাজার হাজার মাইল দূর থেকে বসে তা দেখা ও নিচের কমেন্ট পড়ে সেখানকার জনগণের প্রতিক্রিয়া জানার ব্যাপারটা আগের জমানার মুরুব্বিদের কাছে অবাককর বটে। তারা যখন এমন স্বাভাবিক কারণে অবাক হতে থাকেন আমরা তখন বক্তব্যরত ট্রাম্পের দিকে তাকিয়ে অবাক হওয়ার মত কিছু অস্বাভাবিক কারণ খুজে পাই। নার্সিসিজমে আক্রান্ত পাগল এই লোকটা কিভাবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বনে গেল? এরপর মাথার ভেতর জটিল কিছু হাইপোথিসিস খেলে যায়। এসবকে আপনি মধ্যরাতের ফালতু ভাবনা বলতে পারেন। ইচ্ছে হচ্ছিল লিখতে তাই লিখলাম। থাক, আপনার পড়ার দরকার নেই। পরে আবার আমাকেই পাগল ভেবে গালমন্দ শুরু করে দিতে পারেন। :p
আচ্ছা, এমন কি হতে পারেনা যে জায়নবাদী মিডিয়াগুলোই চেয়েছিল যে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসুক। প্রচারণার কারণে মানুষ যে ভেবেছে মিডিয়া হিলারীকে চায়, মানুষকে এভাবে ভাবানোটাই তাদের উদ্দেশ্য ছিল। হতে পারে না? মানুষ এখন ভাববে যে পলিসি মেকিংয়ে জায়নিস্টদের কন্ট্রোলটা আর আগের মত থাকছেনা।
ইহুদীরা কেন এটা চাইবে? চাইতেই পারে। অনেক সময় তো মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবেই আড়ালে গিয়ে কাজ করে। এতে বেশ কিছু সুবিধা আছে। নীতিনির্ধারণ করতে গিয়ে দেশ বা জাতির জন্য আত্মঘাতী কোন সিদ্ধান্ত নিতে হলেও তখন আর খেসারতের খুব একটা হিসেব কষতে হয়না।
এভাবে বললে ট্রাম্পকে দুষ্টলোক হিসেবে উপস্থাপন করাটাকেও তাদের কৌশলের অংশ বলা চলে। একটা সময় ট্রাম্প থেকে মানুষের প্রত্যাশার পরিমাণ শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে। ঠিক সেই সময়ই যদি সে তাক লাগানোর মত ভাল একটা কিছু করে বসে তাহলে তো এক্সপেকটেশনের লেভেলটা আবারো অনেক হাই হয়ে যাবে। এবং মানুষ তখন অতীতকে ভুলে যেতে শুরু করবে। ধুর! ভিত্তিহীন ফালতু সব কথাবার্তা।
তবে সামগ্রিক একটা উপলব্ধিকে আমার সত্য ভাবতে ইচ্ছা হয়। মাঝে মাঝে সব কিছুর পেছনেই একটা পাতানো কাহিনী আছে বলে মনে হতে থাকে। আমাদেরকে যা দেখানো হচ্ছে তার সবটাই হয়তো পরিকল্পিত। এগুলো করা হচ্ছে আমাদের চিন্তা ভাবনাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। আমরা খালি চোখে দেখা ঘটনাগুলো নিয়ে কথা বলি। চা দোকানের আড্ডায় উঠে আসা বিশ্লেষণগুলোই আমাদের ভেতর একটা বিশ্বাসের জায়গা তৈরী করে নেয়। যা খুব প্রবলভাবে চেয়ে থাকে সমাজ বা রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রকবৃন্দ।
এরপর হয়তো একটা সময় আসে। যখন আমাদের মধ্যেই কেউ একজন খুব দূরদর্শী হয়ে উঠতে থাকে। পর্দার পেছনে বসে লিখতে থাকা স্ক্রীপ্ট রাইটারের কলমের আঘাতে জর্জরিত সমাজের চিত্রগুলো তার চোখে ধরা পড়তে থাকে। এবং একটা সময় সে ছন্টাও ধরে ফেলতে পারে। তখন চিৎকার করে সে সমাজের মানুষগুলোকে বলতে থাকে যে স্ক্রীপ্ট রাইটার অনবরত কি লিখে যাচ্ছে। কিন্তু কেউ তার চিৎকার শুনতে পায়না অথবা শুনতে চায়না।
No comments:
Post a Comment