ক্যাথোলিক পোপ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বিবাহিতরা পাদ্রী হতে পারবে না। অর্থাৎ ভ্যাটিকান তার হাজার বছরের সিদ্ধান্ত থেকে বের হতে পারছে না। এখানে কয়েকটি বিষয় লক্ষণীয়।
ক) একক ব্যক্তির সিদ্ধান্তে ধর্ম চলছে। ইসলামে এটা ভাবাই যায় না। কাবা শরীফ ইসলামে অত্যন্ত সম্মানিত জায়গা, দেওবন্দ বা আজহার বড় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, তবে কারো পক্ষেই একক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষমতা নাই। কোরআন-সুনানের ভিত্তিতে প্রমাণ করতে পারলে বাংলাদেশের কোন প্রান্তিক অঞ্চল থেকেও কেউ এর বিরোধিতায় দাড়াতে এবং ভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন।
খ) বিবাহিতরা পাদ্রী হতে পারবে না, এটা মূলত একটা বিদআত। এর সূচনা হয়েছে হাজার বছর আগে। এর আগে খৃস্টান ধর্মে এর প্রচলন ছিল না। ইসলামে এমন সার্বজনীন বিদআতের কথা ভাবাও যায় না। এত দীর্ঘমেয়াদীভাবে কোন বিদআত টিকে থাকে এবং তথাকথিত সংস্কারবাদী পোপ তাতে সম্মতি জানান - বুঝেন অবস্থা !
গ) সবচেয়ে বড় কথা বিবাহের মতো স্পষ্ট হালাল ও অধিকারের বিষয় পোপ বা গির্জা হারাম বানায় কীভাবে, মানুষ কীভাবে এই এখতিয়ার পেল? দেখুন, গণতন্ত্রেরও ঠিক একই সমস্যা। তারা আইন প্রণয়ন করে। অবৈধ প্রতারক চক্র সংসদে বসে মানুষের বৈধ-অবৈধ ঠিক করে দেয় ; আঠারো বছরের আগে বিবাহ করা যাবে না। *
ঘ) আমরা অনেক সময় মনে করি, গির্জা বা খৃস্টান ধর্মীয় ব্যবস্থায় বোধহয় গণতন্ত্র নেই। আদতে সেখানেও 'গণতন্ত্র' আছে। পাদ্রী-বিশপরা পোপ নির্বাচিত করেন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে পোপের স্বৈরতন্ত্রসহ বাকীদের মতামত নেবার ব্যবস্থা আছে। তবে গির্জার মতো গণতন্ত্রেও মৌলিক কিছু সমস্যা আছে। বিদআতের কথাই ধরুন, কিছু একক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কীভাবে মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে, গির্জার মতো আধুনিক গণতন্ত্রও এভাবে স্বৈরাচার জারি রেখেছে। **
এই লোকগুলোই আবার ধর্মীয় আইনের কথা বলে ইসলামি শরিয়তের বিরোধিতা করেন। ট্র্যাম্প তার ভাষণে শরিয়া ল উচ্চারণ করতে গিয়ে কীভাবে মুখ ও উচ্চারণ বিকৃত করেছিলেন, সেটা ভুলতে পারি না !
ইফতেখার জামিল
No comments:
Post a Comment