Friday, June 2, 2017

যুবায়ের ভাইয়ের আর কাতার যাওয়া হলোনা

তখন শরহে বেকায়া পড়ি। মাদানীনেসাব থেকে এক ছাত্র এসেছে জালালাইনে। শুনেছি তিনি আরবীতে পড়েন, খান এবং আরবীতেই ঘুমান। ওদিকে এমনই একজনের সাথে পরিচয় হল ফেসবুকে। চ্যাটিংয়ে জানালেন  তিনি নাকি লালবাগেই পড়েন। একই মাদ্রাসায় পড়ি অথচ সরাসরি পরিচয় না হয়ে আগে ফেসবুকে!! তখন পুরো মাদ্রাসায় ফেসবুক ব্যবহারকারী হাতেগোনা কয়েকজন। তাই তখনকার জন্য এটা একটা অবাককর ব্যপার ছিল বটে। পরে জানতে পেরেছি দুজন একই ব্যক্তি ছিল।
ছেলেটা টিপিকাল ছিলো না। আমাদের চিন্তাগুলোর কোথাও একটা মিল ছিল। তাই অল্প কিছুদিনেই বেশ খাতির হয়ে গেল। নতুন একটা সার্কেল হল। পরিচয় হল মাহমুদ, তানভীর, আর শিমুল ভাইয়ের সাথে। বিভিন্ন অকেশনে হ্যাংআউট, এদিক সেদিক ঘুরতে যাওয়া, সবই শুরু হল। ত্রিভুজ হল। মিটিং হল। প্রেজেন্টেশন হল। স্টেজ পারফর্ম হল। জুবায়ের ভাইয়ের সাথে সবচেয়ে বেশী যেই জিনিসটা হত সেটা ছিল কালচারাল ডিবেট। ইংলিশ বনাম আরব। কত রাত যে এই চিল্লাচিল্লিতে কেটেছে। রাতে জুবায়ের ভাইয়ের কমন প্রশ্ন "মাহদি কিছু আছে?" কিছুটা আমার কাছে বেশিরভাগই থাকতো। স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে তার কাছ থেকে শিখেছি অনেক কিছুই, অনেক ভুল শুধরেছে। এসব কিছু করেই কিভাবে যেন কেটে গেছে তিন তিনটা বছর।
জুবায়ের ভাইকে ইগো নিয়ে আমি খুব খোচাতাম। কিন্তু ইগো প্রবলেমটা আমার নিজের মধ্যেও ছিল। তাই তার দ্বারা সাধিত হওয়া কোন উপকারে আমি কখনো সরাসরি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিনি। আজকেও করবোনা, শুধু দোয়া থাকবে মানুষ যেন আজীবন এভাবে তার থেকে উপকৃত হতে থাকে।

No comments:

Post a Comment

The word of Shaykhul Azhar about Corona victim

সামর্থ্যবান প্রত্যেক ব্যক্তির উপর ওয়াজিব তাদের কিছু ব্যয়ভার বহন করা যারা এই রোগে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ লকডাউনে ঘরে আটকা পড়ার কারণে হ...