হদ্দ হল নির্ধারিত শাস্তি। যা নস দ্বারা প্রমাণিত এবং কার্যকর করা বাধ্যতামূলক।
কার্যকর এইজন্য করা হয় যাতে অপরাধ করা থেকে বিরত থাকে।
সমাজের সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনায় সে শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে সেগুলোকে আল্লাহ নিজের অধিকার হিসেবে গণ্য করেছেন। এটাকে পাবলিক রাইটও বলা হয়।
কার্যকর এইজন্য করা হয় যাতে অপরাধ করা থেকে বিরত থাকে।
সমাজের সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনায় সে শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে সেগুলোকে আল্লাহ নিজের অধিকার হিসেবে গণ্য করেছেন। এটাকে পাবলিক রাইটও বলা হয়।
হদের আওতাভুক্ত অপরাধ সাতটি।
১ যিনা ২ চুরি ৩ ডাকাতি ৪ মদ্যপান ৫ যিনার অপবাদ ৬ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ৭ ইরতিদাদ
১ যিনা ২ চুরি ৩ ডাকাতি ৪ মদ্যপান ৫ যিনার অপবাদ ৬ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ৭ ইরতিদাদ
যেহেতু এইসব অপরাধের শাস্তির ব্যাপারে সরাসরি কুরআনে বলা আছে তাই এসব হদের আওতাভুক্ত হবে। আর সন্দেহের কারণে হদ্দ রহিত হয়ে যাবে। তখন তাযীরের আওতায় শাস্তি হবে। তাযীর বলা হয় হদ্দ বা কাফফারা ব্যতিত যেসব অপরাধের জন্য শরিয়তে নির্দিষ্ট কোন শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়নাই। ইংরেজীতে বলা হয় Discreditionary Punishment।
যেমন মুরতাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু যদি কোন সাধারণ মানুষ তাকে হত্যা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে তাযীরের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ যদিও সে মৃত্যুদণ্ডের অপরাধে অপরাধী হয়ে নিজের জীবনের নিরাপত্তা হারিয়ে ফেলেছে কিন্তু বিনা বিচারে তাকে হত্যা করা যাবেনা। যে ব্যক্তি মুরতাদকে হত্যা করে আইন নিজের হাতে তুলে নিল সে সরকারের আইনকে অবমাননা করলো। এইজন্য তাযীরের আওতায় দণ্ডযোগ্য হবে। এ বিষয়ে সকল ফকীহগণ একমত।
অতএব ইরতিদাদ হদের আওতাভুক্ত অপরাধ।
রিদ্দার সংজ্ঞাঃ আল কাসানী বলেন, রিদ্দা হল ঈমান থেকে ফিরে আসা। ইবনে কুদামা বলেন যে দ্বীন ইসলাম থেকে প্রত্যাবর্তন করে তাকে মুরতাদ বা ধর্মত্যাগী বলে।
ধর্মকে ঘৃণা, তুচ্ছ ও অবজ্ঞাভরে ছেড়ে দিলে তাকে ধর্ম ত্যাগ বা ব্লাসফেমী বলে।
ইনসাইক্লোপেডিয়া অফ ব্রিটেনিকাতে বলা আছে এটাকে সিন বলে বিবেচনা করে থাকে খ্রিষ্টান মোরাল থিউলজিয়ানরা। এটা বিশ্বাসের বিরুদ্ধে একটা ফেইথ।
ইনসাইক্লোপেডিয়া অফ ব্রিটেনিকাতে বলা আছে এটাকে সিন বলে বিবেচনা করে থাকে খ্রিষ্টান মোরাল থিউলজিয়ানরা। এটা বিশ্বাসের বিরুদ্ধে একটা ফেইথ।
ইনসাইক্লোপেডিয়া অফ ব্রিটেনিকাতে এর ব্যাখায় বলা আছে: In the Christian religion Blasphemy has been regarded as sin by moral theology. It is a sin against faith.For the muslim it's blasphemy to speak contemptuously not only of God but also of Muhammad.
Blasphemy considered as a religious offence consists of scornful, disrespectful on insulting word of actions God. in this gravest form blasphemy is a deliberate international attack on the honor of holiness of god.
Blasphemy considered as a religious offence consists of scornful, disrespectful on insulting word of actions God. in this gravest form blasphemy is a deliberate international attack on the honor of holiness of god.
ধর্ম ত্যাগের শর্তাবলিঃ
যে ধর্ম ত্যাগ করবে তাকে স্বাধীন, বিবেকবুদ্ধি সম্পন্ন, প্রাপ্তবয়স্ক মুসলামান হতে হবে।
তবে জোর করে কাউকে ধর্ম ত্যাগ করতে বাধ্য করা হলে তা ধর্ম ত্যাগ হিসেবে বিবেচিত হবেনা।
যে ধর্ম ত্যাগ করবে তাকে স্বাধীন, বিবেকবুদ্ধি সম্পন্ন, প্রাপ্তবয়স্ক মুসলামান হতে হবে।
তবে জোর করে কাউকে ধর্ম ত্যাগ করতে বাধ্য করা হলে তা ধর্ম ত্যাগ হিসেবে বিবেচিত হবেনা।
মুরতাদের আলামতঃ
যখন ইসলামী শরীয়তকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করবে, বর্তমান যুগে ইসলামের রীতিনীতিকে অকেজো মনে করবে, নিজেকে মুসলমান বলে পরিচয় দিতে কুণ্ঠাবোধ করবে। কারণ গাইরুল্লাহর বিধান দ্বারা কোন নির্দেশ প্রদান করা হারাম।
যখন ইসলামী শরীয়তকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করবে, বর্তমান যুগে ইসলামের রীতিনীতিকে অকেজো মনে করবে, নিজেকে মুসলমান বলে পরিচয় দিতে কুণ্ঠাবোধ করবে। কারণ গাইরুল্লাহর বিধান দ্বারা কোন নির্দেশ প্রদান করা হারাম।
ধর্ম ত্যাগের শাস্তিঃ
এর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। সাহাবাদের যুগ থেকে আজ পর্যন্ত মুসলিম উম্মাহ এতে একমত পোষণ করে আসছে। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস থেকে একটি মারফু হাদিস আছে এই ব্যাপারেঃ "যে ব্যক্তি ধর্ম পাল্টাবে তাকে তোমরা হত্যা করো"।
এ ব্যাপারে আরো বহু হাদিস পাওয়া যায়।
এর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। সাহাবাদের যুগ থেকে আজ পর্যন্ত মুসলিম উম্মাহ এতে একমত পোষণ করে আসছে। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস থেকে একটি মারফু হাদিস আছে এই ব্যাপারেঃ "যে ব্যক্তি ধর্ম পাল্টাবে তাকে তোমরা হত্যা করো"।
এ ব্যাপারে আরো বহু হাদিস পাওয়া যায়।
শাস্তি থেকে নিষ্কৃতির বিভিন্ন দিকঃ
১ বাল্যকালেই ধর্ম ত্যাগ করেছে। অত:পর প্রাপ্ত বয়স্ক হয়েছে। তাকে নিষ্কৃতি দেয়া হবে। কারণ তার ইসলাম তার পিতামাতার ইসলামের অনুগামী। এখানে সে মুরতাদ হয়েছে শুধু মাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে। তাই তার হিসেব হবে সন্দেহকারী বা অজ্ঞাত ব্যক্তির মত। এটা হানাফী ও হাম্বলি মাযহাবের মত। তবে ইমাম শাফেয়ী এবং মালেকের মতে তাকেও শাস্তি দেওয়া হবে।
সূত্রঃ আল বাহরুর রায়েক শরহে কানযুদ দাকায়েক, পাকিস্তান-কোয়েটা, মাকতাবায়ে মাজিদিয়া ৫ম খণ্ড পৃ: ১৩৮
১ বাল্যকালেই ধর্ম ত্যাগ করেছে। অত:পর প্রাপ্ত বয়স্ক হয়েছে। তাকে নিষ্কৃতি দেয়া হবে। কারণ তার ইসলাম তার পিতামাতার ইসলামের অনুগামী। এখানে সে মুরতাদ হয়েছে শুধু মাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে। তাই তার হিসেব হবে সন্দেহকারী বা অজ্ঞাত ব্যক্তির মত। এটা হানাফী ও হাম্বলি মাযহাবের মত। তবে ইমাম শাফেয়ী এবং মালেকের মতে তাকেও শাস্তি দেওয়া হবে।
সূত্রঃ আল বাহরুর রায়েক শরহে কানযুদ দাকায়েক, পাকিস্তান-কোয়েটা, মাকতাবায়ে মাজিদিয়া ৫ম খণ্ড পৃ: ১৩৮
২ জোর করে যদি কাউকে ইসলাম ধর্মে প্রবেশ করানো হয় এবং পরবর্তীতে সে আবার মুরতাদ হয়ে যায় তাহলে তাকেও শাস্তি থেকে রেহাই দেওয়া হবে। তার শাস্তি সন্দেহের কারণে বাতিল হবে। কারণ সন্দেহের দ্বারা হুদুদ কার্যকর হয়না।
সূত্রঃ ইবরাহিম আল ওকফী, তিলকা হুদুদুল্লাহ পৃ:২৭৮
সূত্রঃ ইবরাহিম আল ওকফী, তিলকা হুদুদুল্লাহ পৃ:২৭৮
মুরতাদের ইহকালিন শাস্তিঃ
১ হত্যা করা
২ উত্তরাধিকার বিনষ্ট হয়া
৩ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা
৪ পারিবারিক শাস্তি
৫ অভিভাবকত্ব নষ্ট হওয়া
১ হত্যা করা
২ উত্তরাধিকার বিনষ্ট হয়া
৩ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা
৪ পারিবারিক শাস্তি
৫ অভিভাবকত্ব নষ্ট হওয়া
পরকালীন শাস্তিঃ
আল্লাহ কুরআনে বলে দিয়েছেন,
যারা সত্যকে অস্বীকার করে কাফের হয়ে যায় এবং কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে তাদেরকে আল্লাহ ফেরেশতা এবং মানুষ সকলেই লানত দেয়। (২ঃ ১৬১)
কেউ ইমান আনার পর আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং কুফুরীর জন্য হৃদয় উন্মুক্ত রাখলে তার উপর পতিত হবে আল্লাহর গজব এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি। তবে যাদেরকে এমন করতে বাধ্য করা হবে এবং তার অন্তরে যদি অবিচল ইমান থাকে তাহলে তার কথা ভিন্ন।
(১৬ঃ১০৬)
আল্লাহ কুরআনে বলে দিয়েছেন,
যারা সত্যকে অস্বীকার করে কাফের হয়ে যায় এবং কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে তাদেরকে আল্লাহ ফেরেশতা এবং মানুষ সকলেই লানত দেয়। (২ঃ ১৬১)
কেউ ইমান আনার পর আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং কুফুরীর জন্য হৃদয় উন্মুক্ত রাখলে তার উপর পতিত হবে আল্লাহর গজব এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি। তবে যাদেরকে এমন করতে বাধ্য করা হবে এবং তার অন্তরে যদি অবিচল ইমান থাকে তাহলে তার কথা ভিন্ন।
(১৬ঃ১০৬)
সূত্রঃ মাকাসেদুশ শরিয়া, ইসলামী আইন ও বিজ্ঞান। খণ্ড: ১ম। পৃষ্ঠা: ২৪৯।
প্রকাশনা: ইসলামী ফাউন্ডেশন
প্রকাশনা: ইসলামী ফাউন্ডেশন
No comments:
Post a Comment