Wednesday, November 1, 2017

ব্লাসফেমী আইনে ধর্মত্যাগীদের শাস্তির ব্যাপারে আপত্তিসমূহ

ধর্মকে কটাক্ষ করার কারণে তার শাস্তির জন্য রচিত আইনকে ব্লাসফেমী আইন বলে। যা ইসলামে মুরতাদ বা ধর্মদ্রোহী শাস্তি হিসেবে পরিচিত। এ শাস্তির ব্যাপারে বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপিত হয়ে থাকে।

১ম প্রশ্নঃ এ আইন জাহেলী যুগের আইন। বর্তমান সভ্য যুগে তা চালু থাকতে পারেনা।
২য় প্রশ্নঃ এই আইন মানুষের বাক স্বাধীনতা ও চিন্তার স্বাধীনতার বিরোধী।
৩য় প্রশ্নঃ এই আইন ব্যক্তিগত, অথবা মুসলিম জাতিগত। রাষ্ট্র এই আইনের প্রয়োগ কিভাবে করতে পারে?

উত্তরঃ
প্রথমত, জাহেলি যুগের আইন এইজন্য বলা যাবে না কারণ মানুষ প্রত্যেক যুগে কোন না কোম ধর্মের অনুসরণ করে এসেছে। এই আইন যখন এসেছিল তখনকার যুগে জাহেল ছিল বটে। কিন্তু এই আইন সমাজে স্থিতিশীল পরিস্থিতি কায়েম করার মাধ্যমে তাদেরকে সভ্য করে তুলেছে। এই ধর্ম মানুষকে শিখিয়েছে সত্য প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে কিভাবে অধিকার আদায় করে নিতে হয়। ইসলাম শুধু ন্যায়বিচার ও সাম্যের কথা বলেই ক্ষান্ত হয়নি বরং তার প্রায়োগিক দিকও বাতলে দিয়েছে। এবং এর মাধ্যমেই মানুষ জানতে পেরেছে ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ সৃষ্টিকারীদের উচিত শাস্তির বিধান যদি কায়েম করা যায় তাহলে সমাজে কতটা স্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করবে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে সৌদিতে চুরির হাত কাটার বিধান। উপযুক্ত শাস্তি বহাল থাকার কারণেই সে দেশে চুরির হার একেবারে শূন্যের কোটায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে।

দ্বিতীয়ত, প্রত্যেক দেশের সংবিধানেই রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের ধর্মকে রক্ষা করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যেমন, মালেশিয়া, বৃটেন, আমেরিকা, ফ্রান্স।
বৃহত্তর শক্তিশালী দেশগুলোতে জনগণের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দেশে ধর্ম সংরক্ষণের আইন রচনায় মনোনিবেশ করে। এদিকে লক্ষ্য রেখেই আমেরিকায় বিল ক্লিনটন "ফ্যামিলি ভ্যালু" ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট "ব্যাক টু অরিজিন" মালেশিয়ার প্রেসিডেন্ট মাহাত্থির মোহাম্মদ "ভিশন ২০২০" রচনা করেছেন।

সভ্যতার সাথে এর কোন বিরোধ থাকলে পৃথিবীর আধুনিক রাষ্ট্রগুলো এই "সাম্প্রদায়িক" আইন ব্যবস্থা গ্রহণ করতো না। এই ব্যবস্থা না নেওয়া হত তাহলে যে সমাজে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হত সেটা তারাও বেশ ভালভাবে অনুধাবন করতে পেরেছে।
তৃতীয়ত, মুরতাদের এই শাস্তি কখনোই গণতন্ত্র বিরোধী নয়। বরং একজন অসুস্থ ব্যক্তির বাক স্বাধীনতার নামে একটা শান্তিপ্রিয় গোষ্ঠীর স্বাধীন বিশ্বাসের উপর হস্তক্ষেপের শাস্তি। যার মাধ্যমে স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়।

No comments:

Post a Comment

The word of Shaykhul Azhar about Corona victim

সামর্থ্যবান প্রত্যেক ব্যক্তির উপর ওয়াজিব তাদের কিছু ব্যয়ভার বহন করা যারা এই রোগে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ লকডাউনে ঘরে আটকা পড়ার কারণে হ...