চারশত হিজরীর দিকে আগত এক পর্যটক
বলেছেন এই বঙ্গ অঞ্চলে তখন মসজিদ কেন্দ্রীক শিক্ষা ব্যবস্থার খুব প্রচলন ছিল। এবং তার কথার সমর্থন মিলেছে সম্প্রতি প্রত্নতাত্ত্বিক এক গবেষণায় উঠে আসা এক চাঞ্চল্যকর তথ্যে। বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে নির্মিত এক বিরাট মসজিদ ও তৎসংলগ্ন ইমারতের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণায় জানা যায় তা নির্মিত হয়েছিল হিজরীর তৃতীয় শতাব্দীতে।
তবে ৭০০ হিজরীর পর থেকে উপমহাদেশে ইসলামী শিক্ষা যখন আরো ব্যাপকহারে বিস্তার লাভ করেছিল সে সময় আল্লামা শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামা বুখারা থেকে সর্বপ্রথম প্রথমে দিল্লি এরপর
বাংলাদেশের সোনারগাঁয়ে ইসলামী শিক্ষার কেন্দ্রস্থলে পরিণত করেন। মাদরাসার শিক্ষার ইতিহাসের এই অধ্যায় নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রমাণিত। সে হিসেবে দেওবন্দের অনুকরণে মাদরাসা প্রতিষ্ঠা হওয়ার আগে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায়।
দারুল উলুম দেওবন্দের অনুকরণে বাংলাদেশের সর্বপ্রথম মাদরাসা কোনটি একথা
নিশ্চিতভাবে না বলা গেলেও ধারণা করা হয় সিলেট জেলার ঝিংগাবাড়ি মাদরাসাই দেওবন্দের
অনুকরণে বাংলাদেশের সর্বপ্রথম মাদরাসা। এবং এরপরই ১৯০১ খ্রিষ্টাব্দে
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। যা এখন
সমগ্র বাংলাদেশের "উম্মুল মাদারিস" হিসেবে স্বীকৃত। সূচনা লগ্ন থেকে
আজ আবদি এ মাদরাসাটি দেশ বিদেশে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ ও শ্রেষ্ঠ ধর্মীয়
প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপরিচিত।
হাটহাজারী প্রতিষ্ঠার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বাংলাদেশে দেওবন্দের আদলে অসংখ্য মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে। এর মধ্যে অনেক মাদরাসাই শতাব্দী বা অর্ধ শতাব্দী পেরিয়ে আজও দ্বীনী শিক্ষার মশাল জালিয়ে রেখেছে। ১৯০১ থেকে ১৯৫০ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত সুপ্রসিদ্ধ কিছু মাদরাসার তালিকা ও প্রতিষ্ঠা সন।
হাটহাজারী প্রতিষ্ঠার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বাংলাদেশে দেওবন্দের আদলে অসংখ্য মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে। এর মধ্যে অনেক মাদরাসাই শতাব্দী বা অর্ধ শতাব্দী পেরিয়ে আজও দ্বীনী শিক্ষার মশাল জালিয়ে রেখেছে। ১৯০১ থেকে ১৯৫০ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত সুপ্রসিদ্ধ কিছু মাদরাসার তালিকা ও প্রতিষ্ঠা সন।
১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামের জিরি ইসলামীয়া আরাবিয়া কওমীয়া
মাদরাসা।
১৯১২ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় কুমিল্লা দারুল উলুম বরুড়া মাদরাসা।
১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় সিলেটের রানাপিং হোসাইনিয়া আরাবিয়া মাদরাসা।
১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে বরিশাল সরসিনা দারুস সুন্নাহ মাদরাসা।
১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে মোমেনশাহী বালিয়া আশরাফুল উলুম মাদরাসা।
১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকার বড় কাটারা আশরাফুল উলুম মাদরাসা।
১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে গোপালগঞ্জ গাওহারডাঙ্গা দারুল উলূম খাদেমুল ইসলাম মাদরাসা
১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে চিট্টগ্রাম পটিয়া জামেয়া ইসলামিয়া কাসিমুল উলুম মাদরাসা।
১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে মোমেনশাহী সেহড়া জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা
১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রাম চারিয়া কাসেমুল উলুম মাদরাসা।
১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দে জামেয়া এমদাদীয়া কিশোরগঞ্জ মাদরাসা।
১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
জামেয়া কোরআনিয়া আরাবিয়া।এ সময়ে বাংলাদেশে দেওবন্দের অনুকরণে মাদরাসা প্রতিষ্ঠা ব্যাপকতা লাভ করে
No comments:
Post a Comment