মানবদেহে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সংযোজনের ব্যাপারে শরিয়তের বিধান
মানবদেহে অঙ্গ সংযোজনের জন্য আধুনিক চিকিৎসাশাস্ত্রে যে পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে তাতে মানব দেহের কোন অসম্মানের সম্ভাবনা নেই। অতএব তাহরীমের যেই উসুলের কারণে নিষেধাজ্ঞা ছিল তা এখন আর বিদ্যমান নেই।
এক্ষেত্রে শর্ত হল এর উদ্দেশ্য অবশ্যই কোন রোগীর জীবন রক্ষা করা অথবা কোন মানবিক কোন অপরিহার্য দিককে রক্ষা করা যেমনঃ দৃষ্টিশক্তি।
বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কর্তৃক তার সুপারিশ থাকতে হবে যে এর মাধ্যমে সুস্থতার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে।
কোন মৃতদেহ থেকে অঙ্গ সংযোজন করতে হলে তার জীবদ্দশায় সেই মৃতব্যক্তি কর্তৃক অনুমতি থাকতে হবে। এবং উত্তরাধিকারগণও এতে সম্মত থাকতে হবে কেননা মৃত্যুর পর তারাও অভিভাবক। যেমনিভাবে হত্যার কিসাসের দাবী করার অধিকার তাদের থাকে।
জীবিত কোন ব্যক্তির অঙ্গ সংযোজনের ব্যাপারে হুকুম হল খোদ সেই ব্যক্তির অনুমতি দিতে হবে। এবং শর্ত হল তার এতে বড় ধরনের কোন ক্ষতি না হতে হবে।
শাফেয়ী ও হাম্বলীদের মতে অঙ্গের বেচাকেনা উভয়টিরই সুযোগ আছে। তবে হানাফিদের মতে জরুরী ভিত্তিতে কেবল ক্রয় করতে পারবে, বিক্রয় করতে পারবেনা।
সূত্রঃ জাদিদ ফিকহী মাসায়েল
খালেদ সাইফুল্লাহ রহমানী
খালেদ সাইফুল্লাহ রহমানী
ভলিউম ২ পৃষ্ঠাঃ ৬৫৮
মানবদেহে অঙ্গ সংযোজনের ব্যাপারে দেওবন্দসহ ভারতের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য মুফতিয়ানে কেরামের সাক্ষরিত ফাতওয়াঃ
মানবদেহের যে কোন অঙ্গ বিক্রয় করা হারাম। (সংকটাপন্ন অবস্থায় ক্রয়ের অনুমতি আছে)
যদি রোগীর অবস্থা এমন হয় যে তার কোন অঙ্গ এমন ভাবে নষ্ট হয়ে গেছে এবং সে স্থানে বিকল্প কোন অঙ্গ সংযোজন না করা হলে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল, অঙ্গ ছাড়া বিকল্প কোন কিছু সংযোজন করে বাচানো সম্ভব না, এ ব্যাপারে ডাক্তারও নিশ্চিত তাহলে এমন সংকটময় মুহূর্তে জীবন বাচানোর জন্য অঙ্গ সংযোজনের অনুমতি আছে।
সুস্থ ব্যক্তি যদি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে জানতে পারে তার অঙ্গ খুলে ফেললে কোন সমস্যা হবেনা তাহলে সে এমন সংকটাপন্ন রোগীকে চাইলে অঙ্গ দান করে তার জীবন বাচাতে পারবে।
যদি কেউ মৃত্যুর পর নিজের অঙ্গ ডোনেট করার ওসিয়ত করে যায় তাহলে শরিয়তের পরিভাষায় এটাকে ওসিয়ত বলা হবেনা। কারণ এমন ওসিয়ত শরিয়তে গ্রহণযোগ্য না।
No comments:
Post a Comment