Tuesday, August 29, 2017

রাজনীতির ময়দানে শামসুল হক ফরিদপুরী রহ. (৩)


 পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ও পাকিস্তানকে ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্দোলনে আল্লামা শামসুল হক ফরিদপুরী রহ এর ভূমিকা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। কায়েদে আযম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ এবং মুসলিম লীগের জন্য এক অগ্নি পরিক্ষা ছিল পাকিস্তান আন্দোলনের সূচনালগ্ন 


 পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য মুসলিম লীগের পক্ষে ওলামায়ে কেরামের রেফারেন্ডামঃ

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে সফল করে তোলার লক্ষে ১৯৪৫ সালে আক্টোবর মাসে সর্বসাধারণের মাঝে জনমত তৈরী করতে তখনকার শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরামের সমন্বয়ে গঠিত হয় জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম। এই সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা ছিলেন আল্লামা যফর আহমদ উসমানী, মুফতি মুহাম্মদ শফি, মাওলানা আতহার আলী, মাওলানা তাহের কাসেমী সহ তৎকালীন শীর্ষস্থানীয় সমস্ত ওলামায়ে কেরাম।

মাওলানা শামসুল হক ফরিদপুরী প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই এই সংগঠনের অন্যতম নেতা ও সংগঠক। তিনি তাঁর উস্তাদ শাব্বির আহমদ উসমানীর নির্দেশে সমস্ত দেশ সফর করেন এবং মুসলিম লিগের পক্ষে জোরদার ভূমিকা রাখেন। তখন মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ সিলেট রেফারেন্ডমে প্রচারণা চালিয়ে পাকিস্তানের পক্ষে জনমত গড়ে তোলার জন্য যফর আহমদ উসমানীর কাছে অনুরোধ জানান। তখন তিনি এই অনুরোধের প্রেক্ষিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই দায়িত্ব পালনে সম্মতি জ্ঞাপন করেন। 

এরপরই মুজাহিদে আযম শামসুল হক ফরিদপুরি মাওলানা আতহার আলী খান, মাওলানা দ্বীন মুহাম্মদ খান গোটা সিলেটে এক ঝটিকা সফরে নেমে পড়েন। তারা মানুষকে একথা বুঝাতে সক্ষম হন যে সংখ্যালঘু হিন্দুদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ইসলামের বিধান জারি করা কোনভাবেই প্রতিবন্ধক না। বরং ইসলাম সংখ্যালঘুদের যেই অধিকার দেয় সেই অধিকার অন্য কেউ দিতে পারেনা। নিকট অতীতে ভারত উপমহাদেশে  মুসলমান সুলতানদের শাসন আমলই এর জ্বলন্ত উদাহরণ।

উলামায় কেরামের এই শক্তিশালী ভূমিকায় রেফারেন্ডামে মুসলিম লীগের অভূতপূর্ব বিজয় সাধিত হয় এবং কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়। তাদের কঠোর পরিশ্রমের ফলেই পাকিস্তান রাষ্ট্র অস্তিত্ব লাভ করে।


 ওলামায়ে কেরামের হাত ধরে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠাঃ

১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্ট আল্লামা যফর আহমদ উসমানী পূর্ব পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন করেন। এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বিচারপতির কাছে এসেম্বলি হলে শপথবাক্য পাঠ করেন। এই শপথ অনুষ্ঠানে উচ্চ পর্যায়ের সরকারী অফিসার ছাড়াও মাওলানা শামসুল হক ফরিদপুরী, মাওলানা আতহার আলি খান, মাওলানা দ্বীন মুহাম্মদ খান উপস্থিত ছিলেন। 

আল্লামা যফর আহমদ উসমানী পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার প্রথমদিনই লালবাগ শাহী মসজীদে জুমার খুতবার পূর্বে পাকিস্তান ভাগ হওয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করে এক ঐতিহাসিক ভাষন প্রদান করেন। পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নিযামুদ্দিন আল্লামা উসমানীর ভাষনে অভিভূত হয়ে পড়েন।
সেদিন আল্লামা উসমানী তাঁর ভাষণে বলেছিলেন, “এখন পাকিস্তানের শাসকবর্গের অপরিহার্য দায়িত্ব হবে সর্বপ্রথম ইসলামী আইন সম্বলিত সংবিধান রচনা করা। সাধারণ মুসলমানদের নামাজ ও ইসলামের যাবতীয় আহকাম পালন করতে উদ্ধুদ্ধ করা। শরাব, পতিতা, সুদ এবং ঘুষের মহামারি থেকে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানকে পবিত্র করা। সম্প্রীতি ও সংহতির মাধ্যমে ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। সেনাবাহিনী পুলশসহ সামরিক বাহিনীকে নামাজের পাবন্দ হিসেবে গড়ে তোলা। জাতির সেবা ও ইসলামের সুরক্ষায় তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। কেননা যে সরকারের কাছে সামরিক গোয়েন্দা বাহিনী না থাকে তাদের সহজেই কাবু করা সম্ভব”।

মুজাহিদে আযম আল্লামা শামসুল হক ফরিদপুরীর ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। পাকিস্তান আন্দোলনের সময় শাব্বির আহমদ উসমানী ও সিলেট রেফারেন্ডমের সময় আল্লামা যফর আহমদ উসমানী রহ. এর দক্ষিনহস্ত হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।


 ওলামায়ে কেরামকে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন নিয়ে শাসকশ্রেণীর টালবাহানাঃ

শামসুল হক ফরিদপুরী সহ দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম বেশ কয়েকবার কায়েদে আযমের সাথে একান্ত সাক্ষাতে মিলিত হন। পাকিস্তান ঘোষনার পর ওলামায়ে কেরাম এক বৈঠকে কয়েদে আযমকে বলেছিলেন,
-পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আগে আপনি অঙ্গিকার করেছিলেন আপনার সংবিধান রচিত হবে কুরআন সুন্নাহর বিধান অনুযায়ী। আপনার এই অঙ্গিকার অতিসত্বর বাস্তবায়ন করুন।
কায়েদে আযম উত্তর দিয়েছিলেন, 
-অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু অসুবিধার কারণেই কুরআন সুন্নাহর সংবিধান রচনায় বিলম্ব হচ্ছে। এখন যতদ্রুত সম্ভব তা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেয়া হবে।


 জিন্নাহর ইন্তেকালের পর সরাসরি ইসলামী আইন বাস্তবায়নে অস্বীকার এবং ওলামাদের ভূমিকাঃ

এই বৈঠকের কিছুদিন পরই কায়েদে আযমের ইন্তেকাল হয়ে যায়। তাঁর মৃত্যুর পর শাসকরা বলতে শুরু করে এ যুগে ইসলামী আইন অচল। তাদের এই ধরণের কথায় ওলামারা তাদের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেন। তাদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার জন্য দেশব্যাপী ঝটিকা সফর শুরু করেন।
১৯৪৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে শাব্বির আহমদ উসমানী পূর্ব পাকিস্তান সফরে আসেন এবং কুরআন সুন্নাহের বিধান মতে সংবিধান প্রণয়নের পক্ষে জনমত গড়ে তোলেন। এ সময় ঢাকা মোমেনশাহী চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় লাখ লাখ জনতার বিশাল বিশাল সমাবেশ শাব্বির আহমদ উসমানী আল্লামা যফর আহমদ উসমানী, শামসুল হক ফরিদপুর্‌ মাওলানা আতহার আলী, মুফতি দ্বীন মুহাম্মদ খান ইসলামী আইন ও সংবিধানের পক্ষে জালাময়ী বক্তব্য রাখেন। একটাই দাবী নিয়ে তারা মাঠে নেমেছিলেন, "পাকিস্তানের সংবিধান হবে কুরআন সুন্নাহর বিধান মোতাবেক। ইসলামবিরোধী কোন আইন এদেশের জনগণ গ্রহণ করবেনা।"




 আন্দোলনে ওলামায়ে কেরামের সফলতা ও শাসনতন্ত্রের মূলনীতি হিসেবে কুরআন সুন্নাহের আইন স্বীকৃতি প্রদানঃ

১৯৪৯ সালে মার্চ মাসে আল্লামা শাব্বির আহমদ উসমানী যখন পূর্ব পাকিস্তানের জনমত গঠন শেষে করাচী গিয়ে পৌঁছেন তখন কায়েদে মিল্লাত লিয়াকাত আলি খান  এসেম্বলিতে শাসনতন্ত্রের মূলনীতি হিসেবে কুরআন সুন্নাহয়ের আইনকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রস্তাব পাশ করিয়ে নেন। আল্লামা শাব্বির আহমদ উসমানী এই প্রস্তাব পাশ হওয়ার পর পূর্ব পাকিস্তানের ওলামায়ে কেরামের সীমাহীন ত্যাগ ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্মরণ করে পত্রের মাধ্যমে তাদের অশেষ শুকরিয়া আদায় করেন।
এর কয়েকমাস পর ১৩ই ডিসেম্বর শাব্বির আহমদ উসমানী ইন্তেকাল করেন।



 দুইবছর পর ওলামায়ে কেরামের ইখতেলাফকে বাহানা বানিয়ে আবারো গড়িমসি শুরু ও ওলামায়ে কেরামের কর্মসূচি গ্রহণঃ অতঃপর সফলতা অতঃপর চক্রান্ত

১৯৫১ সালে এই আন্দোলন আবার দুর্বার হয়ে ওঠে। শাসকগোষ্ঠী ওলামায় কেরামকে দোষারোপ করে বলতে শুরু করে ইসলাম শাসনতন্ত্রের মূলনীতি সব ওলামায় কেরামের ঐক্যমতের ভিত্তিতে আমাদের কাছে পেশ না করা হলে আমরা কুরআন সুন্নাহ মোতাবেক সংবিধান রচনা করতে পারবোনা। ঠিক এই সময় ওলামাদের বৈঠক ডাকা হয় করাচীতে। হযরত মাওলানা এহতেশামুল হকের বাসভবনে অনুষ্ঠিত দুই পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরামের উপস্থিতিতে ইসলামী রাষ্ট্রের ২২ দফা মূলনীতি প্রণয়ন করা হয়। সেখানে আল্লামা শামসুল হক ফরিদপুরী যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন ইতিহাসের পাতায় তা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এই ২২ দফা মূলনীতি পেশ করার পর শাসকগোষ্ঠী নানা অজুহাত দেখিয়ে আবারো সময় ক্ষেপন করতে থাকে। এক পর্যায়ে ওলামায়ে কেরামের চাপের মুখে পড়ে ১৯৫৬ সালে পার্লামেন্টরী সভায় ইসলামী শাসনতন্ত্রের ২২ দফা মূলনীতিএ এই খসড়াটি বিপুল ভোটে পাশ হয়। কিন্তু কতিপয় নেতার চক্রান্তে তা আর বাস্তবায়িত হুতে পারেনি।

 পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মাদরাসা শিক্ষার উপর আঘাত অতঃপর ওলামায়ে কেরামের আন্দোলন ও সফলতাঃ

এরপর আতাউর রহমান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়ে একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করে। এই কমিশনে মাদরাসা শিক্ষাকে অপ্রয়োজনীয় আখ্যা দিয়ে এই শিক্ষাকে বাদ দেয়ার প্রস্তাব দিলে সিংহের ন্যায় গর্জে উঠেন শামসুল হক ফরিদপুরী। এবং দেশব্যাপী এর বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুললে সরকার এই কমিশনকে বাতিল করতে বাধ্য হয়।


 জালিম আইয়্যুব খানের বিরুদ্ধে সাহসী উচ্চারণঃ

১৯৫৮ সালে সামরিক শাসক আইয়্যুব খানের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলার কেউ ছিলনা। এই সুযোগে সে ইসলাম বিরোধী কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকে। সদর সাহেব একলাই কড়া প্রতিবাদ অব্যাহত রাখেন।
১৯৬৩ সালে মুসলিম পারিবারিক আইন নামে ইসলাম বিরোধী আইন জারি করলে তাঁর বিরুদ্ধে সদর সাহেব তুমুল আন্দোলন গড়ে তুলেন। এ আন্দোলনের ফলে আইয়ুব খান সাময়ীকভাবে এই আইন মুলতবী করতে বাধ্য হয়।

উম্মতের দ্বীন ও ঈমান রক্ষায় শামসুল হক ফরিদপুরী রহঃ
খৃষ্টান মিশনারীদের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সদা সতর্ক এদের অপতৎপরতা বন্ধের লক্ষ্যে তিনি সারাদেশ সফর করতেন। মিশনারীদের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে তিনি “আঞ্জুমান তাবলিগুল কুরআন” নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এবং “পাদ্রীদের গোমর ফাক” নামক বইসহ আরো বিভিন্নভাবে এর প্রচারণা চালিয়ে মুসলমানদের সতর্ক করতে থাকেন।

চাদ দেখা নিয়ে যদি সরকারী কমিটি কোন উলটপালট করতো তখন সাথে সাথে তিনি এর প্রতিবাদ করতেন এবং জনগণও উনার সিদ্ধান্তের অপেক্ষাতেই থাকতো।   এছাড়াও আইয়ুব খানের ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপের তিনি কঠোর সমালোচনা করতেন। এই জন্যেই তাকে মুজাহিদে আযম বলা হত।

সমাজ সেবা ও সামাজিক সংস্কারমূলক কাজের জন্য তিনি “খাদেমুল ইসলাম জামায়াত” নামে একটি সামাজিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যার কার্যক্রম এখনো অব্যাহত আছে।

বেহেশতি জেওরের বাংলা তরজমা বাংলার মুসলমানদের জন্য তাঁর অসামান্য খেদমত। থানভী রহ এর আরো কিছু গ্রন্থ তিনি অনুবাদ করেছেন। তাঁর নিজস্ব ও অনূদিত বইয়ের সংখ্যা দুইশতর কাছাকাছি।  হক্কানী তাফসির পনেরো পারা তিনি লিখে গেছেন।
তিনি ১৯৬৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী ইন্তেকাল করেছেন।

আমার সাথে হুজুরের একটি স্মৃতিঃ
দীর্ঘ আটবছরের খেদমতে হুজুরের সাথে আমার অনেক স্মৃতি জমা হয়েছে। হুজুর আমাকে কতটা আপন করে নিতেন এটা একটা ঘটনায় আমি বেশ ভালঅভাবে বুঝতে সক্ষম হয়েছিলাম। আমার দাদা যেদিন মারা যায় পর সদর সাহেবের সাথে সেদিন আমার গওহরডাঙ্গা যাওয়ার কথা ছিল। সেসময় হুজুর কখনোই আমাকে ছাড়া সফর করতেন না। এমনকি ঈদের ছুটিতেই আমি বাড়ি না গিয়ে হুজুরের কাছে থাকতাম। হুজুর আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি গিয়ে জানাযায় শরিক হতে পারবে আমি জানতাম যে সম্ভব না। হুজুরকে বললাম তাই। হুজুর আমাকে বললেন তাহলে এখানে দুয়া করতে পারো যা তোমার দাদার কাজে আসবে। এরপরও তুমি ভেবে দেখ। তুমি চাইলে আমার সাথেও যেতে পারো চাইলে বাড়িতেও রওনা করতে পারো। আমি হুজুরের সাথেই যাওয়ার ইচ্ছা করলাম।
লালবাগে পড়ালেখা শেষ হলে তিনি আমাকে পাকিস্তান পাঠিয়ে দেন যার ফলে আমার ইন্তেকালের সময় তাঁর পাশে থাকতে পারিনি।
ইউসুফ বিন্নুরী যে সদর সাহেব হুজুরকে কতটা উচু স্তরের মানুষ মনে করতেন এটা উনার কথা থেকে কিছুটা বুঝা যায়। সদর সাহেব হুজুর সম্পর্কে ইউসুফ বিন্নুরী বলেন,

পূর্ব পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় ও শ্রেষ্ঠ আলেমদের মধ্যে জামেয়া কোরআনিয়া আরাবিয়ার লালবাগ ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা শামসুল হক ফরিদপুরি ছিলেন একজন বড় মুখলিস মানুষ। সত্য প্রকাশে কখনো কারো পরোয়া করতেন না। থানা ভবন থেকে ইলমে মারিফতের উচু মাকাম অর্জন করেছেন। অধিকাংশ সময় অসুস্থতার মাঝেও ইসলামের খেদমতে সার্বক্ষণিক নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন। 

সূত্রঃ আলোর কাফেলা।
 শামসুল হক ফরিদপুরী রহঃ কে নিয়ে তাঁর একনিষ্ঠ শাগরিদ ও খাদেম মুফতি ফজলুল হক আমিনী রহঃ এর প্রবন্ধ থেকে।

3 comments:

  1. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
  2. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
  3. আল্লামা শামসুল হক ফরিদপুরী যেভাবে বাংলা সাহিত্যে ছাত্রদের আগ্রহী করতেন। জানতে এখানে ক্লিক করুন

    ReplyDelete

The word of Shaykhul Azhar about Corona victim

সামর্থ্যবান প্রত্যেক ব্যক্তির উপর ওয়াজিব তাদের কিছু ব্যয়ভার বহন করা যারা এই রোগে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ লকডাউনে ঘরে আটকা পড়ার কারণে হ...